শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

পর্ব - এক

দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
প্রিন্ট ভার্সন
দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

“ইন্দ্র বলিল, মড়া! আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা! সবাই তো পোড়াতে পারে না...মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে। ... কুণ্ঠিত হইয়া যেই জিজ্ঞাসা করিলাম- কি জাতের মড়া- তুমি ছোঁবে? ইন্দ্র সরিয়া আসিয়া একহাত তাহার ঘাড়ের তলায় এবং অন্যহাত হাঁটুর নীচে দিয়া একটা শুস্ক তৃণখন্ডের মত স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইয়া কহিল, মড়ার কি জাত থাকে রে? আমি তর্ক করিলাম, কেন থাকবে না? ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা-এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরি হোক- এখন ডিঙি ছাড়া একে কেউ বলবে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।”

      হ্যাঁ, শ্রীকান্ত। আপনার আন্দাজ শতভাগ সঠিক। বাংলাসাহিত্যের পাঠকমাত্রেই জানেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম পর্বের উদ্ধৃতি এটি। প্রেক্ষাপট শ্রীকান্ত-ইন্দ্রনাথের রোমাঞ্চকর নৈশ-নৌঅভিযাত্রা। কলেরার মড়কে প্রাণ হারানো এক অজ্ঞাত পরিচয় শিশুর লাশকে ঘিরেই তাদের এই সংলাপ। ইন্দ্রনাথ সেই ছ’সাত বছরের শিশুর মরদেহটাকে ডিঙিতে তুলে দূরের চরের ঝাউবনের মধ্যে ফেলে আসে। আর ঠিক তখনই সামনে চলে আসে জাত-পাতের এই অভব্য প্রশ্ন।

     মানব-ইতিহাস আর দুর্বিপাক সমান বয়েসি। মানুষের ক্রমোত্থানের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দুর্বিপাকের অনুষঙ্গ। সাহিত্যের উপজীব্য এবং এর অভিযাত্রার গন্তব্যও মানুষ। এর কর্তা, কর্ম, করণ লক্ষ্য, উপলক্ষ, পাত্র-পাত্রী, অংশীজন- সবই মানুষ। সে কারণেই সাহিত্যে অবলীলায় ঘটে যায় মানুষের আনন্দ-বিষাদ, হর্ষ-হাহাকার, সংকট-সম্ভাবনা, উত্থান-পতন, মিলন-বিচ্ছেদ, প্রীতি-নিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সরব উপস্থিতি। আর এ উপস্থিতি মূলত অনিবার্য উপস্থিতি। কারণ সাহিত্যের সৃজক এবং জোগানদাতাও মানুষ, কাঁচামালও মানুষ, ভোক্তাও মানুষ। খানিকটা সংজ্ঞার মতো শোনালেও সাহিত্য মানুষের দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য রচিত শিল্পকর্ম। মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা দৈবিক- মানবিক যে কোনো বিপর্যয়ে সাহিত্য সরব হয়েছে শৈল্পিক সমবেদনায়। দৈব-দুর্বিপাকের পরও সাহিত্যের আবেদন থেকে যায় অফুরান।

   দুর্বিপাকের সাহিত্য রচনায় শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রভাবশালী পথিকৃৎ। তাঁর পুরো শ্রীকান্ত উপন্যাসজুড়েই রয়েছে অতিমারি, মহামারি, মারী বা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্বিপাকের ছবি। কলেরা, প্লেগ, বসন্ত ও ম্যালেরিয়া- মোটা দাগে আমরা এমন চারটি মারণ-ব্যাধির উল্লেখ দেখতে পাই শ্রীকান্তে। রাজলক্ষ্মীকে পরিচয় করানোর পর্যায়ের বিবরণে দেখি, “...ইহার রঙটা বরাবর ফর্সা; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেটটা ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলো তামার শলার মত-কতগুলি তাহা গুনিয়া বলা যাইত।” অন্যের শুশ্রƒষা করতে গিয়ে শ্রীকান্ত নিজেও পড়েছিলো মহামারির কবলে। তখন পাওয়া যায় আরেক মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিবরণ : “সকাল বেলা শোনা গেল, আরও পাঁচ-সাতখানি গ্রামের মধ্যে তখন বসন্ত মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে।”

  ‘শ্রীকান্ত’ দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকান্তের বর্মাদেশে সফরের প্রাক্কালে পাই প্লেগ মহামারির বিবরণ। কলকাতার জাহাজঘাটায় ‘ভেড়ার পালের মত’ সারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌদ্দ-পনেরো শ’ মানুষ। শ্রীকান্ত তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে ‘পিলেগ’ (প্লেগ)’র কথা। শ্রীকান্ত উপন্যাসের এ পর্বেই বাঙালি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। জাহাজ যে দিন রেঙ্গুন পৌঁছুবে, সেদিনই সকালে শ্রীকান্ত দেখে যে, সমস্ত লোকের মুখে ভয় ও চাঞ্চল্য। “চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine : তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চরায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশ দিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।”  কোয়ারেন্টিন শব্দের উদ্ভব ইতালীয় শব্দ ‘কোয়ারান্টা জিওরনি’ থেকে- যার অর্থ ৪০ দিন। চতুর্দশ শতকে ইতালিতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর সময়ে চালু হয় এই কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ-নিরোধ। মূলত এটা ছিল জাহাজকে জনপদ থেকে পৃথকীকরণের অনুশীলন। উপকূলীয় শহরগুলোকে প্লেগের মহামারি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সংক্রমিত বন্দরগুলো থেকে ভেনিসে পৌঁছানো জাহাজগুলোকে অবতরণের আগে ৪০ দিনের জন্য নোঙ্গরে বসে থাকতে হতো। প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুবরণ করতে সময় লাগত মোটামুটি ৪০ দিন। এই নিরোধ চল্লিশ দিন করবার বিশেষ মাজেজা সেটাই। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের জীবন নিধনকারী চলমান করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বমারীকালে লকডাউনের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্য। এর নাম হতে পারে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কিংবা ‘ব্যাধি কিংবা দুরাচারের সঙ্গ-নিরোধ’। সে অর্থে পৌরাণিক কাহিনিতে লকডাউনে আবদ্ধ প্রথম মানুষ একজন নারী। তাঁর নাম সীতা। তাঁর লক-ডাউনের প্রকৃতি হলো ‘লক্ষণ রেখা’; সীতার নিরাপত্তার জন্য পঞ্চবটী বনের কুটির অঙ্গনে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক অঙ্কিত মন্ত্ররেখা। সে কারণেই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ‘লকডাউন’ বোঝাতে ঘরের চারদিকে ‘লক্ষ্মণরেখা’র উল্লেখ করেছেন। দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবার পরামর্শ দেন তিনি।

  মানবতাবাদী ইতালীয় লেখক জিওভান্নি বোকাসিও’র উপন্যাসের সংকলন ডেকামেরন ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ এর প্রকাশ কাল ১৩৫৩। কাহিনির প্রেক্ষিত এরকম: ব্ল্যাক ডেথ থেকে বাঁচবার জন্য ফ্লোরেন্স শহরের সীমানা থেকে দূরবর্তী ফিয়াসোলের পল্লীর এক নির্জন ভিলায় সাত তরুণ মহিলা এবং তিন যুবক দুই সপ্তাহ যাবত পালিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পার করবার জন্য, দলের প্রতিটি সদস্য প্রতি রাতে একটি করে গল্প শোনায়। সাপ্তাহিক ছুটি এবং পবিত্র দিনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহ গল্পকথনের দশ রাত হয়ে যায়। এভাবে, পনেরো দিন শেষে তারা ১০০টি গল্প শোনায়। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যের দুর্বিপাকের সাহিত্যে বর্ণিত কোয়ারেন্টিনের সূচনা চেহারা। যদিও গ্রিক পুরাণে জরা-মারীর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায় চাপানো হয় ‘প্যান্ডোরার বাক্স’র ওপর, আর ট্রয়ের যুদ্ধে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ট্রোজানদের জন্য প্রথমেই পাঠিয়েছিলেন মহামারিকে- সেসব বিষয়ে পরবর্তী আরেকটি পর্বে ‘বিশ্বসাহিত্যে দুর্বিপাক’ পর্যায়ে আলোকপাত করা যাবে।

   ফিরে আসি শরৎ সাহিত্যে। তাঁর ‘পন্ডিতমশাই’ উপন্যাসে গ্রামের একমাত্র পুকুরে কলেরা রোগীর ব্যবহারের বস্ত্র ধোওয়া হতে থাকে পন্ডিতমশাই বৃন্দাবনের চোখের সামনেই। এই পুকুর সারা গ্রামের জলের চাহিদা জোগায়। ফলে সেই জল খেয়ে গ্রামে মড়ক লাগে। তার মা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিজের সন্তানকেও কলেরায় হারান পন্ডিতমশাই।

তার ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর্শবাদী যুবক রমেশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামকে রক্ষা করতে চায়। জাতপাতের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের গরিব কৃষককে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য-বিধি পরিবর্তন করতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কে সৃষ্টি করতে চায় গণসচেতনতা। আর এটা করতে গিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয় সনাতনী হিন্দুপ্রথার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের বর্ণনা এরকম, “রমেশও জ্বরে পড়িল। গত বৎসর এই রাক্ষসীর আক্রমণকে সে উপেক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু এ বৎসর আর পারিল না। ...তিন দিন জ্বরভোগের পর আজ সকালে উঠিয়া খুব খানিকটা কুইনিন গিলিয়া লইয়া ভাবিতেছিল, গ্রামের এই সমস্ত অনাবশ্যক ডোবা ও জঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন করা সম্ভব কি না। এই তিন দিন মাত্র জ্বরভোগ করিয়াই সে স্পষ্ট বুঝিয়াছিল, যা হউক কিছু একটা করিতেই হইবে।” এক কথায় বলা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রথম অঘোষিত, অস্বীকৃত কর্মী ছিল পল্লীসমাজের রমেশ।

     মাঝুলি নামের গ্রামে প্লেগ কী ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে, তার করুণ চিত্র বিধৃত আছে ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে। এর অন্যতম চরিত্র সুরেশ প্লেগ-আক্রান্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর ‘পথেরদাবী’ উপন্যাস ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পেও এসেছে মড়ক-মহামারি প্রসঙ্গ। তার ‘লালু’ গল্পে পাওয়া যায় আরেক সাহসী ও পরোপকারী চরিত্র গোপালখুড়োকে; যার মতে, কলেরা রোগীর সেবা করার ‘চেয়ে পুণ্যকর্ম সংসারে নেই’। কলেরার ভয়াবহতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াকু গোপালখুড়োর চরিত্র শরৎচন্দ্রের অনবদ্য অঙ্কন এভাবে: ‘আমাদের শহরে তখন শীত পড়েছে, হঠাৎ কলেরা দেখা দিলে। তখনকার দিনে ওলাওঠার নামে মানুষে ভয়ে হতজ্ঞান হতো। কারও কলেরা হয়েছে শুনতে পেলে সে পাড়ায় মানুষ থাকতো না। মারা গেলে দাহ করার লোক মেলা দুর্ঘট হতো। কিন্তু সে দুর্দিনেও আমাদের ওখানে একজন ছিলেন যাঁর কখনো আপত্তি ছিল না। গোপালখুড়ো তাঁর নাম, জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো। কারও অসুখ শক্ত হয়ে উঠলে তিনি ডাক্তারের কাছে প্রত্যহ সংবাদ নিতেন। আশা নেই শুনলে খালি পায়ে গামছা কাঁধে তিনি ঘণ্টা-দুই পূর্বেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন।’

  রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস, কবিতা অবলীলায় ধারণ করেছে বাঙালির দৈব-দুর্বিপাকের মর্মন্তুদ চিত্র। ১৮৯০-এর দশকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু লেখাতেই এসেছে কলকাতার প্লেগের প্রসঙ্গ। তাঁর ‘দুর্বুদ্ধি’ এবং ‘দিদি’ গল্পে এক বালিকা ও এক নারী কলেরায় মারা যায়, দুজনের নামই শশী। ১৯১৬ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে রয়েছে প্লেগের উল্লেখ। শশীর কাকা কলকাতায় প্লেগের সময় রোগীদের চিকিৎসার্থে তাদের বাড়িটিকে আরোগ্য-নিকেতন হিসেবে গড়ে তোলেন। রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনিও মারা যান। ‘গোরা’ উপন্যাসে হরিমোহিনীর বিবরণে পাই, “কলেরা হইয়া চারি দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ও স্বামী মারা গেলেন।” পোস্টমাস্টার গল্পের রতন উল্লাপাড়ার ‘পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা’। পোস্টমাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভীষণ জ্বর। সেই জ্বর সাধারণ জ্বর নয়; কালাজ্বর। রতনকেই নিত্যে হলো সেবা-শুশ্রƒষার। ‘বহুদিন পরে পোস্টমাস্টার ক্ষীণ শরীরে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন’ এবং ‘মনে স্থির করিলেন, আর নয়, এখান হইতে কোনোমতে বদলি হইতে হইবে।’ কর্তৃপক্ষকে যে-চিঠি লিখলেন তাতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ‘স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা’। লেখকের বিবরণ শুনে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ম্যালেরিয়া জ্বরের কবলেই তখন পড়েছিলেন পোস্টমাস্টার।

       ‘হৈমন্তী’ গল্পে হৈমন্তী পড়েছে শক্ত অসুখে। তবুও বাপের বাড়ি যেতে পারেনি। বাবাকে ফিরে যেতে হয়েছে একা। ‘ শ্বশুরমশায় স্বয়ং একজন ভালো ডাক্তার আনিয়া পরীক্ষা করাইলেন। ডাক্তার বলিলেন, “বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।” বাবা হাসিয়া কহিলেন, হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো তো সকলেরই হইতে পারে।’ ‘শেষের রাত্রি’ গল্পের নায়ক যতীন রোগশয্যায়। সে আশা করে আছে তার অল্প-বয়সী বউ মনি তার সেবা-শুশ্রƒষা করবে। কিন্তু মনি যেতে যাচ্ছে তার বাপের বাড়িতে-তার ছোট বোনকে দেখতে।’ গল্পের শেষে যতীনের মৃত্যু হয় দুরারোগ্য ব্যাধিতে।

‘দৃষ্টিদান’ গল্পে দৃষ্টিহারা কুমু শুনেছে যে তার ডাক্তার স্বামীর কাছে এক ‘বৃদ্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাওঠার চিকিৎসার জন্য’ এসেছেন। ব্যাধির কালো প্রভাব রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে। ফটিক হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে। সেই জ্বর ক্রমেই বেড়ে চলে। ডাক্তার বললেন, ‘অবস্থা বড়ই খারাপ।’ এভাবেই এক-পর্যায়ে ফটিককে চলে যেতে হয় অনন্ত ছুটির অবকাশে।

     ‘সম্পাদক’ গল্পে মূল চরিত্র লেখক। নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, মা-মরা একমাত্র মেয়ে প্রভার দিকে তাকানোরও ফুরসুৎ নেই তার। বাবার অযত্ন-অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা। “...পাশে আসিয়া বসিলাম। বালিকা কোন কথা না বলিয়া তাহার দুই জ্বরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া শুইয়া রহিল।” ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পেও হরসুন্দরীর জ্বর হয়েছে; ম্যালেরিয়া। ‘জ্বর আর কিছুতেই ছাড়িতে চাহে না। ডাক্তার যতই কুইনাইন দেয় বাধাগ্রস্ত প্রবল স্রোতের ন্যায় জ্বরও তত ঊর্ধ্বে চড়িতে থাকে। এমনি বিশ দিন, বাইশ দিন, চল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যাধি চলিল।’

‘ভাইফোটা’ গল্পে এসেছে মারণাত্মক ব্যাধি ম্যালেরিয়ার বিবরণ, ‘স্বামীর সঙ্গে মফস্বলে ফিরিবার সময় বার বার ম্যালেরিয়া জ্বরে পড়িয়া অনুর এখন এমন দশা যে ডাক্তাররা ভয় করিতেছে, তাকে ক্ষয়রোগে ধরিয়াছে।’

    ‘মাল্যদান’ গল্পে সরাসরি প্লেগের প্রসঙ্গ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ : মেয়েটিকে সকলে ‘কুড়ানি’ নামেই চিনত। ‘কুড়ানি’ নামের কারণ দুর্ভিক্ষের সময় তার বাবা-মা মারা যায়, মেয়েটিকে ‘কুড়িয়ে এনে’ প্রতিপালন করছে পটলদের পরিবার।

মাল্যদান যে সময়ে লেখা সে সময়ে কলকাতা শহরে চলছিল প্লেগের। ‘পটলের স্বামী হরকুমার বাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট... প্লেগের ভয়ে বালিতে একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লইয়া থাকেন, সেখান হইতে কলিকাতায় যাতায়াত করেন।’ যা হোক, অসুস্থ কুড়ানিকে বহুদিন পর হাসপাতালের বেডে দেখে অবাক হয়েছিল যতীন। তার মনে হলো, ‘এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যতেœ ফুলের মত সুকুমার করিয়া দুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন।’ মৃত্যুর আগে যতীনের সাথে তার মালাবদল ঘটে।

শেষ পর্যন্ত ‘কুড়ানিকে’ বাঁচানো যায়নি প্লেগের করাল গ্রাস থেকে। কুড়ানিকে খোঁজার প্রসঙ্গে এসেছে, “সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল।”

    দুর্ভিক্ষের মরণ থাবা দৈব-দুর্বিপাকের মতোই আমাদের গ্রাস করেছে বার বার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০ সাল) শুরু হয় মন্বন্তর। তা ছিল মূলত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। যুদ্ধ থেমে যায়। কালোবাজারি মজুতদারদের হাতে চলে যায় বাংলার উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ। মানুষের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষ রক্ষা করে ধনিকশ্রেণীর স্বার্থ। মুষ্টিমেয় লোকের গোলায় জমা হয় অজস্র সম্পদ, মাঠের ফসল। বাংলাসাহিত্যে তৎকালীন সময় যা কিছু রচিত হয়েছে তার বেশির ভাগটাই এই ১৩৫০-এর মন্বন্তরকে ঘিরেই। ময়মনসিংহের ভাটিয়ালি লোকগানে শোনা যায় : ১৩৫০-এর কথা / মনে কি কেউ পড়ে রে / মনে কি কেউ পড়ে রে / ক্ষুধার জ্বালায় বুকের ছাওয়াল মায়ে বিক্রি করে রে / চুরাই বাজারে...। সত্যেন দত্তের বিখ্যাত গানের কলি নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে : ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি/বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশিষে অমৃতের টীকা পরি।’ আর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘বোধন’ কবিতা তো আরও শানিত : এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার/ লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার/ এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি/ নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি/ কোথাও নেইকো পার/ মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার/ আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল/ এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের কাল...।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর
ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম
ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন