বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে ছন্দহীনতা কাটাতে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই দিচ্ছেন নানা মতামত। কঠিন এই সময়ে কোহলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সুনিল গাভাস্কার। বললেন, ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় ফল পেতে পারেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
২০১৯ সালের পর কোনো সংস্করণেই আর সেঞ্চুরি না পাওয়া কোহলির টেস্টে সবশেষ ১২ ইনিংসে ফিফটি কেবল একটি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও সাম্প্রতিক সময়ে ভুগছেন তিনি রান করতে। সবশেষ ইংল্যান্ড সফরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬ ইনিংসে স্রেফ ৭৬ রান করেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তার দুর্বলতার সুযোগে নিয়মিতভাবে আউট করছেন বোলাররা। ফর্মহীন কোহলির ভারত দলে জায়গা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
গাভাস্কার অবশ্য তেমন কিছু চান না। সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় এই ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০ সেঞ্চুরি করা কোহলির সঙ্গে তার ভুলগুলো নিয়ে কথা বলতে চান তিনি।
তিনি বলেন, আমি যদি তার সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলতে পারতাম, তাহলে আমি তাকে বলতাম যে কী করতে হবে। এটা তাকে সাহায্য করতে পারে। আমি বলছি না যে, এটা তাকে সাহায্য করবেই, তবে কাজে লাগতেও পারে। বিশেষ করে অফ স্টাম্পে (বলের) ক্ষেত্রে। একজন ওপেনিং ব্যাটার হওয়ায় এবং একই রকম বলে (ক্যারিয়ারে নিজেও) সমস্যায় পড়ার কারণে, কিছু বিষয় জানি যা এক্ষেত্রে আমি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কোহলির রান খরা এখন ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনার অনেক বড় বিষয়। সমালোচনার মুখে যেমন পড়ছেন, সমর্থনও কম পাচ্ছেন না তিনি। সম্প্রতি কোহলির জায়গায় তরুণদের খেলানোর কথা বলেছেন কপিল দেব। তবে সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ও ব্রেট লির বিশ্বাস, ফর্মে ফেরা থেকে খুব দূরে নেই কোহলি। সম্প্রতি তাকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজমও।
গাভাস্কার মনে করেন, রানের মধ্যে না থাকায় ব্যাটিংয়ের সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থিরতা ধরে রাখতে পারছেন না কোহলি। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াচ্ছে যে তার প্রথম ভুলই শেষ ভুলে পরিণত হচ্ছে। আবার, রানে না থাকার কারণে প্রতিটি বল খেলার সময তার মধ্যে দুর্ভাবনা কাজ করছে। কারণ ব্যাটাররা এটাই মনে করে যে, তাদের রান করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে একজন ব্যাটসম্যান এমন কিছু বল খেলতে যায় যা সে অন্য সময়ে এড়িয়ে যায়। তবে এই (ইংল্যান্ড) সফরে সে ভালো বলেও আউট হয়েছে।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সফরে তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ