মেলবোর্নে সম্ভাব্য টেস্ট অভিষেকের আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী স্যাম কনস্টাস। জাসপ্রিত বুমরাহর বোলিংয়ের ভিডিও দেখে বাড়তি চাপ নিতে চান না তিনি। বরং প্রথমবারের মতো বিশ্বের সেরা বোলারদের একজনের মুখোমুখি হওয়ার আগে ১৯ বছর বয়সী ওপেনার বললেন, তিনি প্রস্তুত।
বুমরাহকে সামলানোর চ্যালেঞ্জেই অস্ট্রেলিয়া বেছে নিয়েছে কনস্টাসকে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম তিন টেস্টে ব্যর্থ ন্যাথান ম্যাকসুয়েনির জায়গায় শেষ দুই টেস্টের দলে নেওয়া হয়েছে তাকে। সপ্তাহ তিনেক আগে ভারতের বিপক্ষে প্রাইম মিনিস্টার’স একাদশের হয়ে তার ৯৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংস টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে রেখেছে বড় ভূমিকা। ক্যানবেরায় গোলাপি বলের ওই ম্যাচে মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দিপ, রাভিন্দ্রা জাদেজাদের সামলেছেন তিনি। তবে ওই ম্যাচে বুমরাহ খেলেননি।
চলতি সিরিজে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন বুমরাহ। প্রথম তিন টেস্টে ১০.৯০ গড়ে ৩১ বছর বয়সী পেসারের শিকার ২১ উইকেট, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বোলারের চেয়ে যা ৭টি বেশি। এই ২১ উইকেটের ১০টিই অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ম্যাকসুয়েনি, উসমান খাওয়াজা ও মার্নাস লাবুশেনের। স্বাগতিকদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র মিচেল মার্শকে সিরিজে এখন পর্যন্ত আউট করতে পারেননি বুমরাহ।
আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া মেলবোর্ন টেস্টে একাদশে সুযোগ পেলে কনস্টাসের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বুমরাহকে সামলানো। টেস্ট দলে যোগ দেওয়ার আগে এই তরুণ বললেন, পরিস্থিতি নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না তিনি। আমি (বুমরাহর বোলিংয়ের ভিডিও) খুব বেশি দেখব না। ইতিমধ্যেই তাকে অনেকবার দেখেছি। তবে চ্যালেঞ্জ নিতে এবং তার মুখোমুখি হতে রোমাঞ্চিত আমি। সাধারণত আমাদের অ্যানালিস্ট প্রতিটি বোলারকে নিয়ে ধারণা দিয়ে থাকেন। আমি হয়তো তা পড়েছি।
গত অক্টোবরে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে সাড়া ফেলে দেন কনস্টাস। ১৯৯৩ সালে রিকি পন্টিংয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। পরে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্টে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। এরপর ভারতের বিপক্ষে প্রাইম মিনিস্টার’স একাদশের হয়ে সেঞ্চুরি। ওই শতক থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছেন তিনি।
তিনি জানান, আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। শুধু আমার সামর্থ্যে আস্থা রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছি। স্রেফ আরেকটি ম্যাচ ধরে নিয়ে সবকিছু সহজ রাখার চেষ্টা করছি। ছোটবেলায় সবসময় এই মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেছি- ব্যাগি গ্রিন পাওয়া। যদি পাই, তাহলে সেটা হবে বড় সম্মানের।”
উল্লেখ্য, শনিবার বিগ ব্যাশের ম্যাচ খেলে রোববার সকালে মেলবোর্নের পথে রওনা দেন কনস্টাস। সোমবার প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ