বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
শ্যাম্পু নাকি কো-ওয়াশ

কোনটা বেশি উপকারী

কোনটা বেশি উপকারী

কো-ওয়াশ কী?

আমাদের দেশের অনেকেই কো-ওয়াশের সঙ্গে পরিচিত নন। এটি মূলত কন্ডিশনারের সাহায্যে চুল ধোয়ার নতুন ও অভিনব পদ্ধতি। মূলত এই পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করেই চুল ধুয়ে ফেলতে হয়। স্ক্যাল্পেও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, যাদের চুল আফ্রো স্টাইলের, মিশ্র-টেক্সচারযুক্ত, খুব কোঁকড়া বা অত্যন্ত শুষ্ক, তাদের জন্যই এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর হবে।

 

কেন কো-ওয়াশ করবেন

বাজারের প্রচলিত শ্যাম্পুতে সালফেট অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা চুলকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করে ঠিকই, তবে প্রকৃতপক্ষে এটি চুলের স্ট্র্যান্ডগুলো থেকে প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা ছিনিয়ে নেয়। ফলে চুল দেখায় অতিরিক্ত শুষ্ক। এ কারণে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। কো-ওয়াশের পদ্ধতির মাধ্যমে শ্যাম্পুর ব্যবহার কমিয়ে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এতে শ্যাম্পু করার ফলে চুলে যে অতিরিক্ত রুক্ষতা চলে আসে সেটি থেকে চুল মুক্তি পায়। এই পদ্ধতিতে চুল ওয়াশ করলে আপনার চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

 

যেভাবে করবেন কো-ওয়াশ

শ্যাম্পুর বদলে কন্ডিশনারের সাহায্যে পুরো স্ক্যাল্প থেকে চুল পর্যন্ত ম্যাসাজ করতে হবে। কন্ডিশনারে সামান্য কিছু উপাদান পাওয়া যায় যেগুলো চুল ধোয়ার কাজ করে। তাই বেশ কিছু সময় ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর আবার চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তবে যদি চুল ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজারের পরিমাণ যথেষ্ট মনে হয়, তাহলে কন্ডিশনার বাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু চুলে সিরাম ব্যবহার করতে হবে।

 

কতবার কো-ওয়াশ করবেন

কোঁকড়া ও রুক্ষ-শুষ্ক চুল যত কম ধোয়া যায় ততই ভালো। বিশেষজ্ঞরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একবার চুল ধোয়ার পরামর্শ দেন অতিরিক্ত ময়লাযুক্ত চুল না হলে। তবে শহুরে যাপিত জীবনে তিন-চার দিন পর পর কো-ওয়াশ করতে পারেন।

 

কেমন কন্ডিশনার

সালফেট নেই এমন যে কোনো কন্ডিশনার ব্যবহার করে কো-ওয়াশ করা সম্ভব। সালফেট চুলের মধ্যে অতিরিক্ত একটি প্রলেপ দেয় এতে করে চুল ধোয়ার মতো কিছু থাকে না। তাই সালফেট ফ্রি কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে এই পদ্ধতিতে।

লেখা : নূরজাহান জেবিন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর