শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

পর্ব - এক

দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
প্রিন্ট ভার্সন
দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

“ইন্দ্র বলিল, মড়া! আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা! সবাই তো পোড়াতে পারে না...মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে। ... কুণ্ঠিত হইয়া যেই জিজ্ঞাসা করিলাম- কি জাতের মড়া- তুমি ছোঁবে? ইন্দ্র সরিয়া আসিয়া একহাত তাহার ঘাড়ের তলায় এবং অন্যহাত হাঁটুর নীচে দিয়া একটা শুস্ক তৃণখন্ডের মত স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইয়া কহিল, মড়ার কি জাত থাকে রে? আমি তর্ক করিলাম, কেন থাকবে না? ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা-এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরি হোক- এখন ডিঙি ছাড়া একে কেউ বলবে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।”

      হ্যাঁ, শ্রীকান্ত। আপনার আন্দাজ শতভাগ সঠিক। বাংলাসাহিত্যের পাঠকমাত্রেই জানেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম পর্বের উদ্ধৃতি এটি। প্রেক্ষাপট শ্রীকান্ত-ইন্দ্রনাথের রোমাঞ্চকর নৈশ-নৌঅভিযাত্রা। কলেরার মড়কে প্রাণ হারানো এক অজ্ঞাত পরিচয় শিশুর লাশকে ঘিরেই তাদের এই সংলাপ। ইন্দ্রনাথ সেই ছ’সাত বছরের শিশুর মরদেহটাকে ডিঙিতে তুলে দূরের চরের ঝাউবনের মধ্যে ফেলে আসে। আর ঠিক তখনই সামনে চলে আসে জাত-পাতের এই অভব্য প্রশ্ন।

     মানব-ইতিহাস আর দুর্বিপাক সমান বয়েসি। মানুষের ক্রমোত্থানের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দুর্বিপাকের অনুষঙ্গ। সাহিত্যের উপজীব্য এবং এর অভিযাত্রার গন্তব্যও মানুষ। এর কর্তা, কর্ম, করণ লক্ষ্য, উপলক্ষ, পাত্র-পাত্রী, অংশীজন- সবই মানুষ। সে কারণেই সাহিত্যে অবলীলায় ঘটে যায় মানুষের আনন্দ-বিষাদ, হর্ষ-হাহাকার, সংকট-সম্ভাবনা, উত্থান-পতন, মিলন-বিচ্ছেদ, প্রীতি-নিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সরব উপস্থিতি। আর এ উপস্থিতি মূলত অনিবার্য উপস্থিতি। কারণ সাহিত্যের সৃজক এবং জোগানদাতাও মানুষ, কাঁচামালও মানুষ, ভোক্তাও মানুষ। খানিকটা সংজ্ঞার মতো শোনালেও সাহিত্য মানুষের দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য রচিত শিল্পকর্ম। মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা দৈবিক- মানবিক যে কোনো বিপর্যয়ে সাহিত্য সরব হয়েছে শৈল্পিক সমবেদনায়। দৈব-দুর্বিপাকের পরও সাহিত্যের আবেদন থেকে যায় অফুরান।

   দুর্বিপাকের সাহিত্য রচনায় শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রভাবশালী পথিকৃৎ। তাঁর পুরো শ্রীকান্ত উপন্যাসজুড়েই রয়েছে অতিমারি, মহামারি, মারী বা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্বিপাকের ছবি। কলেরা, প্লেগ, বসন্ত ও ম্যালেরিয়া- মোটা দাগে আমরা এমন চারটি মারণ-ব্যাধির উল্লেখ দেখতে পাই শ্রীকান্তে। রাজলক্ষ্মীকে পরিচয় করানোর পর্যায়ের বিবরণে দেখি, “...ইহার রঙটা বরাবর ফর্সা; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেটটা ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলো তামার শলার মত-কতগুলি তাহা গুনিয়া বলা যাইত।” অন্যের শুশ্রƒষা করতে গিয়ে শ্রীকান্ত নিজেও পড়েছিলো মহামারির কবলে। তখন পাওয়া যায় আরেক মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিবরণ : “সকাল বেলা শোনা গেল, আরও পাঁচ-সাতখানি গ্রামের মধ্যে তখন বসন্ত মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে।”

  ‘শ্রীকান্ত’ দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকান্তের বর্মাদেশে সফরের প্রাক্কালে পাই প্লেগ মহামারির বিবরণ। কলকাতার জাহাজঘাটায় ‘ভেড়ার পালের মত’ সারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌদ্দ-পনেরো শ’ মানুষ। শ্রীকান্ত তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে ‘পিলেগ’ (প্লেগ)’র কথা। শ্রীকান্ত উপন্যাসের এ পর্বেই বাঙালি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। জাহাজ যে দিন রেঙ্গুন পৌঁছুবে, সেদিনই সকালে শ্রীকান্ত দেখে যে, সমস্ত লোকের মুখে ভয় ও চাঞ্চল্য। “চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine : তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চরায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশ দিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।”  কোয়ারেন্টিন শব্দের উদ্ভব ইতালীয় শব্দ ‘কোয়ারান্টা জিওরনি’ থেকে- যার অর্থ ৪০ দিন। চতুর্দশ শতকে ইতালিতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর সময়ে চালু হয় এই কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ-নিরোধ। মূলত এটা ছিল জাহাজকে জনপদ থেকে পৃথকীকরণের অনুশীলন। উপকূলীয় শহরগুলোকে প্লেগের মহামারি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সংক্রমিত বন্দরগুলো থেকে ভেনিসে পৌঁছানো জাহাজগুলোকে অবতরণের আগে ৪০ দিনের জন্য নোঙ্গরে বসে থাকতে হতো। প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুবরণ করতে সময় লাগত মোটামুটি ৪০ দিন। এই নিরোধ চল্লিশ দিন করবার বিশেষ মাজেজা সেটাই। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের জীবন নিধনকারী চলমান করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বমারীকালে লকডাউনের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্য। এর নাম হতে পারে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কিংবা ‘ব্যাধি কিংবা দুরাচারের সঙ্গ-নিরোধ’। সে অর্থে পৌরাণিক কাহিনিতে লকডাউনে আবদ্ধ প্রথম মানুষ একজন নারী। তাঁর নাম সীতা। তাঁর লক-ডাউনের প্রকৃতি হলো ‘লক্ষণ রেখা’; সীতার নিরাপত্তার জন্য পঞ্চবটী বনের কুটির অঙ্গনে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক অঙ্কিত মন্ত্ররেখা। সে কারণেই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ‘লকডাউন’ বোঝাতে ঘরের চারদিকে ‘লক্ষ্মণরেখা’র উল্লেখ করেছেন। দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবার পরামর্শ দেন তিনি।

  মানবতাবাদী ইতালীয় লেখক জিওভান্নি বোকাসিও’র উপন্যাসের সংকলন ডেকামেরন ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ এর প্রকাশ কাল ১৩৫৩। কাহিনির প্রেক্ষিত এরকম: ব্ল্যাক ডেথ থেকে বাঁচবার জন্য ফ্লোরেন্স শহরের সীমানা থেকে দূরবর্তী ফিয়াসোলের পল্লীর এক নির্জন ভিলায় সাত তরুণ মহিলা এবং তিন যুবক দুই সপ্তাহ যাবত পালিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পার করবার জন্য, দলের প্রতিটি সদস্য প্রতি রাতে একটি করে গল্প শোনায়। সাপ্তাহিক ছুটি এবং পবিত্র দিনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহ গল্পকথনের দশ রাত হয়ে যায়। এভাবে, পনেরো দিন শেষে তারা ১০০টি গল্প শোনায়। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যের দুর্বিপাকের সাহিত্যে বর্ণিত কোয়ারেন্টিনের সূচনা চেহারা। যদিও গ্রিক পুরাণে জরা-মারীর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায় চাপানো হয় ‘প্যান্ডোরার বাক্স’র ওপর, আর ট্রয়ের যুদ্ধে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ট্রোজানদের জন্য প্রথমেই পাঠিয়েছিলেন মহামারিকে- সেসব বিষয়ে পরবর্তী আরেকটি পর্বে ‘বিশ্বসাহিত্যে দুর্বিপাক’ পর্যায়ে আলোকপাত করা যাবে।

   ফিরে আসি শরৎ সাহিত্যে। তাঁর ‘পন্ডিতমশাই’ উপন্যাসে গ্রামের একমাত্র পুকুরে কলেরা রোগীর ব্যবহারের বস্ত্র ধোওয়া হতে থাকে পন্ডিতমশাই বৃন্দাবনের চোখের সামনেই। এই পুকুর সারা গ্রামের জলের চাহিদা জোগায়। ফলে সেই জল খেয়ে গ্রামে মড়ক লাগে। তার মা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিজের সন্তানকেও কলেরায় হারান পন্ডিতমশাই।

তার ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর্শবাদী যুবক রমেশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামকে রক্ষা করতে চায়। জাতপাতের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের গরিব কৃষককে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য-বিধি পরিবর্তন করতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কে সৃষ্টি করতে চায় গণসচেতনতা। আর এটা করতে গিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয় সনাতনী হিন্দুপ্রথার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের বর্ণনা এরকম, “রমেশও জ্বরে পড়িল। গত বৎসর এই রাক্ষসীর আক্রমণকে সে উপেক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু এ বৎসর আর পারিল না। ...তিন দিন জ্বরভোগের পর আজ সকালে উঠিয়া খুব খানিকটা কুইনিন গিলিয়া লইয়া ভাবিতেছিল, গ্রামের এই সমস্ত অনাবশ্যক ডোবা ও জঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন করা সম্ভব কি না। এই তিন দিন মাত্র জ্বরভোগ করিয়াই সে স্পষ্ট বুঝিয়াছিল, যা হউক কিছু একটা করিতেই হইবে।” এক কথায় বলা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রথম অঘোষিত, অস্বীকৃত কর্মী ছিল পল্লীসমাজের রমেশ।

     মাঝুলি নামের গ্রামে প্লেগ কী ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে, তার করুণ চিত্র বিধৃত আছে ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে। এর অন্যতম চরিত্র সুরেশ প্লেগ-আক্রান্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর ‘পথেরদাবী’ উপন্যাস ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পেও এসেছে মড়ক-মহামারি প্রসঙ্গ। তার ‘লালু’ গল্পে পাওয়া যায় আরেক সাহসী ও পরোপকারী চরিত্র গোপালখুড়োকে; যার মতে, কলেরা রোগীর সেবা করার ‘চেয়ে পুণ্যকর্ম সংসারে নেই’। কলেরার ভয়াবহতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াকু গোপালখুড়োর চরিত্র শরৎচন্দ্রের অনবদ্য অঙ্কন এভাবে: ‘আমাদের শহরে তখন শীত পড়েছে, হঠাৎ কলেরা দেখা দিলে। তখনকার দিনে ওলাওঠার নামে মানুষে ভয়ে হতজ্ঞান হতো। কারও কলেরা হয়েছে শুনতে পেলে সে পাড়ায় মানুষ থাকতো না। মারা গেলে দাহ করার লোক মেলা দুর্ঘট হতো। কিন্তু সে দুর্দিনেও আমাদের ওখানে একজন ছিলেন যাঁর কখনো আপত্তি ছিল না। গোপালখুড়ো তাঁর নাম, জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো। কারও অসুখ শক্ত হয়ে উঠলে তিনি ডাক্তারের কাছে প্রত্যহ সংবাদ নিতেন। আশা নেই শুনলে খালি পায়ে গামছা কাঁধে তিনি ঘণ্টা-দুই পূর্বেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন।’

  রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস, কবিতা অবলীলায় ধারণ করেছে বাঙালির দৈব-দুর্বিপাকের মর্মন্তুদ চিত্র। ১৮৯০-এর দশকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু লেখাতেই এসেছে কলকাতার প্লেগের প্রসঙ্গ। তাঁর ‘দুর্বুদ্ধি’ এবং ‘দিদি’ গল্পে এক বালিকা ও এক নারী কলেরায় মারা যায়, দুজনের নামই শশী। ১৯১৬ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে রয়েছে প্লেগের উল্লেখ। শশীর কাকা কলকাতায় প্লেগের সময় রোগীদের চিকিৎসার্থে তাদের বাড়িটিকে আরোগ্য-নিকেতন হিসেবে গড়ে তোলেন। রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনিও মারা যান। ‘গোরা’ উপন্যাসে হরিমোহিনীর বিবরণে পাই, “কলেরা হইয়া চারি দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ও স্বামী মারা গেলেন।” পোস্টমাস্টার গল্পের রতন উল্লাপাড়ার ‘পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা’। পোস্টমাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভীষণ জ্বর। সেই জ্বর সাধারণ জ্বর নয়; কালাজ্বর। রতনকেই নিত্যে হলো সেবা-শুশ্রƒষার। ‘বহুদিন পরে পোস্টমাস্টার ক্ষীণ শরীরে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন’ এবং ‘মনে স্থির করিলেন, আর নয়, এখান হইতে কোনোমতে বদলি হইতে হইবে।’ কর্তৃপক্ষকে যে-চিঠি লিখলেন তাতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ‘স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা’। লেখকের বিবরণ শুনে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ম্যালেরিয়া জ্বরের কবলেই তখন পড়েছিলেন পোস্টমাস্টার।

       ‘হৈমন্তী’ গল্পে হৈমন্তী পড়েছে শক্ত অসুখে। তবুও বাপের বাড়ি যেতে পারেনি। বাবাকে ফিরে যেতে হয়েছে একা। ‘ শ্বশুরমশায় স্বয়ং একজন ভালো ডাক্তার আনিয়া পরীক্ষা করাইলেন। ডাক্তার বলিলেন, “বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।” বাবা হাসিয়া কহিলেন, হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো তো সকলেরই হইতে পারে।’ ‘শেষের রাত্রি’ গল্পের নায়ক যতীন রোগশয্যায়। সে আশা করে আছে তার অল্প-বয়সী বউ মনি তার সেবা-শুশ্রƒষা করবে। কিন্তু মনি যেতে যাচ্ছে তার বাপের বাড়িতে-তার ছোট বোনকে দেখতে।’ গল্পের শেষে যতীনের মৃত্যু হয় দুরারোগ্য ব্যাধিতে।

‘দৃষ্টিদান’ গল্পে দৃষ্টিহারা কুমু শুনেছে যে তার ডাক্তার স্বামীর কাছে এক ‘বৃদ্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাওঠার চিকিৎসার জন্য’ এসেছেন। ব্যাধির কালো প্রভাব রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে। ফটিক হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে। সেই জ্বর ক্রমেই বেড়ে চলে। ডাক্তার বললেন, ‘অবস্থা বড়ই খারাপ।’ এভাবেই এক-পর্যায়ে ফটিককে চলে যেতে হয় অনন্ত ছুটির অবকাশে।

     ‘সম্পাদক’ গল্পে মূল চরিত্র লেখক। নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, মা-মরা একমাত্র মেয়ে প্রভার দিকে তাকানোরও ফুরসুৎ নেই তার। বাবার অযত্ন-অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা। “...পাশে আসিয়া বসিলাম। বালিকা কোন কথা না বলিয়া তাহার দুই জ্বরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া শুইয়া রহিল।” ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পেও হরসুন্দরীর জ্বর হয়েছে; ম্যালেরিয়া। ‘জ্বর আর কিছুতেই ছাড়িতে চাহে না। ডাক্তার যতই কুইনাইন দেয় বাধাগ্রস্ত প্রবল স্রোতের ন্যায় জ্বরও তত ঊর্ধ্বে চড়িতে থাকে। এমনি বিশ দিন, বাইশ দিন, চল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যাধি চলিল।’

‘ভাইফোটা’ গল্পে এসেছে মারণাত্মক ব্যাধি ম্যালেরিয়ার বিবরণ, ‘স্বামীর সঙ্গে মফস্বলে ফিরিবার সময় বার বার ম্যালেরিয়া জ্বরে পড়িয়া অনুর এখন এমন দশা যে ডাক্তাররা ভয় করিতেছে, তাকে ক্ষয়রোগে ধরিয়াছে।’

    ‘মাল্যদান’ গল্পে সরাসরি প্লেগের প্রসঙ্গ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ : মেয়েটিকে সকলে ‘কুড়ানি’ নামেই চিনত। ‘কুড়ানি’ নামের কারণ দুর্ভিক্ষের সময় তার বাবা-মা মারা যায়, মেয়েটিকে ‘কুড়িয়ে এনে’ প্রতিপালন করছে পটলদের পরিবার।

মাল্যদান যে সময়ে লেখা সে সময়ে কলকাতা শহরে চলছিল প্লেগের। ‘পটলের স্বামী হরকুমার বাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট... প্লেগের ভয়ে বালিতে একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লইয়া থাকেন, সেখান হইতে কলিকাতায় যাতায়াত করেন।’ যা হোক, অসুস্থ কুড়ানিকে বহুদিন পর হাসপাতালের বেডে দেখে অবাক হয়েছিল যতীন। তার মনে হলো, ‘এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যতেœ ফুলের মত সুকুমার করিয়া দুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন।’ মৃত্যুর আগে যতীনের সাথে তার মালাবদল ঘটে।

শেষ পর্যন্ত ‘কুড়ানিকে’ বাঁচানো যায়নি প্লেগের করাল গ্রাস থেকে। কুড়ানিকে খোঁজার প্রসঙ্গে এসেছে, “সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল।”

    দুর্ভিক্ষের মরণ থাবা দৈব-দুর্বিপাকের মতোই আমাদের গ্রাস করেছে বার বার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০ সাল) শুরু হয় মন্বন্তর। তা ছিল মূলত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। যুদ্ধ থেমে যায়। কালোবাজারি মজুতদারদের হাতে চলে যায় বাংলার উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ। মানুষের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষ রক্ষা করে ধনিকশ্রেণীর স্বার্থ। মুষ্টিমেয় লোকের গোলায় জমা হয় অজস্র সম্পদ, মাঠের ফসল। বাংলাসাহিত্যে তৎকালীন সময় যা কিছু রচিত হয়েছে তার বেশির ভাগটাই এই ১৩৫০-এর মন্বন্তরকে ঘিরেই। ময়মনসিংহের ভাটিয়ালি লোকগানে শোনা যায় : ১৩৫০-এর কথা / মনে কি কেউ পড়ে রে / মনে কি কেউ পড়ে রে / ক্ষুধার জ্বালায় বুকের ছাওয়াল মায়ে বিক্রি করে রে / চুরাই বাজারে...। সত্যেন দত্তের বিখ্যাত গানের কলি নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে : ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি/বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশিষে অমৃতের টীকা পরি।’ আর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘বোধন’ কবিতা তো আরও শানিত : এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার/ লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার/ এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি/ নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি/ কোথাও নেইকো পার/ মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার/ আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল/ এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের কাল...।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

২৫ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই
সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?
আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত
পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা
বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

২১ ঘণ্টা আগে | টক শো

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে