সাংহাই মাস্টার্সে টেনিস ভক্তরা পেল এক অবিশ্বাস্য অঘটনের স্বাক্ষর। গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ডধারী, বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচ নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ হেরে গেলেন একেবারেই অখ্যাত প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্তিন ভাশেরোর কাছে।
২৬ বছর বয়সী মোনাকোর এই খেলোয়াড় র্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন ২০৪ নম্বরে। অথচ তিনিই সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনালে সরাসরি সেটে ৬-৩, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ জোকোভিচকে।
এই জয়ে ইতিহাস গড়েছেন ভাশেরো— এটিপি মাস্টার্স ১০০০ সিরিজে প্রথমবারের মতো এত নিম্ন র্যাঙ্কধারী কোনো খেলোয়াড় ফাইনালে উঠলেন।
ম্যাচ চলাকালীন পিঠের চোটের কারণে দু’বার চিকিৎসা নিতে হয় ৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচকে। তার পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপ স্পষ্টই ধরা পড়েছে। ভাশেরো প্রথম সার্ভে দারুণ পারফর্ম করেন। ৩৬টি সার্ভের মধ্যে ২৮ বার পয়েন্ট তুলে নেন।
ম্যাচ শেষে ভাশেরো বলেন,'আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না কী হয়েছে। এটা একেবারেই পাগল করা অনুভূতি। নোভাকের বিপক্ষে কোর্টে নামা ছিল অবিশ্বাস্য একটা অভিজ্ঞতা। আমি অনেক কিছু শিখেছি এই ম্যাচ থেকে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঘোষক যখন জোকোভিচের নাম বলছিলেন এবং তার চারবারের শিরোপার কথা উল্লেখ করছিলেন, আমি নিজেই যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। যদিও দর্শকরা আমার চেয়ে ওকেই বেশি সমর্থন করছিল, তবে এই জয় আমি আজ রাতে উপভোগ করব।'
এই জয়ের ফলে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন ভাশেরো। কোয়ার্টার ফাইনালে হোলগার রুনেকে হারিয়ে শীর্ষ ১০০–তে ঢোকার পর, সেমিফাইনাল জিতে র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন ৫৮ নম্বরে।
ফাইনালে ভাশেরোর প্রতিপক্ষ আর কেউ নন, তারই কাজিন আর্থার রিন্দারকনেশ। তিনি অন্য সেমিফাইনালে রাশিয়ান তারকা দানিয়েল মেদভেদেভকে ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে আরেকটি চমক দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা