লা লিগার নতুন মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের একাদশে চমক – ফিট থাকলেও বেঞ্চে রাখা হয়েছে দলের অন্যতম সেরা তারকা ভিনিসিউস জুনিয়রকে। রবিবার ওবিয়েদোর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম থেকে না খেলিয়ে তাঁকে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয়। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ শাবি আলোনসো জানালেন, এটি দলের রোটেশন নীতিরই অংশ, এবং এ ধারা পুরো মৌসুমজুড়েই চলবে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩তম মিনিটে মাঠে নামেন ভিনিসিউস। শুরুতে তেমন ছন্দে ছিলেন না, তবে পরে দুর্দান্ত খেলে কিলিয়ান এমবাপের একটি গোলে সহায়তা করেন এবং নিজেও একটি গোল করেন। রিয়াল ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয় ম্যাচটি, এমবাপে করেন জোড়া গোল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভিনিসিউসকে নিয়ে কোচ বলেন, “মাঠে নেমে ভিনি ভালো করেছে। দুটি গোলে সে নির্ধারক ছিল। যারা শুরু থেকে খেলেছে, আর যারা পরে নেমেছে – সবাইকে নিয়েই আমরা খুশি। সামনে অনেক ম্যাচ, সবাই সুযোগ পাবে।”
শুরুর একাদশে ভিনিসিউসকে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলোনসো বলেন, “সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে চাই। স্কোয়াডে ২০ জনের বেশি খেলোয়াড় আছে, এবং আমরা চাই সবাই যেন নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কখনও কেউ শুরু করবে, কখনও কেউ বদলি হিসেবে নামবে – সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের লক্ষ্য, সবার সেরাটা বের করে আনা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রতিটি ম্যাচে পরিকল্পনা, প্রতিপক্ষ ও খেলোয়াড়দের ফিটনেস বুঝে একাদশ সাজাবো। ফুটবলে সিদ্ধান্ত নিতে হয় দলের কথা ভেবে। এই মৌসুমে নিয়মিতই একাদশে পরিবর্তন দেখা যাবে।”
এদিন শুধু ভিনিসিউসই নন, প্রথম ম্যাচের একাদশে থাকা ট্রেন্ট-অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড, ব্রাহিম দিয়াসরাও ছিলেন না শুরু থেকে। অধিনায়ক দানি কার্ভাহাল খেলেন আর্নল্ডের জায়গায়। প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে নামা তরুণ ফ্র্যাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো এবার ছিলেন শুরুর একাদশে।
ভিনিসিউসের জায়গায় সুযোগ পান রদ্রিগো, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে নিজেও ছিলেন আলোচনায়। তার পারফরম্যান্স যেমন মনমতো হচ্ছিল না, তেমনি ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনও ছিল। তবে এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলে ভালোই করেন তিনি।
কোচ আলোনসো বলেন, “রদ্রিগো ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে সে আলভারো, আর্দা ও এমবাপের সঙ্গে দারুণ সমন্বয় গড়েছিল। প্রতিপক্ষ গভীর ডিফেন্সে খেলছিল, জায়গা বের করা কঠিন ছিল, তবে তার পারফরম্যান্স আমার পছন্দ হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/মুসা