শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

পর্ব - এক

দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
প্রিন্ট ভার্সন
দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

“ইন্দ্র বলিল, মড়া! আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা! সবাই তো পোড়াতে পারে না...মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে। ... কুণ্ঠিত হইয়া যেই জিজ্ঞাসা করিলাম- কি জাতের মড়া- তুমি ছোঁবে? ইন্দ্র সরিয়া আসিয়া একহাত তাহার ঘাড়ের তলায় এবং অন্যহাত হাঁটুর নীচে দিয়া একটা শুস্ক তৃণখন্ডের মত স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইয়া কহিল, মড়ার কি জাত থাকে রে? আমি তর্ক করিলাম, কেন থাকবে না? ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা-এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরি হোক- এখন ডিঙি ছাড়া একে কেউ বলবে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।”

      হ্যাঁ, শ্রীকান্ত। আপনার আন্দাজ শতভাগ সঠিক। বাংলাসাহিত্যের পাঠকমাত্রেই জানেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম পর্বের উদ্ধৃতি এটি। প্রেক্ষাপট শ্রীকান্ত-ইন্দ্রনাথের রোমাঞ্চকর নৈশ-নৌঅভিযাত্রা। কলেরার মড়কে প্রাণ হারানো এক অজ্ঞাত পরিচয় শিশুর লাশকে ঘিরেই তাদের এই সংলাপ। ইন্দ্রনাথ সেই ছ’সাত বছরের শিশুর মরদেহটাকে ডিঙিতে তুলে দূরের চরের ঝাউবনের মধ্যে ফেলে আসে। আর ঠিক তখনই সামনে চলে আসে জাত-পাতের এই অভব্য প্রশ্ন।

     মানব-ইতিহাস আর দুর্বিপাক সমান বয়েসি। মানুষের ক্রমোত্থানের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দুর্বিপাকের অনুষঙ্গ। সাহিত্যের উপজীব্য এবং এর অভিযাত্রার গন্তব্যও মানুষ। এর কর্তা, কর্ম, করণ লক্ষ্য, উপলক্ষ, পাত্র-পাত্রী, অংশীজন- সবই মানুষ। সে কারণেই সাহিত্যে অবলীলায় ঘটে যায় মানুষের আনন্দ-বিষাদ, হর্ষ-হাহাকার, সংকট-সম্ভাবনা, উত্থান-পতন, মিলন-বিচ্ছেদ, প্রীতি-নিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সরব উপস্থিতি। আর এ উপস্থিতি মূলত অনিবার্য উপস্থিতি। কারণ সাহিত্যের সৃজক এবং জোগানদাতাও মানুষ, কাঁচামালও মানুষ, ভোক্তাও মানুষ। খানিকটা সংজ্ঞার মতো শোনালেও সাহিত্য মানুষের দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য রচিত শিল্পকর্ম। মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা দৈবিক- মানবিক যে কোনো বিপর্যয়ে সাহিত্য সরব হয়েছে শৈল্পিক সমবেদনায়। দৈব-দুর্বিপাকের পরও সাহিত্যের আবেদন থেকে যায় অফুরান।

   দুর্বিপাকের সাহিত্য রচনায় শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রভাবশালী পথিকৃৎ। তাঁর পুরো শ্রীকান্ত উপন্যাসজুড়েই রয়েছে অতিমারি, মহামারি, মারী বা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্বিপাকের ছবি। কলেরা, প্লেগ, বসন্ত ও ম্যালেরিয়া- মোটা দাগে আমরা এমন চারটি মারণ-ব্যাধির উল্লেখ দেখতে পাই শ্রীকান্তে। রাজলক্ষ্মীকে পরিচয় করানোর পর্যায়ের বিবরণে দেখি, “...ইহার রঙটা বরাবর ফর্সা; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেটটা ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলো তামার শলার মত-কতগুলি তাহা গুনিয়া বলা যাইত।” অন্যের শুশ্রƒষা করতে গিয়ে শ্রীকান্ত নিজেও পড়েছিলো মহামারির কবলে। তখন পাওয়া যায় আরেক মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিবরণ : “সকাল বেলা শোনা গেল, আরও পাঁচ-সাতখানি গ্রামের মধ্যে তখন বসন্ত মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে।”

  ‘শ্রীকান্ত’ দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকান্তের বর্মাদেশে সফরের প্রাক্কালে পাই প্লেগ মহামারির বিবরণ। কলকাতার জাহাজঘাটায় ‘ভেড়ার পালের মত’ সারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌদ্দ-পনেরো শ’ মানুষ। শ্রীকান্ত তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে ‘পিলেগ’ (প্লেগ)’র কথা। শ্রীকান্ত উপন্যাসের এ পর্বেই বাঙালি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। জাহাজ যে দিন রেঙ্গুন পৌঁছুবে, সেদিনই সকালে শ্রীকান্ত দেখে যে, সমস্ত লোকের মুখে ভয় ও চাঞ্চল্য। “চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine : তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চরায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশ দিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।”  কোয়ারেন্টিন শব্দের উদ্ভব ইতালীয় শব্দ ‘কোয়ারান্টা জিওরনি’ থেকে- যার অর্থ ৪০ দিন। চতুর্দশ শতকে ইতালিতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর সময়ে চালু হয় এই কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ-নিরোধ। মূলত এটা ছিল জাহাজকে জনপদ থেকে পৃথকীকরণের অনুশীলন। উপকূলীয় শহরগুলোকে প্লেগের মহামারি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সংক্রমিত বন্দরগুলো থেকে ভেনিসে পৌঁছানো জাহাজগুলোকে অবতরণের আগে ৪০ দিনের জন্য নোঙ্গরে বসে থাকতে হতো। প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুবরণ করতে সময় লাগত মোটামুটি ৪০ দিন। এই নিরোধ চল্লিশ দিন করবার বিশেষ মাজেজা সেটাই। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের জীবন নিধনকারী চলমান করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বমারীকালে লকডাউনের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্য। এর নাম হতে পারে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কিংবা ‘ব্যাধি কিংবা দুরাচারের সঙ্গ-নিরোধ’। সে অর্থে পৌরাণিক কাহিনিতে লকডাউনে আবদ্ধ প্রথম মানুষ একজন নারী। তাঁর নাম সীতা। তাঁর লক-ডাউনের প্রকৃতি হলো ‘লক্ষণ রেখা’; সীতার নিরাপত্তার জন্য পঞ্চবটী বনের কুটির অঙ্গনে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক অঙ্কিত মন্ত্ররেখা। সে কারণেই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ‘লকডাউন’ বোঝাতে ঘরের চারদিকে ‘লক্ষ্মণরেখা’র উল্লেখ করেছেন। দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবার পরামর্শ দেন তিনি।

  মানবতাবাদী ইতালীয় লেখক জিওভান্নি বোকাসিও’র উপন্যাসের সংকলন ডেকামেরন ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ এর প্রকাশ কাল ১৩৫৩। কাহিনির প্রেক্ষিত এরকম: ব্ল্যাক ডেথ থেকে বাঁচবার জন্য ফ্লোরেন্স শহরের সীমানা থেকে দূরবর্তী ফিয়াসোলের পল্লীর এক নির্জন ভিলায় সাত তরুণ মহিলা এবং তিন যুবক দুই সপ্তাহ যাবত পালিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পার করবার জন্য, দলের প্রতিটি সদস্য প্রতি রাতে একটি করে গল্প শোনায়। সাপ্তাহিক ছুটি এবং পবিত্র দিনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহ গল্পকথনের দশ রাত হয়ে যায়। এভাবে, পনেরো দিন শেষে তারা ১০০টি গল্প শোনায়। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যের দুর্বিপাকের সাহিত্যে বর্ণিত কোয়ারেন্টিনের সূচনা চেহারা। যদিও গ্রিক পুরাণে জরা-মারীর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায় চাপানো হয় ‘প্যান্ডোরার বাক্স’র ওপর, আর ট্রয়ের যুদ্ধে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ট্রোজানদের জন্য প্রথমেই পাঠিয়েছিলেন মহামারিকে- সেসব বিষয়ে পরবর্তী আরেকটি পর্বে ‘বিশ্বসাহিত্যে দুর্বিপাক’ পর্যায়ে আলোকপাত করা যাবে।

   ফিরে আসি শরৎ সাহিত্যে। তাঁর ‘পন্ডিতমশাই’ উপন্যাসে গ্রামের একমাত্র পুকুরে কলেরা রোগীর ব্যবহারের বস্ত্র ধোওয়া হতে থাকে পন্ডিতমশাই বৃন্দাবনের চোখের সামনেই। এই পুকুর সারা গ্রামের জলের চাহিদা জোগায়। ফলে সেই জল খেয়ে গ্রামে মড়ক লাগে। তার মা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিজের সন্তানকেও কলেরায় হারান পন্ডিতমশাই।

তার ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর্শবাদী যুবক রমেশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামকে রক্ষা করতে চায়। জাতপাতের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের গরিব কৃষককে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য-বিধি পরিবর্তন করতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কে সৃষ্টি করতে চায় গণসচেতনতা। আর এটা করতে গিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয় সনাতনী হিন্দুপ্রথার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের বর্ণনা এরকম, “রমেশও জ্বরে পড়িল। গত বৎসর এই রাক্ষসীর আক্রমণকে সে উপেক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু এ বৎসর আর পারিল না। ...তিন দিন জ্বরভোগের পর আজ সকালে উঠিয়া খুব খানিকটা কুইনিন গিলিয়া লইয়া ভাবিতেছিল, গ্রামের এই সমস্ত অনাবশ্যক ডোবা ও জঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন করা সম্ভব কি না। এই তিন দিন মাত্র জ্বরভোগ করিয়াই সে স্পষ্ট বুঝিয়াছিল, যা হউক কিছু একটা করিতেই হইবে।” এক কথায় বলা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রথম অঘোষিত, অস্বীকৃত কর্মী ছিল পল্লীসমাজের রমেশ।

     মাঝুলি নামের গ্রামে প্লেগ কী ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে, তার করুণ চিত্র বিধৃত আছে ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে। এর অন্যতম চরিত্র সুরেশ প্লেগ-আক্রান্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর ‘পথেরদাবী’ উপন্যাস ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পেও এসেছে মড়ক-মহামারি প্রসঙ্গ। তার ‘লালু’ গল্পে পাওয়া যায় আরেক সাহসী ও পরোপকারী চরিত্র গোপালখুড়োকে; যার মতে, কলেরা রোগীর সেবা করার ‘চেয়ে পুণ্যকর্ম সংসারে নেই’। কলেরার ভয়াবহতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াকু গোপালখুড়োর চরিত্র শরৎচন্দ্রের অনবদ্য অঙ্কন এভাবে: ‘আমাদের শহরে তখন শীত পড়েছে, হঠাৎ কলেরা দেখা দিলে। তখনকার দিনে ওলাওঠার নামে মানুষে ভয়ে হতজ্ঞান হতো। কারও কলেরা হয়েছে শুনতে পেলে সে পাড়ায় মানুষ থাকতো না। মারা গেলে দাহ করার লোক মেলা দুর্ঘট হতো। কিন্তু সে দুর্দিনেও আমাদের ওখানে একজন ছিলেন যাঁর কখনো আপত্তি ছিল না। গোপালখুড়ো তাঁর নাম, জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো। কারও অসুখ শক্ত হয়ে উঠলে তিনি ডাক্তারের কাছে প্রত্যহ সংবাদ নিতেন। আশা নেই শুনলে খালি পায়ে গামছা কাঁধে তিনি ঘণ্টা-দুই পূর্বেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন।’

  রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস, কবিতা অবলীলায় ধারণ করেছে বাঙালির দৈব-দুর্বিপাকের মর্মন্তুদ চিত্র। ১৮৯০-এর দশকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু লেখাতেই এসেছে কলকাতার প্লেগের প্রসঙ্গ। তাঁর ‘দুর্বুদ্ধি’ এবং ‘দিদি’ গল্পে এক বালিকা ও এক নারী কলেরায় মারা যায়, দুজনের নামই শশী। ১৯১৬ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে রয়েছে প্লেগের উল্লেখ। শশীর কাকা কলকাতায় প্লেগের সময় রোগীদের চিকিৎসার্থে তাদের বাড়িটিকে আরোগ্য-নিকেতন হিসেবে গড়ে তোলেন। রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনিও মারা যান। ‘গোরা’ উপন্যাসে হরিমোহিনীর বিবরণে পাই, “কলেরা হইয়া চারি দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ও স্বামী মারা গেলেন।” পোস্টমাস্টার গল্পের রতন উল্লাপাড়ার ‘পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা’। পোস্টমাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভীষণ জ্বর। সেই জ্বর সাধারণ জ্বর নয়; কালাজ্বর। রতনকেই নিত্যে হলো সেবা-শুশ্রƒষার। ‘বহুদিন পরে পোস্টমাস্টার ক্ষীণ শরীরে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন’ এবং ‘মনে স্থির করিলেন, আর নয়, এখান হইতে কোনোমতে বদলি হইতে হইবে।’ কর্তৃপক্ষকে যে-চিঠি লিখলেন তাতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ‘স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা’। লেখকের বিবরণ শুনে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ম্যালেরিয়া জ্বরের কবলেই তখন পড়েছিলেন পোস্টমাস্টার।

       ‘হৈমন্তী’ গল্পে হৈমন্তী পড়েছে শক্ত অসুখে। তবুও বাপের বাড়ি যেতে পারেনি। বাবাকে ফিরে যেতে হয়েছে একা। ‘ শ্বশুরমশায় স্বয়ং একজন ভালো ডাক্তার আনিয়া পরীক্ষা করাইলেন। ডাক্তার বলিলেন, “বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।” বাবা হাসিয়া কহিলেন, হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো তো সকলেরই হইতে পারে।’ ‘শেষের রাত্রি’ গল্পের নায়ক যতীন রোগশয্যায়। সে আশা করে আছে তার অল্প-বয়সী বউ মনি তার সেবা-শুশ্রƒষা করবে। কিন্তু মনি যেতে যাচ্ছে তার বাপের বাড়িতে-তার ছোট বোনকে দেখতে।’ গল্পের শেষে যতীনের মৃত্যু হয় দুরারোগ্য ব্যাধিতে।

‘দৃষ্টিদান’ গল্পে দৃষ্টিহারা কুমু শুনেছে যে তার ডাক্তার স্বামীর কাছে এক ‘বৃদ্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাওঠার চিকিৎসার জন্য’ এসেছেন। ব্যাধির কালো প্রভাব রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে। ফটিক হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে। সেই জ্বর ক্রমেই বেড়ে চলে। ডাক্তার বললেন, ‘অবস্থা বড়ই খারাপ।’ এভাবেই এক-পর্যায়ে ফটিককে চলে যেতে হয় অনন্ত ছুটির অবকাশে।

     ‘সম্পাদক’ গল্পে মূল চরিত্র লেখক। নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, মা-মরা একমাত্র মেয়ে প্রভার দিকে তাকানোরও ফুরসুৎ নেই তার। বাবার অযত্ন-অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা। “...পাশে আসিয়া বসিলাম। বালিকা কোন কথা না বলিয়া তাহার দুই জ্বরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া শুইয়া রহিল।” ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পেও হরসুন্দরীর জ্বর হয়েছে; ম্যালেরিয়া। ‘জ্বর আর কিছুতেই ছাড়িতে চাহে না। ডাক্তার যতই কুইনাইন দেয় বাধাগ্রস্ত প্রবল স্রোতের ন্যায় জ্বরও তত ঊর্ধ্বে চড়িতে থাকে। এমনি বিশ দিন, বাইশ দিন, চল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যাধি চলিল।’

‘ভাইফোটা’ গল্পে এসেছে মারণাত্মক ব্যাধি ম্যালেরিয়ার বিবরণ, ‘স্বামীর সঙ্গে মফস্বলে ফিরিবার সময় বার বার ম্যালেরিয়া জ্বরে পড়িয়া অনুর এখন এমন দশা যে ডাক্তাররা ভয় করিতেছে, তাকে ক্ষয়রোগে ধরিয়াছে।’

    ‘মাল্যদান’ গল্পে সরাসরি প্লেগের প্রসঙ্গ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ : মেয়েটিকে সকলে ‘কুড়ানি’ নামেই চিনত। ‘কুড়ানি’ নামের কারণ দুর্ভিক্ষের সময় তার বাবা-মা মারা যায়, মেয়েটিকে ‘কুড়িয়ে এনে’ প্রতিপালন করছে পটলদের পরিবার।

মাল্যদান যে সময়ে লেখা সে সময়ে কলকাতা শহরে চলছিল প্লেগের। ‘পটলের স্বামী হরকুমার বাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট... প্লেগের ভয়ে বালিতে একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লইয়া থাকেন, সেখান হইতে কলিকাতায় যাতায়াত করেন।’ যা হোক, অসুস্থ কুড়ানিকে বহুদিন পর হাসপাতালের বেডে দেখে অবাক হয়েছিল যতীন। তার মনে হলো, ‘এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যতেœ ফুলের মত সুকুমার করিয়া দুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন।’ মৃত্যুর আগে যতীনের সাথে তার মালাবদল ঘটে।

শেষ পর্যন্ত ‘কুড়ানিকে’ বাঁচানো যায়নি প্লেগের করাল গ্রাস থেকে। কুড়ানিকে খোঁজার প্রসঙ্গে এসেছে, “সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল।”

    দুর্ভিক্ষের মরণ থাবা দৈব-দুর্বিপাকের মতোই আমাদের গ্রাস করেছে বার বার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০ সাল) শুরু হয় মন্বন্তর। তা ছিল মূলত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। যুদ্ধ থেমে যায়। কালোবাজারি মজুতদারদের হাতে চলে যায় বাংলার উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ। মানুষের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষ রক্ষা করে ধনিকশ্রেণীর স্বার্থ। মুষ্টিমেয় লোকের গোলায় জমা হয় অজস্র সম্পদ, মাঠের ফসল। বাংলাসাহিত্যে তৎকালীন সময় যা কিছু রচিত হয়েছে তার বেশির ভাগটাই এই ১৩৫০-এর মন্বন্তরকে ঘিরেই। ময়মনসিংহের ভাটিয়ালি লোকগানে শোনা যায় : ১৩৫০-এর কথা / মনে কি কেউ পড়ে রে / মনে কি কেউ পড়ে রে / ক্ষুধার জ্বালায় বুকের ছাওয়াল মায়ে বিক্রি করে রে / চুরাই বাজারে...। সত্যেন দত্তের বিখ্যাত গানের কলি নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে : ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি/বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশিষে অমৃতের টীকা পরি।’ আর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘বোধন’ কবিতা তো আরও শানিত : এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার/ লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার/ এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি/ নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি/ কোথাও নেইকো পার/ মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার/ আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল/ এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের কাল...।

এই বিভাগের আরও খবর
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
সর্বশেষ খবর
রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন
রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান
লালমনিরহাটে আ.লীগ-জাপার ৫৬ ইউপি সদস্যের বিএনপিতে যোগদান

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড
এটাই আমার সেরা সময়: হলান্ড

৫৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক
কুড়িগ্রামে পাঠাগার উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা
বিশ্বকাপ জিতে পুলিশে চাকরিসহ একাধিক পুরস্কারে ভাসলেন রিচা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ
সিলেটে দেওয়ানী আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৫ শতাংশ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড
শেষ মুহূর্তের গোলে টটেনহ্যামের মাঠে হার এড়াল ইউনাইটেড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু
আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিস্ট নির্মূলের: মিনু

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান
মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ আটক ২
বান্দরবানে মদসহ আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান
নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা
অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা

কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ
কাকরাইলে চার্চের ফটকে ককটেল নিক্ষেপ

খবর

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা
জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ২০ বাধা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা
ওয়ানগালায় মেতেছেন শিল্পীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে
শ্রমিকদের মানববন্ধন প্রেস ক্লাবের সামনে

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল
নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কয়েকটি দল

নগর জীবন

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

খবর