পাঁচ বছর থেকে আলোচনা চলছে কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর দিঘির চারপাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ নিয়ে। এ সময় তিনজন মেয়র বদল হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের খবর নেই। নগরীর ফুসফুস খ্যাত ধর্মসাগর দিঘির পাড়ে দ্রুত ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা নগরবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মসাগর নগরীর একটি প্রাচীন দিঘি। কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দিঘিটির আয়তন ২৩ দশমিক ১৮ একর। ত্রিপুরার রাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে দিঘিটি খনন করেন। কুমিল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ধর্মসাগরের প্রায় পৌনে ছয় শ বছরের ইতিহাস। নগরীর কর্মময় জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ একটু স্বস্তির জন্য এখানে ছুটে আসেন।
স্বাস্থ্য সচেতন লোকজন সকাল-সন্ধ্যায় ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড়ে হেঁটে বেড়ান নির্মল বায়ুর প্রত্যাশায়। এর আগে কুমিল্লা স্টেডিয়াম ও কুমিল্লা জিলা স্কুল, উত্তরে নগর উদ্যান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। উত্তর কোণে রানীর কুটির। পশ্চিম পাড়ে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় ছাড়াও অন্য জেলার লোকজনও দিঘিটি দেখতে আসেন। দিঘিরপাড়ের বড় বড় গাছের সারি ধর্মসাগরকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। কান পাতলে শোনা যায় পাখির কলরব। উত্তর পাড়ে দাঁড়ালে দিঘির পানি ছুঁয়ে আসার স্নিগ্ধ বাতাস মনে দোলা দিয়ে যায়। নগরীর বাসিন্দা অ্যাড. আবদুল আজিজ মাসুদ বলেন, ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড়ের মতো বাকি তিন পাড়েও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছিল। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখছে না। নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের এই স্থানটির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী বলেন, ধর্মসাগর পাড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ধর্মসাগর দিঘির চারদিকে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধনে গাছ লাগানো হবে। জাইকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি সম্পন্ন হতে পারে।