শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

পর্ব - এক

দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
প্রিন্ট ভার্সন
দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

“ইন্দ্র বলিল, মড়া! আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা! সবাই তো পোড়াতে পারে না...মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে। ... কুণ্ঠিত হইয়া যেই জিজ্ঞাসা করিলাম- কি জাতের মড়া- তুমি ছোঁবে? ইন্দ্র সরিয়া আসিয়া একহাত তাহার ঘাড়ের তলায় এবং অন্যহাত হাঁটুর নীচে দিয়া একটা শুস্ক তৃণখন্ডের মত স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইয়া কহিল, মড়ার কি জাত থাকে রে? আমি তর্ক করিলাম, কেন থাকবে না? ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা-এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরি হোক- এখন ডিঙি ছাড়া একে কেউ বলবে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।”

      হ্যাঁ, শ্রীকান্ত। আপনার আন্দাজ শতভাগ সঠিক। বাংলাসাহিত্যের পাঠকমাত্রেই জানেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম পর্বের উদ্ধৃতি এটি। প্রেক্ষাপট শ্রীকান্ত-ইন্দ্রনাথের রোমাঞ্চকর নৈশ-নৌঅভিযাত্রা। কলেরার মড়কে প্রাণ হারানো এক অজ্ঞাত পরিচয় শিশুর লাশকে ঘিরেই তাদের এই সংলাপ। ইন্দ্রনাথ সেই ছ’সাত বছরের শিশুর মরদেহটাকে ডিঙিতে তুলে দূরের চরের ঝাউবনের মধ্যে ফেলে আসে। আর ঠিক তখনই সামনে চলে আসে জাত-পাতের এই অভব্য প্রশ্ন।

     মানব-ইতিহাস আর দুর্বিপাক সমান বয়েসি। মানুষের ক্রমোত্থানের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দুর্বিপাকের অনুষঙ্গ। সাহিত্যের উপজীব্য এবং এর অভিযাত্রার গন্তব্যও মানুষ। এর কর্তা, কর্ম, করণ লক্ষ্য, উপলক্ষ, পাত্র-পাত্রী, অংশীজন- সবই মানুষ। সে কারণেই সাহিত্যে অবলীলায় ঘটে যায় মানুষের আনন্দ-বিষাদ, হর্ষ-হাহাকার, সংকট-সম্ভাবনা, উত্থান-পতন, মিলন-বিচ্ছেদ, প্রীতি-নিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সরব উপস্থিতি। আর এ উপস্থিতি মূলত অনিবার্য উপস্থিতি। কারণ সাহিত্যের সৃজক এবং জোগানদাতাও মানুষ, কাঁচামালও মানুষ, ভোক্তাও মানুষ। খানিকটা সংজ্ঞার মতো শোনালেও সাহিত্য মানুষের দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য রচিত শিল্পকর্ম। মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা দৈবিক- মানবিক যে কোনো বিপর্যয়ে সাহিত্য সরব হয়েছে শৈল্পিক সমবেদনায়। দৈব-দুর্বিপাকের পরও সাহিত্যের আবেদন থেকে যায় অফুরান।

   দুর্বিপাকের সাহিত্য রচনায় শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রভাবশালী পথিকৃৎ। তাঁর পুরো শ্রীকান্ত উপন্যাসজুড়েই রয়েছে অতিমারি, মহামারি, মারী বা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্বিপাকের ছবি। কলেরা, প্লেগ, বসন্ত ও ম্যালেরিয়া- মোটা দাগে আমরা এমন চারটি মারণ-ব্যাধির উল্লেখ দেখতে পাই শ্রীকান্তে। রাজলক্ষ্মীকে পরিচয় করানোর পর্যায়ের বিবরণে দেখি, “...ইহার রঙটা বরাবর ফর্সা; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেটটা ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলো তামার শলার মত-কতগুলি তাহা গুনিয়া বলা যাইত।” অন্যের শুশ্রƒষা করতে গিয়ে শ্রীকান্ত নিজেও পড়েছিলো মহামারির কবলে। তখন পাওয়া যায় আরেক মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিবরণ : “সকাল বেলা শোনা গেল, আরও পাঁচ-সাতখানি গ্রামের মধ্যে তখন বসন্ত মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে।”

  ‘শ্রীকান্ত’ দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকান্তের বর্মাদেশে সফরের প্রাক্কালে পাই প্লেগ মহামারির বিবরণ। কলকাতার জাহাজঘাটায় ‘ভেড়ার পালের মত’ সারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌদ্দ-পনেরো শ’ মানুষ। শ্রীকান্ত তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে ‘পিলেগ’ (প্লেগ)’র কথা। শ্রীকান্ত উপন্যাসের এ পর্বেই বাঙালি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। জাহাজ যে দিন রেঙ্গুন পৌঁছুবে, সেদিনই সকালে শ্রীকান্ত দেখে যে, সমস্ত লোকের মুখে ভয় ও চাঞ্চল্য। “চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine : তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চরায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশ দিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।”  কোয়ারেন্টিন শব্দের উদ্ভব ইতালীয় শব্দ ‘কোয়ারান্টা জিওরনি’ থেকে- যার অর্থ ৪০ দিন। চতুর্দশ শতকে ইতালিতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর সময়ে চালু হয় এই কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ-নিরোধ। মূলত এটা ছিল জাহাজকে জনপদ থেকে পৃথকীকরণের অনুশীলন। উপকূলীয় শহরগুলোকে প্লেগের মহামারি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সংক্রমিত বন্দরগুলো থেকে ভেনিসে পৌঁছানো জাহাজগুলোকে অবতরণের আগে ৪০ দিনের জন্য নোঙ্গরে বসে থাকতে হতো। প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুবরণ করতে সময় লাগত মোটামুটি ৪০ দিন। এই নিরোধ চল্লিশ দিন করবার বিশেষ মাজেজা সেটাই। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের জীবন নিধনকারী চলমান করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বমারীকালে লকডাউনের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্য। এর নাম হতে পারে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কিংবা ‘ব্যাধি কিংবা দুরাচারের সঙ্গ-নিরোধ’। সে অর্থে পৌরাণিক কাহিনিতে লকডাউনে আবদ্ধ প্রথম মানুষ একজন নারী। তাঁর নাম সীতা। তাঁর লক-ডাউনের প্রকৃতি হলো ‘লক্ষণ রেখা’; সীতার নিরাপত্তার জন্য পঞ্চবটী বনের কুটির অঙ্গনে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক অঙ্কিত মন্ত্ররেখা। সে কারণেই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ‘লকডাউন’ বোঝাতে ঘরের চারদিকে ‘লক্ষ্মণরেখা’র উল্লেখ করেছেন। দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবার পরামর্শ দেন তিনি।

  মানবতাবাদী ইতালীয় লেখক জিওভান্নি বোকাসিও’র উপন্যাসের সংকলন ডেকামেরন ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ এর প্রকাশ কাল ১৩৫৩। কাহিনির প্রেক্ষিত এরকম: ব্ল্যাক ডেথ থেকে বাঁচবার জন্য ফ্লোরেন্স শহরের সীমানা থেকে দূরবর্তী ফিয়াসোলের পল্লীর এক নির্জন ভিলায় সাত তরুণ মহিলা এবং তিন যুবক দুই সপ্তাহ যাবত পালিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পার করবার জন্য, দলের প্রতিটি সদস্য প্রতি রাতে একটি করে গল্প শোনায়। সাপ্তাহিক ছুটি এবং পবিত্র দিনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহ গল্পকথনের দশ রাত হয়ে যায়। এভাবে, পনেরো দিন শেষে তারা ১০০টি গল্প শোনায়। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যের দুর্বিপাকের সাহিত্যে বর্ণিত কোয়ারেন্টিনের সূচনা চেহারা। যদিও গ্রিক পুরাণে জরা-মারীর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায় চাপানো হয় ‘প্যান্ডোরার বাক্স’র ওপর, আর ট্রয়ের যুদ্ধে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ট্রোজানদের জন্য প্রথমেই পাঠিয়েছিলেন মহামারিকে- সেসব বিষয়ে পরবর্তী আরেকটি পর্বে ‘বিশ্বসাহিত্যে দুর্বিপাক’ পর্যায়ে আলোকপাত করা যাবে।

   ফিরে আসি শরৎ সাহিত্যে। তাঁর ‘পন্ডিতমশাই’ উপন্যাসে গ্রামের একমাত্র পুকুরে কলেরা রোগীর ব্যবহারের বস্ত্র ধোওয়া হতে থাকে পন্ডিতমশাই বৃন্দাবনের চোখের সামনেই। এই পুকুর সারা গ্রামের জলের চাহিদা জোগায়। ফলে সেই জল খেয়ে গ্রামে মড়ক লাগে। তার মা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিজের সন্তানকেও কলেরায় হারান পন্ডিতমশাই।

তার ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর্শবাদী যুবক রমেশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামকে রক্ষা করতে চায়। জাতপাতের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের গরিব কৃষককে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য-বিধি পরিবর্তন করতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কে সৃষ্টি করতে চায় গণসচেতনতা। আর এটা করতে গিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয় সনাতনী হিন্দুপ্রথার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের বর্ণনা এরকম, “রমেশও জ্বরে পড়িল। গত বৎসর এই রাক্ষসীর আক্রমণকে সে উপেক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু এ বৎসর আর পারিল না। ...তিন দিন জ্বরভোগের পর আজ সকালে উঠিয়া খুব খানিকটা কুইনিন গিলিয়া লইয়া ভাবিতেছিল, গ্রামের এই সমস্ত অনাবশ্যক ডোবা ও জঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন করা সম্ভব কি না। এই তিন দিন মাত্র জ্বরভোগ করিয়াই সে স্পষ্ট বুঝিয়াছিল, যা হউক কিছু একটা করিতেই হইবে।” এক কথায় বলা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রথম অঘোষিত, অস্বীকৃত কর্মী ছিল পল্লীসমাজের রমেশ।

     মাঝুলি নামের গ্রামে প্লেগ কী ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে, তার করুণ চিত্র বিধৃত আছে ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে। এর অন্যতম চরিত্র সুরেশ প্লেগ-আক্রান্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর ‘পথেরদাবী’ উপন্যাস ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পেও এসেছে মড়ক-মহামারি প্রসঙ্গ। তার ‘লালু’ গল্পে পাওয়া যায় আরেক সাহসী ও পরোপকারী চরিত্র গোপালখুড়োকে; যার মতে, কলেরা রোগীর সেবা করার ‘চেয়ে পুণ্যকর্ম সংসারে নেই’। কলেরার ভয়াবহতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াকু গোপালখুড়োর চরিত্র শরৎচন্দ্রের অনবদ্য অঙ্কন এভাবে: ‘আমাদের শহরে তখন শীত পড়েছে, হঠাৎ কলেরা দেখা দিলে। তখনকার দিনে ওলাওঠার নামে মানুষে ভয়ে হতজ্ঞান হতো। কারও কলেরা হয়েছে শুনতে পেলে সে পাড়ায় মানুষ থাকতো না। মারা গেলে দাহ করার লোক মেলা দুর্ঘট হতো। কিন্তু সে দুর্দিনেও আমাদের ওখানে একজন ছিলেন যাঁর কখনো আপত্তি ছিল না। গোপালখুড়ো তাঁর নাম, জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো। কারও অসুখ শক্ত হয়ে উঠলে তিনি ডাক্তারের কাছে প্রত্যহ সংবাদ নিতেন। আশা নেই শুনলে খালি পায়ে গামছা কাঁধে তিনি ঘণ্টা-দুই পূর্বেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন।’

  রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস, কবিতা অবলীলায় ধারণ করেছে বাঙালির দৈব-দুর্বিপাকের মর্মন্তুদ চিত্র। ১৮৯০-এর দশকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু লেখাতেই এসেছে কলকাতার প্লেগের প্রসঙ্গ। তাঁর ‘দুর্বুদ্ধি’ এবং ‘দিদি’ গল্পে এক বালিকা ও এক নারী কলেরায় মারা যায়, দুজনের নামই শশী। ১৯১৬ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে রয়েছে প্লেগের উল্লেখ। শশীর কাকা কলকাতায় প্লেগের সময় রোগীদের চিকিৎসার্থে তাদের বাড়িটিকে আরোগ্য-নিকেতন হিসেবে গড়ে তোলেন। রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনিও মারা যান। ‘গোরা’ উপন্যাসে হরিমোহিনীর বিবরণে পাই, “কলেরা হইয়া চারি দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ও স্বামী মারা গেলেন।” পোস্টমাস্টার গল্পের রতন উল্লাপাড়ার ‘পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা’। পোস্টমাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভীষণ জ্বর। সেই জ্বর সাধারণ জ্বর নয়; কালাজ্বর। রতনকেই নিত্যে হলো সেবা-শুশ্রƒষার। ‘বহুদিন পরে পোস্টমাস্টার ক্ষীণ শরীরে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন’ এবং ‘মনে স্থির করিলেন, আর নয়, এখান হইতে কোনোমতে বদলি হইতে হইবে।’ কর্তৃপক্ষকে যে-চিঠি লিখলেন তাতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ‘স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা’। লেখকের বিবরণ শুনে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ম্যালেরিয়া জ্বরের কবলেই তখন পড়েছিলেন পোস্টমাস্টার।

       ‘হৈমন্তী’ গল্পে হৈমন্তী পড়েছে শক্ত অসুখে। তবুও বাপের বাড়ি যেতে পারেনি। বাবাকে ফিরে যেতে হয়েছে একা। ‘ শ্বশুরমশায় স্বয়ং একজন ভালো ডাক্তার আনিয়া পরীক্ষা করাইলেন। ডাক্তার বলিলেন, “বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।” বাবা হাসিয়া কহিলেন, হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো তো সকলেরই হইতে পারে।’ ‘শেষের রাত্রি’ গল্পের নায়ক যতীন রোগশয্যায়। সে আশা করে আছে তার অল্প-বয়সী বউ মনি তার সেবা-শুশ্রƒষা করবে। কিন্তু মনি যেতে যাচ্ছে তার বাপের বাড়িতে-তার ছোট বোনকে দেখতে।’ গল্পের শেষে যতীনের মৃত্যু হয় দুরারোগ্য ব্যাধিতে।

‘দৃষ্টিদান’ গল্পে দৃষ্টিহারা কুমু শুনেছে যে তার ডাক্তার স্বামীর কাছে এক ‘বৃদ্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাওঠার চিকিৎসার জন্য’ এসেছেন। ব্যাধির কালো প্রভাব রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে। ফটিক হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে। সেই জ্বর ক্রমেই বেড়ে চলে। ডাক্তার বললেন, ‘অবস্থা বড়ই খারাপ।’ এভাবেই এক-পর্যায়ে ফটিককে চলে যেতে হয় অনন্ত ছুটির অবকাশে।

     ‘সম্পাদক’ গল্পে মূল চরিত্র লেখক। নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, মা-মরা একমাত্র মেয়ে প্রভার দিকে তাকানোরও ফুরসুৎ নেই তার। বাবার অযত্ন-অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা। “...পাশে আসিয়া বসিলাম। বালিকা কোন কথা না বলিয়া তাহার দুই জ্বরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া শুইয়া রহিল।” ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পেও হরসুন্দরীর জ্বর হয়েছে; ম্যালেরিয়া। ‘জ্বর আর কিছুতেই ছাড়িতে চাহে না। ডাক্তার যতই কুইনাইন দেয় বাধাগ্রস্ত প্রবল স্রোতের ন্যায় জ্বরও তত ঊর্ধ্বে চড়িতে থাকে। এমনি বিশ দিন, বাইশ দিন, চল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যাধি চলিল।’

‘ভাইফোটা’ গল্পে এসেছে মারণাত্মক ব্যাধি ম্যালেরিয়ার বিবরণ, ‘স্বামীর সঙ্গে মফস্বলে ফিরিবার সময় বার বার ম্যালেরিয়া জ্বরে পড়িয়া অনুর এখন এমন দশা যে ডাক্তাররা ভয় করিতেছে, তাকে ক্ষয়রোগে ধরিয়াছে।’

    ‘মাল্যদান’ গল্পে সরাসরি প্লেগের প্রসঙ্গ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ : মেয়েটিকে সকলে ‘কুড়ানি’ নামেই চিনত। ‘কুড়ানি’ নামের কারণ দুর্ভিক্ষের সময় তার বাবা-মা মারা যায়, মেয়েটিকে ‘কুড়িয়ে এনে’ প্রতিপালন করছে পটলদের পরিবার।

মাল্যদান যে সময়ে লেখা সে সময়ে কলকাতা শহরে চলছিল প্লেগের। ‘পটলের স্বামী হরকুমার বাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট... প্লেগের ভয়ে বালিতে একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লইয়া থাকেন, সেখান হইতে কলিকাতায় যাতায়াত করেন।’ যা হোক, অসুস্থ কুড়ানিকে বহুদিন পর হাসপাতালের বেডে দেখে অবাক হয়েছিল যতীন। তার মনে হলো, ‘এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যতেœ ফুলের মত সুকুমার করিয়া দুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন।’ মৃত্যুর আগে যতীনের সাথে তার মালাবদল ঘটে।

শেষ পর্যন্ত ‘কুড়ানিকে’ বাঁচানো যায়নি প্লেগের করাল গ্রাস থেকে। কুড়ানিকে খোঁজার প্রসঙ্গে এসেছে, “সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল।”

    দুর্ভিক্ষের মরণ থাবা দৈব-দুর্বিপাকের মতোই আমাদের গ্রাস করেছে বার বার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০ সাল) শুরু হয় মন্বন্তর। তা ছিল মূলত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। যুদ্ধ থেমে যায়। কালোবাজারি মজুতদারদের হাতে চলে যায় বাংলার উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ। মানুষের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষ রক্ষা করে ধনিকশ্রেণীর স্বার্থ। মুষ্টিমেয় লোকের গোলায় জমা হয় অজস্র সম্পদ, মাঠের ফসল। বাংলাসাহিত্যে তৎকালীন সময় যা কিছু রচিত হয়েছে তার বেশির ভাগটাই এই ১৩৫০-এর মন্বন্তরকে ঘিরেই। ময়মনসিংহের ভাটিয়ালি লোকগানে শোনা যায় : ১৩৫০-এর কথা / মনে কি কেউ পড়ে রে / মনে কি কেউ পড়ে রে / ক্ষুধার জ্বালায় বুকের ছাওয়াল মায়ে বিক্রি করে রে / চুরাই বাজারে...। সত্যেন দত্তের বিখ্যাত গানের কলি নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে : ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি/বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশিষে অমৃতের টীকা পরি।’ আর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘বোধন’ কবিতা তো আরও শানিত : এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার/ লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার/ এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি/ নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি/ কোথাও নেইকো পার/ মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার/ আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল/ এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের কাল...।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক
যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক

৪৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক
রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর