নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এ জয়ে সাফে ১৯ বছরের শিরোপা খরা ঘুচল বাংলাদেশের। এরপর প্রত্যাশিত সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশি কোচ গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। (মেয়েরা) নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে।’
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় পেছনের দিনগুলোর দিকে তাকালেন ছোটন। এই পথচলায় পাশে পাওয়াদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন। অনেক উপহাসের জবাব দিতে পারার তৃপ্তির ঝিলিকও ছিল তার চোখে-মুখে।
তিনি বলেন, এটা আমার একার সাফল্য নয়, সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা এখানে এসেছি। আজকে এই জিনিসটা বলতে হয়, যখন আমি মহিলা দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন আমার বন্ধু-বান্ধবরাও আমাকে বলত যে ‘মহিলা কোচ’। যখন রাস্তায় হেঁটে যেতাম, আমাকে বলা হত ‘মহিলা কোচ’। এভাবে উপহাস করত। আমি কাছে ওরকম লাগত না। আমি কাজকেই পছন্দ করতাম।
রব্বানী বলেন, ‘গতকাল ভেবেছিলাম, সবাই যেহেতু বলছে মাঠে নেপালের দর্শক বেশি থাকবে, আর আমিও খেলোয়াড় থাকতে মোহামেডান–আবাহনী ম্যাচে ৫০ হাজার দর্শক দেখেছি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি ছিলাম। মেয়েদেরও মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। আগেভাগে গোল পেলে নেপাল চাপে পড়বে জানতাম। সেটাই হয়েছে। নেপাল এই সাফে ফাইনালের আগ পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলেছে, আমরা ৪ ম্যাচ খেলেছি। আমাদের মেয়েদের ফিটনেস এবং দৃঢ়চেতা মনোভাব সত্যই দুর্দান্ত ছিল।’
বাংলাদেশের মেয়েদের এই বদলে যাওয়ার শুরু কবে থেকে—এই প্রশ্নের উত্তরে গোলাম রব্বানী ছয় বছর পেছনে ফিরে যান, ‘রূপান্তরের শুরুটা ২০১৬ সাল থেকে, যখন আমরা থাইল্যান্ডে অনূর্ধ্ব–১৬ টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম...আমরা ২০১৬ সালের অক্টোবরেই অনুশীলন শুরু করি। পরের চার–পাঁচ বছর মেয়েরা বেশ কিছু বয়সভিত্তিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়।’
মেয়েদের ফুটবলে শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন গোলাম রব্বানী। ২০০৯ সাল থেকে আছেন নারী দলের কোচ হিসেবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর