নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে পৃথিবীব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে রাজশাহী। একসময় যে রাজশাহীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটি বলা হতো, প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা এখন ম্লান হওয়ার পথে। অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এর অন্যতম কারণ। শহরের কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই বলে মনে করেন নগরবাসী। তারা বলছেন, একটার পর একটা ভুল পরিকল্পনা রাজশাহী শহরের সুনাম ও সৌন্দর্য ম্লান করে দিয়েছে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে নির্মল বায়ুর শহরকে দূষিত বায়ুর শহরে পরিণত করা হয়েছে। বিগত বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাচীন গাছ কাটা, একের পর এক পুকুর জলাশয় ভরাট করা হয়েছে, কোনো নিয়মনীতি না মেনেই শহরে অটোরিকশা বাড়তে দেওয়া, এমনকি বাস মালিক সমিতির দৌরাত্ম্যে শহরের ভিতর থেকে বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া হয়নি। ফলে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জনবল বাদ দেওয়ায় শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম সেভাবে হয় না বললেই চলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বাইরে রাজশাহী একমাত্র শহর যেখানে সিটি করপোরেশনের ভ্যান দিয়ে বাসাবাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পরে নগরীর উপকণ্ঠে সিটি হাট এলাকায় ডাম্পিং করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ১ হাজার ৩১৩ জনের বিশাল কর্মীবাহিনী থাকলেও সিটি করপোরেশনে এখন ঠিক সেভাবে রাস্তাঘাট ও ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ১০ হাজার অটোরিকশা ও ৫ হাজার রিকশার লাইসেন্স থাকলেও শহরে চলছে ২৫ হাজারের বেশি যানবাহন, যা ব্যাপক যানজট তৈরি করছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি না থাকায় রাজশাহীতে কোনো শৃঙ্খলা নেই। ফলে কোনো কাজই ঠিকমতো হচ্ছে না। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না। যানবাহনে শৃঙ্খলা নেই, ফুটপাতগুলো দখল হয়ে একটি ঘিঞ্জি শহরে পরিণত হচ্ছে।’ বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ-বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১০ বছরে উন্নয়নের নামে রাজশাহী শহরের সবচেয়ে প্রাচীন গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। একের পর এক পুকুর জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। রাজশাহীতে প্রান্তিক মানুষের জন্য বাসস্থান গড়ে তোলা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ পরিবেশ আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু বলেন, ‘রাজশাহীতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং গ্রীষ্মকালে পানির লেভেল নিচে নেমে যায়। রাজশাহী ওয়াসার অনেক মেশিনে পানি ওঠে না। আমাদের সরকারের উন্নয়ন নীতিমালায় এসব পরিকল্পনা দেখি না।
শিরোনাম
- ‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
- রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
- সালমান-আনিসুল-মামুন ফের রিমান্ডে
- শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
- সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- রাজধানীতে ছুটির ৩ দিনে তিন জনসমাবেশ
- চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
- চেহারায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলীয় টিকটকারের জীবন
- দুবাইয়ে ভালোবাসায় সিক্ত ‘ক্যাফে ২১’
- ‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
- মে দিবসে বন্ধ থাকবে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
- বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে ‘বৈশাখের পঙক্তিমালা’
- গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না যেভাবে বুঝবেন
- সুশান্তের মৃত্যুর পর যে কঠিন সময় পার করেছেন রিয়া
- নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
- আবারও সক্রিয় স্বপন-আমিন চক্র
- পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আদেশের অপেক্ষায় বাদী
- কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু