৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:১৫

ঢাকা টেস্টের ফল কী হবে?

তৃতীয় দিনেও মাঠে গড়ায়নি কোনো বল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকা টেস্টের ফল কী হবে?

ঢাকা টেস্টের তিন দিন শেষ। বাকি আছে আরও দুই দিন। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় টেস্টের এক ইনিংসও শেষ হয়নি। তিন দিন শেষে স্কোর বোর্ডে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮৮ রান। এখন এমন চিত্র ঢাকা টেস্টের। তাহলে টেস্টের ফল কী হবে? প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৫৭ ওভার। দ্বিতীয় দিন মাত্র ৬.২ ওভার। গতকাল তৃতীয় দিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কেউই হোটেল ছেড়ে বেরোইনি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই আজ ও কাল খেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ১২৬ টেস্টের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বৃষ্টি এবারই প্রথম কোনো টেস্টে হানা দেয়নি। কিংবা আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়নি। এর আগে বহু টেস্ট বৃষ্টি বাধায় পড়েছে। আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়েছে। কোনো কোনো টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। আবার ড্রও হয়েছে কোনোটি। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের তৃতীয় দিন পুরোপুরি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট সর্বশেষ বৃষ্টি বাধায় পড়েছিল ২০১৫ সালে। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টটি ড্র হয়েছিল। খেলা হয়েছিল শুধুমাত্র প্রথম দিন। শেষ চার দিন একটি বলও হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাট করে ৮৮.১ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৬ রান করেছিল। সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক মুশফিক। অবশ্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চট্টগ্রামের টেস্টটিও ড্র হয়েছিল বৃষ্টিতে। শুধুমাত্র প্রথম দিন খেলা হয়েছিল ভালোভাবে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চমদিন খেলা হয়নি। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ২৪৮। টাইগারদের ইনিংস শেষ হয়েছিল ৩২৬ রানে। ৭৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৬১ রান। ২০০১ সালে বৃষ্টি বাধায় পড়েছিল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে টেস্টটির প্রথম তিন খেলা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে শেষ দুই দিন মাঠে গড়ায়নি বল। অবশ্য প্রথম দিন এক সেশন হয়নি খেলা। টেস্টের ফল ছিল যথারীতি ড্র। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০৭। জবাবে সফরকারী জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের রান ছিল ৪৩১। দ্বিতীয় ইনিংসে বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার আগে ৩ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। ওই বছর ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে দুটি টেস্টই বৃষ্টি বাধায় পড়েছিল। কিন্তু দুটির ফলই ছিল ইনিংস হার। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টের শুরুর দুই দিন খেলা হয়নি। পরের তিন দিনে খেলার ফল বের করে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলা হয়নি। তারপরও টেস্টে হার এড়াতে পারেনি টাইগাররা। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। প্রথম দুদিন নির্ঞ্ঝঝাট খেলা হয়েছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে খেলা হয়েছিল। কিন্তু পুরোটা সময় হতে পারেনি। ভারতের সংগ্রহ ছিল প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩৮৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১০০ রান। টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ২৩৮ ও ২ উইকেটে ১০৪ রান।

মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান। দ্বিতীয় দিন ৬.২ ওভারে আরও ২৭ রান যোগ করলে দিন শেষ হয় ২ উইকেটে ১৮৮ রানে। অধিনায়ক বাবর আজম ৭১ ও সাবেক অধিনায়ক আজহার ব্যাটিং করছেন ৫২ রানে। তাইজুল ইসলাম ২ উইকেট নিয়েছেন। 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর