২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক। এর মাঝে কেটে গেছে ১০টি বছর। গতকাল ছিল ৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো ফেসবুকের জন্মদিন। আর এরমধ্যে দিয়ে ১১ বছরে পা রাখল মার্ক জুকারবার্গের মস্তিষ্কপ্রসূত এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি। বন্ধুত্বের সংজ্ঞা আজ ১১ বছরে আমূল বদলে দিয়েছে ফেসবুক। বর্তমানে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মানুষ বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বেছে নিয়েছেন ফেসবুককে। তাই ফেসবুক যদি কোনো দেশ হতো, তাহলে সেই দেশের জনসংখ্যা চীনের চেয়েও বেশি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে ‘দ্য ফেসবুক’ নামে শুরু হওয়া এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটির দখলে আজ ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপের মতো জায়েন্ট ফোটো শেয়ারিং ও মেসেজিং সার্ভিসেস। বেশি জ্ঞান দেব না কারণ, ফেসবুকের ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে একবার উইকিপিডিয়ার পাতায় ঢুঁ মারলেই চলবে। আমাদের প্রযুক্তি বিভাগে পাবেন ফেসবুক সংক্রান্ত হাজারো খবর।
মোট কথা, হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায় এই সোশ্যাল সাইটে। যাদের থেকে আমরা দূরে চলে এসেছি, তাদের জানানো যায় আমার জীবনে প্রতিনিয়ত কী ঘটে চলেছে। খুঁজে পাওয়া যায় নতুন মনের মতো বন্ধুকে। নিজের অভ্যন্তরীণ গঠনকে একাধিকবার বদলেছে ফেসবুক। প্রোফাইল হয়েছে টাইমলাইন, এসেছে কভার ফোটো, নিউজ ফিড। কারুর পছন্দ হয়নি সব পরিবর্তন, কারুর আবার হয়েছে।
বুধবার নিজের জন্মদিন কেমনভাবে কাটাবে ফেসবুক? জানতে ইচ্ছে করছে না?
জন্মদিনেও নিজের শিকড় ভোলেনি সে। উদযাপন করছে বন্ধুত্বকেই। ‘ফেসবুক স্টোরি’র মাধ্যমে স্টিকার, স্ট্যাটস ও গল্প শেয়ার করতে বলছে ইউজারদের। ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিচ্ছে, অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা কোনো বন্ধুকেও কত সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। ঢাকঢোল পিটিয়ে জন্মদিন উদযাপনে বিশ্বাসী নন প্রতিষ্ঠাতা, তাই পাওলো অল্টোয় ফেসবুকের সদর দফতরে এদিনও আর পাঁচটা দিনের মতোই কাজ হয়েছে দ্রুতগতিতে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব