তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের মিশনে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লো বাংলাদেশ। ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বলে সব ইউকেট হারিয়ে ৭৬ রানে থেমে যেতে হয় টাইগারদের। এর আগে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তবে ছন্দপতন হয় ব্যাটসম্যানদের।
দলীয় ২৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার লিটন দাস। ওয়ানডাউনে নেমে মেহেদী হাসানও টিকতে পারেননি। মাত্র ১ রান করেই এজাজ প্যাটেলের বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর সাকিব নেমে প্রথম বলেই দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দেন।
এরপর আশা জাগিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ওপেনার নাঈম শেখ। রচিন রবীন্দ্রর বলে ইনসাইডেজ বোল্ড হন এই বাঁহাতি। ১৯ বলে মোকাবিলা করে ২টি চারে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৪ রানে ফের জোড়া উইকেট তুলে স্বাগতিকদের কোনঠাসা করে দেন প্যাটেল। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকেরও সম্ভাবনা জাগান এই বাঁহাতি কিউই। মাহমুদউল্লাকে (৩) নিকোলসের ক্যাচে পরিণত করার পর অফিফকে বোল্ড করেন তিনি।
ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট তুলে নেন কোল ম্যাকোঞ্চি। তার বলে সোজা শট খেললেও দারুণ এক ক্যাচে তাকে ফেরান টম ব্লান্ডেল। এরপর এই স্পিনারেরই তৃতীয় শিকারে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফউদ্দিন (৮)। আর নবম উইকেটে নামা নাসুম আহমেদ স্কট কুগেলিনের বলে বোল্ড হন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে তুলে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফেরেন।
মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থাকলেও তার ৩৭ বলের ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ইনিংসে কোনো বাউন্ডারিও ছিল না। কিউই বোলারদের মধ্যে ক্যারিয়ার সেরা বল করে প্যাটেল ৪টি উইকেট পান। ৩টি উইকেট তুলে নেন ম্যাককোঞ্চি। এছাড়া একটি করে উইকেট পান রবীন্দ্র, কুগেলিন ও গ্র্যান্ডহোম।
এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান করেছে সফরকারীরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই ১০ বলে ৩ চারে ১৫ রান করা বিপজ্জনক ওপেনার ফিন অ্যালেনকে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মিড-অনে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই পেসারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ২০ বলে ৩ চারে ২০ রান করা উইল ইয়াং। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০)। আবারও রিভিউ নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হয়।
এরপর আক্রমণে এসে নিজের দ্বিতীয় ওভারে রাচিন রবিন্দ্রকে ফেরান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এরপর ১১তম ওভারে কিউই অধিনায়ক ল্যাথামকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মেহেদী হাসান। ল্যাথামের বিদায়ের পর জমে উঠে হেনরি নিকলস ও টম ব্লান্ডেলের জুটি।
তাদের ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ দলের জন্য উল্লেখযোগ্য স্কোর এনে দেয়। হেনরি ২৯ বলে ৩৬ রান ও ব্লান্ডেল ৩০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বল হাতে ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক