শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

পর্ব - এক

দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
প্রিন্ট ভার্সন
দুর্বিপাকের সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের অনুষঙ্গ

“ইন্দ্র বলিল, মড়া! আজকাল ভয়ানক কলেরা হচ্ছে কিনা! সবাই তো পোড়াতে পারে না...মুখে একটুখানি আগুন ছুঁইয়ে ফেলে রেখে যায়। শিয়াল কুকুরে খায় আর পচে। ... কুণ্ঠিত হইয়া যেই জিজ্ঞাসা করিলাম- কি জাতের মড়া- তুমি ছোঁবে? ইন্দ্র সরিয়া আসিয়া একহাত তাহার ঘাড়ের তলায় এবং অন্যহাত হাঁটুর নীচে দিয়া একটা শুস্ক তৃণখন্ডের মত স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইয়া কহিল, মড়ার কি জাত থাকে রে? আমি তর্ক করিলাম, কেন থাকবে না? ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা-এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরি হোক- এখন ডিঙি ছাড়া একে কেউ বলবে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।”

      হ্যাঁ, শ্রীকান্ত। আপনার আন্দাজ শতভাগ সঠিক। বাংলাসাহিত্যের পাঠকমাত্রেই জানেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের প্রথম পর্বের উদ্ধৃতি এটি। প্রেক্ষাপট শ্রীকান্ত-ইন্দ্রনাথের রোমাঞ্চকর নৈশ-নৌঅভিযাত্রা। কলেরার মড়কে প্রাণ হারানো এক অজ্ঞাত পরিচয় শিশুর লাশকে ঘিরেই তাদের এই সংলাপ। ইন্দ্রনাথ সেই ছ’সাত বছরের শিশুর মরদেহটাকে ডিঙিতে তুলে দূরের চরের ঝাউবনের মধ্যে ফেলে আসে। আর ঠিক তখনই সামনে চলে আসে জাত-পাতের এই অভব্য প্রশ্ন।

     মানব-ইতিহাস আর দুর্বিপাক সমান বয়েসি। মানুষের ক্রমোত্থানের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে দুর্বিপাকের অনুষঙ্গ। সাহিত্যের উপজীব্য এবং এর অভিযাত্রার গন্তব্যও মানুষ। এর কর্তা, কর্ম, করণ লক্ষ্য, উপলক্ষ, পাত্র-পাত্রী, অংশীজন- সবই মানুষ। সে কারণেই সাহিত্যে অবলীলায় ঘটে যায় মানুষের আনন্দ-বিষাদ, হর্ষ-হাহাকার, সংকট-সম্ভাবনা, উত্থান-পতন, মিলন-বিচ্ছেদ, প্রীতি-নিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সরব উপস্থিতি। আর এ উপস্থিতি মূলত অনিবার্য উপস্থিতি। কারণ সাহিত্যের সৃজক এবং জোগানদাতাও মানুষ, কাঁচামালও মানুষ, ভোক্তাও মানুষ। খানিকটা সংজ্ঞার মতো শোনালেও সাহিত্য মানুষের দ্বারা, মানুষকে নিয়ে, মানুষের জন্য রচিত শিল্পকর্ম। মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা দৈবিক- মানবিক যে কোনো বিপর্যয়ে সাহিত্য সরব হয়েছে শৈল্পিক সমবেদনায়। দৈব-দুর্বিপাকের পরও সাহিত্যের আবেদন থেকে যায় অফুরান।

   দুর্বিপাকের সাহিত্য রচনায় শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রভাবশালী পথিকৃৎ। তাঁর পুরো শ্রীকান্ত উপন্যাসজুড়েই রয়েছে অতিমারি, মহামারি, মারী বা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্বিপাকের ছবি। কলেরা, প্লেগ, বসন্ত ও ম্যালেরিয়া- মোটা দাগে আমরা এমন চারটি মারণ-ব্যাধির উল্লেখ দেখতে পাই শ্রীকান্তে। রাজলক্ষ্মীকে পরিচয় করানোর পর্যায়ের বিবরণে দেখি, “...ইহার রঙটা বরাবর ফর্সা; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেটটা ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলো তামার শলার মত-কতগুলি তাহা গুনিয়া বলা যাইত।” অন্যের শুশ্রƒষা করতে গিয়ে শ্রীকান্ত নিজেও পড়েছিলো মহামারির কবলে। তখন পাওয়া যায় আরেক মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিবরণ : “সকাল বেলা শোনা গেল, আরও পাঁচ-সাতখানি গ্রামের মধ্যে তখন বসন্ত মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে।”

  ‘শ্রীকান্ত’ দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকান্তের বর্মাদেশে সফরের প্রাক্কালে পাই প্লেগ মহামারির বিবরণ। কলকাতার জাহাজঘাটায় ‘ভেড়ার পালের মত’ সারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌদ্দ-পনেরো শ’ মানুষ। শ্রীকান্ত তাদের কাছ থেকেই জানতে পারে ‘পিলেগ’ (প্লেগ)’র কথা। শ্রীকান্ত উপন্যাসের এ পর্বেই বাঙালি ‘কোয়ারেন্টিন’ শব্দটির সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়। জাহাজ যে দিন রেঙ্গুন পৌঁছুবে, সেদিনই সকালে শ্রীকান্ত দেখে যে, সমস্ত লোকের মুখে ভয় ও চাঞ্চল্য। “চারিদিক হইতে একটা অস্ফুট শব্দ কানে আসিতে লাগিল, কেরেন্টিন। খবর লইয়া জানিলাম, কথাটা quarantine : তখন প্লেগের ভয়ে বর্মা গভর্নমেন্ট অত্যন্ত সাবধান। শহর হইতে আট-দশ মাইল দূরে একটা চরায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়া খানিকটা স্থান ঘিরিয়া লইয়া অনেকগুলি কুঁড়েঘর তৈয়ারি করা হইয়াছে; ইহারই মধ্যে সমস্ত ডেকের যাত্রীদের নির্বিচারে নামাইয়া দেওয়া হয়। দশ দিন বাস করার পর, তবে ইহারা শহরে প্রবেশ করিতে পায়।”  কোয়ারেন্টিন শব্দের উদ্ভব ইতালীয় শব্দ ‘কোয়ারান্টা জিওরনি’ থেকে- যার অর্থ ৪০ দিন। চতুর্দশ শতকে ইতালিতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর সময়ে চালু হয় এই কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ-নিরোধ। মূলত এটা ছিল জাহাজকে জনপদ থেকে পৃথকীকরণের অনুশীলন। উপকূলীয় শহরগুলোকে প্লেগের মহামারি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সংক্রমিত বন্দরগুলো থেকে ভেনিসে পৌঁছানো জাহাজগুলোকে অবতরণের আগে ৪০ দিনের জন্য নোঙ্গরে বসে থাকতে হতো। প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুবরণ করতে সময় লাগত মোটামুটি ৪০ দিন। এই নিরোধ চল্লিশ দিন করবার বিশেষ মাজেজা সেটাই। প্রায় কুড়ি লাখ মানুষের জীবন নিধনকারী চলমান করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) বিশ্বমারীকালে লকডাউনের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্য। এর নাম হতে পারে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ কিংবা ‘ব্যাধি কিংবা দুরাচারের সঙ্গ-নিরোধ’। সে অর্থে পৌরাণিক কাহিনিতে লকডাউনে আবদ্ধ প্রথম মানুষ একজন নারী। তাঁর নাম সীতা। তাঁর লক-ডাউনের প্রকৃতি হলো ‘লক্ষণ রেখা’; সীতার নিরাপত্তার জন্য পঞ্চবটী বনের কুটির অঙ্গনে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক অঙ্কিত মন্ত্ররেখা। সে কারণেই রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ‘লকডাউন’ বোঝাতে ঘরের চারদিকে ‘লক্ষ্মণরেখা’র উল্লেখ করেছেন। দেশবাসীকে ঘরের বাইরে না গিয়ে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখবার পরামর্শ দেন তিনি।

  মানবতাবাদী ইতালীয় লেখক জিওভান্নি বোকাসিও’র উপন্যাসের সংকলন ডেকামেরন ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ এর প্রকাশ কাল ১৩৫৩। কাহিনির প্রেক্ষিত এরকম: ব্ল্যাক ডেথ থেকে বাঁচবার জন্য ফ্লোরেন্স শহরের সীমানা থেকে দূরবর্তী ফিয়াসোলের পল্লীর এক নির্জন ভিলায় সাত তরুণ মহিলা এবং তিন যুবক দুই সপ্তাহ যাবত পালিয়ে থাকে। সন্ধ্যা পার করবার জন্য, দলের প্রতিটি সদস্য প্রতি রাতে একটি করে গল্প শোনায়। সাপ্তাহিক ছুটি এবং পবিত্র দিনগুলো বাদ দিলে দুই সপ্তাহ গল্পকথনের দশ রাত হয়ে যায়। এভাবে, পনেরো দিন শেষে তারা ১০০টি গল্প শোনায়। এ হচ্ছে পাশ্চাত্যের দুর্বিপাকের সাহিত্যে বর্ণিত কোয়ারেন্টিনের সূচনা চেহারা। যদিও গ্রিক পুরাণে জরা-মারীর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায় চাপানো হয় ‘প্যান্ডোরার বাক্স’র ওপর, আর ট্রয়ের যুদ্ধে সূর্যদেবতা অ্যাপোলো ট্রোজানদের জন্য প্রথমেই পাঠিয়েছিলেন মহামারিকে- সেসব বিষয়ে পরবর্তী আরেকটি পর্বে ‘বিশ্বসাহিত্যে দুর্বিপাক’ পর্যায়ে আলোকপাত করা যাবে।

   ফিরে আসি শরৎ সাহিত্যে। তাঁর ‘পন্ডিতমশাই’ উপন্যাসে গ্রামের একমাত্র পুকুরে কলেরা রোগীর ব্যবহারের বস্ত্র ধোওয়া হতে থাকে পন্ডিতমশাই বৃন্দাবনের চোখের সামনেই। এই পুকুর সারা গ্রামের জলের চাহিদা জোগায়। ফলে সেই জল খেয়ে গ্রামে মড়ক লাগে। তার মা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিজের সন্তানকেও কলেরায় হারান পন্ডিতমশাই।

তার ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আদর্শবাদী যুবক রমেশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামকে রক্ষা করতে চায়। জাতপাতের প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। হিন্দু-মুসলমান সব ধর্মের গরিব কৃষককে নিয়ে গ্রামাঞ্চলের জনস্বাস্থ্য-বিধি পরিবর্তন করতে চায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কে সৃষ্টি করতে চায় গণসচেতনতা। আর এটা করতে গিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয় সনাতনী হিন্দুপ্রথার বিরুদ্ধে। উপন্যাসের বর্ণনা এরকম, “রমেশও জ্বরে পড়িল। গত বৎসর এই রাক্ষসীর আক্রমণকে সে উপেক্ষা করিয়াছিল; কিন্তু এ বৎসর আর পারিল না। ...তিন দিন জ্বরভোগের পর আজ সকালে উঠিয়া খুব খানিকটা কুইনিন গিলিয়া লইয়া ভাবিতেছিল, গ্রামের এই সমস্ত অনাবশ্যক ডোবা ও জঙ্গলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন করা সম্ভব কি না। এই তিন দিন মাত্র জ্বরভোগ করিয়াই সে স্পষ্ট বুঝিয়াছিল, যা হউক কিছু একটা করিতেই হইবে।” এক কথায় বলা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রথম অঘোষিত, অস্বীকৃত কর্মী ছিল পল্লীসমাজের রমেশ।

     মাঝুলি নামের গ্রামে প্লেগ কী ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে, তার করুণ চিত্র বিধৃত আছে ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে। এর অন্যতম চরিত্র সুরেশ প্লেগ-আক্রান্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর ‘পথেরদাবী’ উপন্যাস ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পেও এসেছে মড়ক-মহামারি প্রসঙ্গ। তার ‘লালু’ গল্পে পাওয়া যায় আরেক সাহসী ও পরোপকারী চরিত্র গোপালখুড়োকে; যার মতে, কলেরা রোগীর সেবা করার ‘চেয়ে পুণ্যকর্ম সংসারে নেই’। কলেরার ভয়াবহতা ও তার বিরুদ্ধে লড়াকু গোপালখুড়োর চরিত্র শরৎচন্দ্রের অনবদ্য অঙ্কন এভাবে: ‘আমাদের শহরে তখন শীত পড়েছে, হঠাৎ কলেরা দেখা দিলে। তখনকার দিনে ওলাওঠার নামে মানুষে ভয়ে হতজ্ঞান হতো। কারও কলেরা হয়েছে শুনতে পেলে সে পাড়ায় মানুষ থাকতো না। মারা গেলে দাহ করার লোক মেলা দুর্ঘট হতো। কিন্তু সে দুর্দিনেও আমাদের ওখানে একজন ছিলেন যাঁর কখনো আপত্তি ছিল না। গোপালখুড়ো তাঁর নাম, জীবনের ব্রত ছিল মড়া-পোড়ানো। কারও অসুখ শক্ত হয়ে উঠলে তিনি ডাক্তারের কাছে প্রত্যহ সংবাদ নিতেন। আশা নেই শুনলে খালি পায়ে গামছা কাঁধে তিনি ঘণ্টা-দুই পূর্বেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেন।’

  রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস, কবিতা অবলীলায় ধারণ করেছে বাঙালির দৈব-দুর্বিপাকের মর্মন্তুদ চিত্র। ১৮৯০-এর দশকে রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু লেখাতেই এসেছে কলকাতার প্লেগের প্রসঙ্গ। তাঁর ‘দুর্বুদ্ধি’ এবং ‘দিদি’ গল্পে এক বালিকা ও এক নারী কলেরায় মারা যায়, দুজনের নামই শশী। ১৯১৬ সালে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসে রয়েছে প্লেগের উল্লেখ। শশীর কাকা কলকাতায় প্লেগের সময় রোগীদের চিকিৎসার্থে তাদের বাড়িটিকে আরোগ্য-নিকেতন হিসেবে গড়ে তোলেন। রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই তিনিও মারা যান। ‘গোরা’ উপন্যাসে হরিমোহিনীর বিবরণে পাই, “কলেরা হইয়া চারি দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ও স্বামী মারা গেলেন।” পোস্টমাস্টার গল্পের রতন উল্লাপাড়ার ‘পিতৃমাতৃহীন অনাথা বালিকা’। পোস্টমাস্টার অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ভীষণ জ্বর। সেই জ্বর সাধারণ জ্বর নয়; কালাজ্বর। রতনকেই নিত্যে হলো সেবা-শুশ্রƒষার। ‘বহুদিন পরে পোস্টমাস্টার ক্ষীণ শরীরে রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন’ এবং ‘মনে স্থির করিলেন, আর নয়, এখান হইতে কোনোমতে বদলি হইতে হইবে।’ কর্তৃপক্ষকে যে-চিঠি লিখলেন তাতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ‘স্থানীয় অস্বাস্থ্যের কথা’। লেখকের বিবরণ শুনে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, ম্যালেরিয়া জ্বরের কবলেই তখন পড়েছিলেন পোস্টমাস্টার।

       ‘হৈমন্তী’ গল্পে হৈমন্তী পড়েছে শক্ত অসুখে। তবুও বাপের বাড়ি যেতে পারেনি। বাবাকে ফিরে যেতে হয়েছে একা। ‘ শ্বশুরমশায় স্বয়ং একজন ভালো ডাক্তার আনিয়া পরীক্ষা করাইলেন। ডাক্তার বলিলেন, “বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক, নহিলে হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো হইতে পারে।” বাবা হাসিয়া কহিলেন, হঠাৎ একটা শক্ত ব্যামো তো সকলেরই হইতে পারে।’ ‘শেষের রাত্রি’ গল্পের নায়ক যতীন রোগশয্যায়। সে আশা করে আছে তার অল্প-বয়সী বউ মনি তার সেবা-শুশ্রƒষা করবে। কিন্তু মনি যেতে যাচ্ছে তার বাপের বাড়িতে-তার ছোট বোনকে দেখতে।’ গল্পের শেষে যতীনের মৃত্যু হয় দুরারোগ্য ব্যাধিতে।

‘দৃষ্টিদান’ গল্পে দৃষ্টিহারা কুমু শুনেছে যে তার ডাক্তার স্বামীর কাছে এক ‘বৃদ্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাওঠার চিকিৎসার জন্য’ এসেছেন। ব্যাধির কালো প্রভাব রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে। ফটিক হঠাৎ করে জ্বরে পড়ে। সেই জ্বর ক্রমেই বেড়ে চলে। ডাক্তার বললেন, ‘অবস্থা বড়ই খারাপ।’ এভাবেই এক-পর্যায়ে ফটিককে চলে যেতে হয় অনন্ত ছুটির অবকাশে।

     ‘সম্পাদক’ গল্পে মূল চরিত্র লেখক। নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, মা-মরা একমাত্র মেয়ে প্রভার দিকে তাকানোরও ফুরসুৎ নেই তার। বাবার অযত্ন-অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রভা। “...পাশে আসিয়া বসিলাম। বালিকা কোন কথা না বলিয়া তাহার দুই জ্বরতপ্ত করতলের মধ্যে আমার হস্ত টানিয়া লইয়া তাহার উপরে কপোল রাখিয়া চুপ করিয়া শুইয়া রহিল।” ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পেও হরসুন্দরীর জ্বর হয়েছে; ম্যালেরিয়া। ‘জ্বর আর কিছুতেই ছাড়িতে চাহে না। ডাক্তার যতই কুইনাইন দেয় বাধাগ্রস্ত প্রবল স্রোতের ন্যায় জ্বরও তত ঊর্ধ্বে চড়িতে থাকে। এমনি বিশ দিন, বাইশ দিন, চল্লিশ দিন পর্যন্ত ব্যাধি চলিল।’

‘ভাইফোটা’ গল্পে এসেছে মারণাত্মক ব্যাধি ম্যালেরিয়ার বিবরণ, ‘স্বামীর সঙ্গে মফস্বলে ফিরিবার সময় বার বার ম্যালেরিয়া জ্বরে পড়িয়া অনুর এখন এমন দশা যে ডাক্তাররা ভয় করিতেছে, তাকে ক্ষয়রোগে ধরিয়াছে।’

    ‘মাল্যদান’ গল্পে সরাসরি প্লেগের প্রসঙ্গ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ : মেয়েটিকে সকলে ‘কুড়ানি’ নামেই চিনত। ‘কুড়ানি’ নামের কারণ দুর্ভিক্ষের সময় তার বাবা-মা মারা যায়, মেয়েটিকে ‘কুড়িয়ে এনে’ প্রতিপালন করছে পটলদের পরিবার।

মাল্যদান যে সময়ে লেখা সে সময়ে কলকাতা শহরে চলছিল প্লেগের। ‘পটলের স্বামী হরকুমার বাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট... প্লেগের ভয়ে বালিতে একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লইয়া থাকেন, সেখান হইতে কলিকাতায় যাতায়াত করেন।’ যা হোক, অসুস্থ কুড়ানিকে বহুদিন পর হাসপাতালের বেডে দেখে অবাক হয়েছিল যতীন। তার মনে হলো, ‘এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যতেœ ফুলের মত সুকুমার করিয়া দুর্ভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন।’ মৃত্যুর আগে যতীনের সাথে তার মালাবদল ঘটে।

শেষ পর্যন্ত ‘কুড়ানিকে’ বাঁচানো যায়নি প্লেগের করাল গ্রাস থেকে। কুড়ানিকে খোঁজার প্রসঙ্গে এসেছে, “সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতক দলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পুলিসের পক্ষে শক্ত হইল।”

    দুর্ভিক্ষের মরণ থাবা দৈব-দুর্বিপাকের মতোই আমাদের গ্রাস করেছে বার বার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে (বাংলা ১৩৫০ সাল) শুরু হয় মন্বন্তর। তা ছিল মূলত কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ। যুদ্ধ থেমে যায়। কালোবাজারি মজুতদারদের হাতে চলে যায় বাংলার উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ। মানুষের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষ রক্ষা করে ধনিকশ্রেণীর স্বার্থ। মুষ্টিমেয় লোকের গোলায় জমা হয় অজস্র সম্পদ, মাঠের ফসল। বাংলাসাহিত্যে তৎকালীন সময় যা কিছু রচিত হয়েছে তার বেশির ভাগটাই এই ১৩৫০-এর মন্বন্তরকে ঘিরেই। ময়মনসিংহের ভাটিয়ালি লোকগানে শোনা যায় : ১৩৫০-এর কথা / মনে কি কেউ পড়ে রে / মনে কি কেউ পড়ে রে / ক্ষুধার জ্বালায় বুকের ছাওয়াল মায়ে বিক্রি করে রে / চুরাই বাজারে...। সত্যেন দত্তের বিখ্যাত গানের কলি নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে : ‘মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি/বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশিষে অমৃতের টীকা পরি।’ আর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘বোধন’ কবিতা তো আরও শানিত : এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার/ লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার/ এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি/ নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি/ কোথাও নেইকো পার/ মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার/ আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল/ এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের কাল...।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
সর্বশেষ খবর
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৩৬ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা