হরিণী চোখের অভিনেত্রী ঐশরিয়া রাই বচ্চন। তার ধারেকাছেও নেই কোনো সুন্দরী। বয়স ৫০ ছুঁইছঁই হলেও তার গ্ল্যামারে মরচে ধরেনি এতটুকুও। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট উঠেছিল এই সুন্দরীর মাথায়। তারপর থেকে এই অভিনেত্রী সবাইকেই মুগ্ধ করে এসেছেন। জেনে নিন তার সৌন্দর্যের রহস্য...
নব্বইয়ের দশক ও তার পরের বছরগুলোর সুপারস্টার নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু; পরের গল্প রচনা করেছিলেন সোজা বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে। পরে মাতিয়েছেন বলিউডপাড়া। হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে ছড়িয়ে পড়ে ঐশ্বর্য জাদু। রূপের জাদুতে মজেছে দেশ-বিদেশে থাকা তার অজস্র অনুরাগীরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অপরূপ এই বিশ্বসুন্দরীর রূপরহস্য। এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ঐশ্বরিয়া রাই নিয়মিত ত্বকের যত্নের রুটিন অনুসরণ করেন। নিজের রূপচর্চায় দই, মধু এবং জলপাই তেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করেন। চিকিৎসা কিংবা পরামর্শ, যাই হোক- নিয়মিত ছুটে যান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। এ ছাড়াও ঐশ্বরিয়া স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন এবং তার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন। আজ জানাব বলিউডের এই বিশ্বসুন্দরীর রূপ-রহস্যের গল্প। যা আপনিও গেঁথে নিতে পারেন নিজের রূপ-বোধনে।
ঘরোয়া ফেসপ্যাক : বাজারের চলতি প্রসাধন নয়, রূপচর্চায় ঐশ্বর্যর পছন্দ প্রাকৃতিক উপাদান। সে ক্ষেত্রে তিনি বেসন, হলুদ ও দুধের মিশ্রণে তৈরি একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। বেসন ত্বকের মরা কোষ দূর করে, হলুদ আনে স্বাভাবিক জেল্লা এবং দুধ ময়েশ্চারাইজ করে ত্বক।
ওয়াটার থেরাপি : ফেসপ্যাক যদি তার ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে, তাহলে জানবেন তার সৌন্দর্যের আরেক গোপন রহস্য হলো ‘ওয়াটার থেরাপি’। তিনি জানিয়েছেন, সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন। আর এই পানিই তার শরীরের টক্সিন ধুয়ে বের করে দিয়ে তাকে করে তোলে চাঙা, সতেজ। আর সেই তাজা ঔজ্জ্বল্যই ধরা পড়ে তার ত্বকের সৌন্দর্যে।
ময়েশ্চারাইজার : ত্বকের আর্দ্রতার জন্যও অভিনেত্রী টক দই ব্যবহার করেন। যার ফলে তার ত্বক মোলায়েম থাকে।
ডায়েটে নজর : সঠিক পুষ্টিকর খাবার যে ত্বক ও চুলের ওপর প্রভাব ফেলে তা সবারই জানা। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলেন। বাড়িতে তৈরি খাবারই তার বেশি পছন্দ।
হাসিখুশি সব সময় : ঐশ্বর্যর সৌন্দর্যের আরও একটি রহস্য হলো- তিনি সব সময় নিজেকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেন। কারণ যে কোনো মানসিক চাপই ত্বকের (Beauty Tips) ওপর প্রভাব ফেলে এবং ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া