সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফেলিক্স বমগার্টনার, মহাশূন্য থেকে যিনি পৃথিবীতে লাফ দিয়েছিলেন

ফেলিক্স বমগার্টনার, মহাশূন্য থেকে যিনি পৃথিবীতে লাফ দিয়েছিলেন

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে স্কাইডাইভিং বেশ রোমাঞ্চকর। সাধারণত ১০ হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দিলে তাকে স্কাইডাইভিং বলা হয়। কিন্তু ১০ বছর আগে ফেলিক্স বমগার্টনার যা করেছিলেন তা শুনলে যে কেউ অবাক হতে বাধ্য।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ান এই সাহসী অভিযাত্রীর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেলিক্স বমগার্টনার মহাশূন্যের দ্বারপ্রান্ত (Edge of Space) পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৭,৮৫২ ফুট বা ৩৮,৯৬৯.৪ মিটার ওপর হতে পৃথিবীতে লাফ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ছয় বছর প্রস্তুতির পর ফেলিক্স বমগার্টনার নিজেকে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বের প্রান্তে খুঁজে পেয়েছেন।

২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর এই দুঃসাহসিক লাফটি ইউটিউবে স্ট্রিম করেছিলেন এবং সে সময় আটটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি এই লাফে শব্দের থেকেও বেশি গতিতে নিচে নেমেছিলেন যা ছিল অভাবনীয় একটি বিষয়। এই দুঃসাহসিক লাফটি দেওয়ার জন্য ফেলিক্সের অনুপ্রেরণা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ক্যাপ্টেন জো কিটিংগার, ১৯৬০ সালে এই ব্যক্তি মহাশূন্যের ১০২,৮০০ ফুট হতে লাফ দিয়েছিলেন।

‘রেডবুল স্ট্রাটোস প্রজেক্ট’ নামের প্রকল্পে খরচ করতে হয়েছিল প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। এই ডাইভিংয়ের মাধ্যমে চরম অবস্থায় মানুষের শরীর কতটুকু টিকে থাকতে পারে সে সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া যায়। অতিরিক্ত গতির কারণে প্রেসার স্যুট ছাড়া মানুষের রক্ত ফুটতে শুরু করতে পারে। তাই যদি এই প্রেসার স্যুটে কোনোরকম সমস্যা হতো তাহলে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ফেলিক্সের মৃত্যু হতে পারত। এ ছাড়া প্যারাসুটে সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও ছিল। লাফ দেওয়ার পর তিনি মাত্র ৫০ সেকেন্ডের মাথায় ১৩৫৭.৬ কিমি/এইচ গতি অর্জন করেন, যা ছিল শব্দের বেগের (৭৬৭ এমপি/এইচ) থেকেও বেশি। প্রায় ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ধরে নিচে পড়তে থাকেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৪২১.৩ ফুট বা ২৫৬৬.৮ মিটার উচ্চতায় ফেলিক্স বমগার্টনার তার প্যারাসুট খোলেন এবং মাটিতে পা রাখেন।

তথ্যসূত্র : সিএনএন

সর্বশেষ খবর