শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩

রামোজি ফিল্ম সিটির কল্পকাহিনি

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রামোজি ফিল্ম সিটির কল্পকাহিনি

শৈশবে কি কারও এমন মনে হতো টেলিভিশনের ওই বাক্সের মধ্যে কীভাবে মানুষগুলো ঢুকল, কীভাবেইবা তারা খাবার খায়, নাচে-গায়। ধীরে ধীরে সিনেমা শব্দের সঙ্গে পরিচয়। কীভাবে তৈরি হয় সিনেমা, এ ম্যাজিক যেন আজও অধরা। ভারত সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সুযোগ হয়েছিল হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরে দেখার। সিনেমা তৈরির পেছনের গল্প জানার সুযোগ ছিল হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। ২ হাজার একরজুড়ে গড়ে ওঠা সিনেমার এ স্বর্গরাজ্য স্বাগত জানায় দর্শনার্থীদের। রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরে এসে ক্যামেরার পেছনের গল্প তুলে ধরেছেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়শ্রী ভাদুড়ী ও নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী; কাজী শাহেদ।

 

কৃত্রিমতায় গড়ে ওঠা স্বপ্নপুরী

দুপুরের কিছু সময় পর রামোজি ফিল্ম সিটির কাছাকাছি হাইওয়েতে এসে থামল বাস। ফিল্ম সিটির অফিস কক্ষে সাংবাদিক প্রতিনিধি দল। যে যেভাবে পারছেন পরিচালকের চেয়ারে বসে ক্যামেরায় চোখ রেখে ছবি তুলতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে প্রত্যেকের জন্য সংগ্রহ করা হলো পাস। নীল স্টিকার সেঁটে দেওয়া হলো প্রত্যেককে। এরপর সবাই বাসে চেপে বসল রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরে দেখতে। নির্ধারিত ফিল্ম সিটির বাসে গাইড হিসেবে উঠলেন কলকাতার মেয়ে সোম দত্তা।

বাসে চেপেই অনেকের কৌতূহল ফিল্ম সিটি নিয়ে। কে বানিয়েছেন এ ফিল্ম সিটি, জমির পরিমাণ কত এমন নানা প্রশ্নে জর্জরিত সোম দত্তা। সোম দত্তা মাইকটা হাতে নিলেন। এরপর নির্ধারিত স্থানে গিয়ে জানাতে শুরু করলেন রামোজি ফিল্ম সিটির আদ্যোপান্ত।

চমৎকার বাংলায় ফিল্ম সিটি দেখিয়ে বর্ণনা দিতে থাকলেন তিনি- ‘এই যে বাঁয়ে খালি সবুজ সুন্দর মাঠটা দেখছেন- এখানেই ডার্টি পিকচারের সেই বিখ্যাত গানটার শুটিং হয়েছিল- ‘উ লা লা’ সোম দত্তা মিষ্টি হাসলেন।

পাহাড়ি ও আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে এগোতে থাকে গাড়ি, সোম দত্তা দেখিয়ে চললেন একের পর এক শুটিংয়ের বাড়ি, হাসপাতাল, আদালত, ট্রেন স্টেশন, সেন্ট্রাল জেল, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, হেলিপ্যাড, বিমানবন্দর, এমনকি বিদেশি বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ভবন-নিদর্শক ইত্যাদি। ফিল্ম সিটির বিস্ময়কর চিত্র যেন সবার গা ঝাড়া দিয়ে চঞ্চল করে দিল। ফিল্ম সিটি তো নয়, যেন এক খণ্ড বিশ্ব।

তেলেগু চলচ্চিত্র প্রযোজক, ব্যবসায়ী, ইটিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র চেরুকুরী রামোজি রাওয়ের চিন্তাপ্রসূত এ ফিল্ম সিটি। হায়দরাবাদ শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২ হাজার একর জমির ওপর ১৯৯৬ সালে নির্মিত এ সিটি যেন বাস্তব আর কল্পনা এবং প্রকৃতি ও কৃত্রিমতার মিশেলে গড়ে তোলা এক স্বপ্নপুরী। ছিমছাম পরিচ্ছন্ন রাস্তা, সবুজ ঘাসের গালিচা আর নানান রকমের ফুলের বাগানে এ সিটি যেন দক্ষ শিল্পীর নিপুণ হাতে আঁকা এক নয়নাভিরাম চিত্রপট। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি অনুযায়ী, এ ফিল্ম সিটির স্টুডিওই বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফিল্ম স্টুডিও কমপ্লেক্স।

সোম দত্তা বলে চললেন, এখানে শুটিংয়ের সেট হিসেবে এমন বাড়ি আছে যার একেক পাশে একেক রকম নকশা এবং আলাদা দরজা, সেই একই বাড়িতে আলাদা দরজা ব্যবহার করে নায়ক-নায়িকাদের আবাসসহ একাধিক বাড়ির শুটিং শেষ করা হয়ে থাকে। আবার এমনও ভবন আছে, যেটা কোর্ট হিসেবেও ব্যবহার হয়, আবার অফিসকক্ষ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। কোনো হাসপাতালের সেট ব্যবহার হয় মানসিক থেকে শুরু করে সব রকমের অসুস্থতার হাসপাতাল হিসেবেও।

ফাঁকে ফাঁকে সোম দত্তা দেখিয়ে চলেন, ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চিত্রায়ণের সেই হাসপাতাল, ‘মাগাধীরা’ সিনেমার ফাইটিং দৃশ্য ধারণের সেই রাস্তা, ‘রাওয়ান’ সিনেমার ফাইটিং দৃশ্য ধারণের মাঠ। হাসতে হাসতেই তিনি বলেন, কোনো নির্মাতার যদি বাজেট কম হয়, কিন্তু তিনি বিদেশি, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকার লোকেশন দেখাতে চান চলচ্চিত্রে, তবে তারও ব্যবস্থা আছে এ ফিল্ম সিটিতে।

সোম দত্তার ভাষ্য অনুযায়ী, বিদেশি শহরগুলোর আদলে গড়ে তোলা বিস্ময়কর এভিনিউটির নাম প্রিন্সেস স্ট্রিট। ভারতের উত্তরাঞ্চলের সড়ক ও ভবনগুলোর আদলে গড়ে তোলা অংশটিকে বলা হয় নর্থ টাউন। এ ছাড়া শাস্ত্রীয় কোনো উপাখ্যান অনুযায়ী কিছু নির্মাণের জন্য আছে ‘ভগবত্ম সেট’, আছে বিভিন্ন অঞ্চলের বাগানের আদলে ‘আসকরি গার্ডেন সেট’, ইসলামী স্থাপত্য ধাঁচের ‘মুঘল গার্ডেন’, প্যাগোডার মতো করে বানানো ‘জাপানিজ গার্ডেন’, ‘সান ফাউন্টেইন গার্ডেন’ ইত্যাদি। চাহিদার যেসব জায়গা বা স্থাপনা নেই, সেগুলোও প্লাইউড, কাঠ আর স্টিলের ফ্রেমে তৈরি করে দিতে সময় নেয় না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ।

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এত বিচিত্র রকমের ব্যবস্থা আছে বলেই কি না রামোজি ফিল্ম সিটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘এটি এমন এক জায়গা, যেখানে একজন নির্মাতা চিত্রনাট্য নিয়ে ঢুকে সিনেমা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন।’

সড়ক ধরে চলতে এসব সেট ঘুরতে ঘুরতে গাড়ি দাঁড়ায় বাহুবলী সিনেমার শুটিংয়ের সেটের পাশে। গাড়ি থামতেই ডেলিগেটরা ছুটে যান বিশাল সেই সেটে। পর্দায় দেখা সিনেমার সেই সিংহাসন, রথ, মামা কাটাপ্পার সঙ্গে শৈশবে গাছতলায় রাজকুমার বাহুর খেতে বসার গাছতলা, অভিনয়শিল্পীদের প্রতিকৃতি দেখার অনুভূতি সবাইকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। সাউন্ড বক্সে শিবগামী দেবীর কণ্ঠে সিনেমার বিভিন্ন সংলাপ যেন চলচ্চিত্রেই ডুবিয়ে দিচ্ছিল ডেলিগেটদের। ভারতবর্ষ তো বটেই, গোটা সিনেমা দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্রের সেটে এসে স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করতে কে না চায়? ডেলিগেটরা ফিল্ম সিটির এ প্রান্তে এসে যেন উচ্ছ্বাসে মাতলেন।

তবে রামোজি ফিল্ম সিটি যে কেবল সিনেমা নির্মাণের জন্য তা নয়। এখানে আছে সব বয়সী দর্শনার্থীর বিনোদনের নানা আয়োজনও। সিনেমা নির্মাণের অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য অ্যাকশন থিয়েটারসহ আছে চারটি অ্যাট্র্রাকশন, পাঁচটি শো এবং সুপার জেট, স্কেটিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমসসহ হরেক রকমের রাইড। এর পাশাপাশি আছে খাবার ও শপিংয়ের ব্যবস্থা।

রামোজি ফিল্ম সিটি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আকর্ষণীয় এ সিটির টানে স্মৃতি জমা করতে প্রতিবছর এখানে ১৫ লাখেরও বেশি দর্শনার্থী ভিড় জমায়। এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছেই। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত টিকিট বুক করে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘোরা যায় ফিল্ম সিটিতে। ৯টায় বাস দর্শনার্থীদের ছেড়ে যায় হাইওয়ে টিকিট কাউন্টারে। যেখান থেকে বাস ছেড়ে যায় হায়দরাবাদের নানা প্রান্তে।

 

ফিল্ম তৈরি ১৫ মিনিটে

রামোজি ফিল্ম সিটির অ্যাকশন থিয়েটারে ঢোকার পর ইন্ট্রোডিউসিং হলে উপস্থাপক ডাকলেন অভিনয় করতে ইচ্ছুক দুই তরুণ এক তরুণীকে। তখনো কেউ আন্দাজ করতে পারছিলেন না, ভিতরে কী ঘটতে চলেছে। ইন্ট্রোডিউসিং থেকে বাংলাদেশ সাংবাদিক ডেলিগেশন টিমের তিন সদস্য অ্যাকশন হলে ঢুকলেন। উল্টো নতুন চাঁদের মতো আসনে বসা প্রায় ২০০ দর্শনার্থী। কোনো তরুণী না থাকায় তিনজনই পুরুষ সদস্য করবেন অভিনয়।

মঞ্চের পেছনে থাকা মেকআপ কক্ষে নিয়ে গিয়ে তিনজনকে দেওয়া হয় পোশাক। সেই পোশাক পরে মঞ্চে আসেন তিন অভিনেতা। মঞ্চে তিনটি মোটরসাইকেল রাখা। মঞ্চের ওপরে দুটি পর্দা। উপস্থাপক বুঝিয়ে দিলেন কার কী রোল। শুরু করেন পরের পর্ব।

উপস্থাপক তিনজনকে বললেন, মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে যেভাবে চালানো হয় ঠিক তেমন করে হেলেদুলে চালাতে। তিনজনই তাদের দক্ষতা দেখাতে তৎপর। নির্দেশনা অনুসারে ‘অভিনয়’ শুরু করলে করতালি-হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে অ্যাকশন হল। ফিল্মে যে শব্দ আসে, তা-ই শোনা যাচ্ছিল না।

এবার উপস্থাপিকা অ্যাকশন হল থেকে সবাইকে পাশেরই পোস্ট প্রডাকশন হলে নিয়ে গেলেন। সেখানেও দর্শনার্থীদের জন্য একই রকম সারি। মঞ্চে রাখা বক্সিং গ্লাভস, ব্লিন্ডার মেশিন, পাথর, বালু ও ঘূর্ণায়মান চাকার সঙ্গে কাপড় দেখিয়ে পরবর্তী চমকের জন্য উপস্থাপক দর্শনার্থী হল থেকে ডেকে নেন চার টেকনিক্যাল পার্সনকে। বাতি বন্ধ হতেই একজন বক্সিং গ্লাভস দিয়ে ঘুসি দিতে থাকেন। চলতে থাকে ব্লিন্ডার মেশিন অন-অফ, ঘূর্ণায়মান চাকার তালে পাথর-বালুর খেলা।

এবার পোস্ট-প্রডাকশন হল থেকে উপস্থাপক সবাইকে নিয়ে যান প্রিমিয়ার হলে। সেখানে তিনি বলেন, আগের দুই হলে যা হলো এবার তার ফল দেখুন। হলের পর্দায় চলল ২ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ‘অসমাপ্ত ফিল্ম’। তিনজন মিলে টাকা ছিনতাই করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পেছন থেকে দুজন ধাওয়া করেছে। ধাওয়া করে আটকাতে না পেরে পেছন থেকে গুলি করা হলো। তাড়া করার শব্দও মিলছে, মিলছে গুলির শব্দ। যেন সত্যি সত্যি কোনো ফিল্মের দৃশ্য। তাও একেবারে ১৫ মিনিটেরও কম সময়ে নির্মিত।

উপস্থাপক এবার মঞ্চে এসে বললেন, এখন চলচ্চিত্রে যা দেখানো হয়, তা নির্মাণ অনেকখানিই সহজ করে দিয়েছে এ ধরনের উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি। এ ভিডিও সবার সামনে সহজে বানিয়ে ফেলা হলো।

 

এক পাড়াতে দেশ-বিদেশ

হেঁটে রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরছিলাম। বামে মোড় নিতেই হঠাৎ মনে হলো রাস্তাটা বদলে গেল। মনে হচ্ছে প্যারিসের কোনো এক রাস্তায় যেন হাঁটছি। সামনে এগিয়ে যেতেই আরও অবাক। এ সড়ক যেন আমেরিকার ব্যস্ত কোনো জনপদ। মাঝখানে স্ট্যাচু অব লিবার্টিও আছে।

অবাক হওয়া দেখে গাইড সোম দত্তা বললেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের আদলে সড়ক স্থাপনা বানানো রয়েছে রামোজি ফিল্ম সিটিতে। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বন, পাহাড় জঙ্গল কী নেই এখানে। প্রকৃতি, স্থাপত্য, সৃজনশীলতার এক মেলবন্ধন।

এসব স্থাপনার সামনে ছবি তোলার ধুম পড়ে গেছে দর্শনার্থীদের। স্ট্যাচু অব লিবার্টির সামনে ছবি তুলছিলেন বিজয়বড়ার এস কৃষ্ণান আইয়ার ও তার স্ত্রী সামাইরা আইয়ার। হাতে মোবাইল দিয়ে দুজনের কিছু ছবি তুলে দিতে বলেন। তাদের দেখে মনে হলো নববিবাহিত। জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল আমার ধারণা সত্যি। কৃষ্ণান বলেন, ছয় মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। হানিমুনে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই, কিন্তু এখানে ছবি তুলে, আনন্দ করে আমাদের দুঃখবোধ অনেকটাই কমেছে। আমরা দারুণ মজা করছি। এখানে আনন্দ, বিনোদনের সব ব্যবস্থা আছে। রাস্তার এক পাশে দেয়ালঘেঁষে কিছু শিল্পকর্ম আছে। পাশে আছে লাল রঙের টেলিফোন বুথ। পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন দর্শনার্থীরা। শুধু সড়কই না বাড়িও বানানো আছে বিভিন্ন দেশের আদলে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের গড়ন, খাবার, সংস্কৃতির ভিন্নতার মতো বাড়ির আদল এবং অন্দর সজ্জায়ও আছে ভিন্নতা। রামোজি ফিল্ম সিটিতেও একইভাবে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের বাড়ির আদলে বাড়ি বানানো হয়েছে। বাঙালি বাড়িতে ছোট্ট ঝুল বারান্দায় টব বেয়ে উঠছে মানিপ্লান্টের সবুজ পাতা।

 

কারিশমা গার্ডেনের অদ্ভুত কারবার

শাহরুখ খান-রানী মুখার্জির কাভি আল বিদা না কেহেনা সিনেমার ‘তুমি দেখো না’ গান হয়তো সবার মনে আছে। কিন্তু আমার মাথায় ঘুরপাক খেত নায়িকার শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং গাছের পাতা! কীভাবে হলো এমন মিল? এ জট কোনোভাবেই খুলতে পারতাম না। গত সপ্তাহে রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরে মাথা পুরো পরিষ্কার হয়ে গেছে।

হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে রয়েছে বাহারি বাগান ঝরনা। প্রথমে ঢুকতেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাবে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় ডিজাইনে তৈরি অ্যানজেল ফাউন্টেইন। বাস চলতে চলতেই ঘুরিয়ে দেখানো হয় এসব গার্ডেন। আমাদের গন্তব্য বিভিন্ন প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দন এক একটা বাগান। প্রতিটি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। যেমন কোনোটা জাপানি গার্ডেন, কোনোটা বনসাই গার্ডেন, গাছ কেটে কেটে পশুপাখির আকৃতির স্যাংচুয়ারি গার্ডেন, গাছ দিয়ে তৈরি ছাতার আকৃতির বাগান, মুঘল ডিজাইনের গার্ডেন। আকর্ষণীয় ফুল, গাছ, ঝরনা আর স্থাপত্যের সংমিশ্রণে মোহনীয় সেই বাগানগুলো দৃষ্টিকে করে তুলল হতবাক। এরপর গাইড বললেন এখন আপনারা আছেন কারিশমা গার্ডেনের পাশে। এ গার্ডেনের আছে এক বিশেষত্ব। গাইড সোম দত্তা বলেন, এ গার্ডেনে আলোচিত অনেক গানের শুটিং হয়েছে। পরিচালক যে রঙের গাছের পাতা চাইবেন সেটাই লাগিয়ে দেওয়া হবে। নায়ক-নায়িকার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গাছের ওই রঙের পাতা লাগানো হয়। এ জন্য পরিচালককে অবশ্যই ৪৫ দিন আগে কেমন রং, ডিজাইন চাইছেন তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে। এভাবে সিনেমা, গানে কৃত্রিম গার্ডেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

 

পর্যটক টানছে বাহুবলী সেট

‘বাহুবলী’ সিরিজের স্বপ্নের মাহিষমাথি সাম্রাজ্য কিংবা দেবসেনার প্রাসাদ, সবটাই মন জুড়িয়েছে দর্শকের। গোটা ছবির সেট যেন ছিল এ ছবির গল্পের উপযুক্ত স্বপ্নের ক্যানভাস। অমরেন্দ্র বাহুবলীর স্ত্রী দেবসেনার যে রাজপ্রাসাদ ফিল্মে দেখানো হয়েছে তা শহরের বাইরের একটি পরিত্যক্ত অ্যালুমিনিয়াম কারখানাকে নতুন করে সাজিয়ে তৈরি করা হয়। এভাবেই দক্ষিণ ভারতের নানা প্রান্তে গড়ে ওঠে বাহুবলীর সেট। যার বড় অংশ আছে রামোজি ফিল্ম সিটিতে। মাহিষমাথি সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে এ সিটিতে।

বাহুবলী ভক্তরা মাহিষমাথির পর্দার পেছনের সফরের জন্য হায়দরাবাদে যেতে পারেন। বাহুবলীর গ্র্যান্ড সেটগুলো পর্যটকদের আসার জন্য রামোজি ফিল্ম সিটিতে সংরক্ষিত আছে। বাহুবলী সেটগুলো ১০০ একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, যার সবকটিই এখন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।

বাহুবলী সেটগুলো রামোজি ফিল্ম সিটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। স্টুডিওর একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত বলছেন, ‘দুটি অংশে ফিল্মের সেট তৈরি করতে ৬০ কোটির বেশি রুপি খরচ হয়েছে। সেট ছাড়াও, কিছু প্রপসও দর্শকদের দেখার জন্য রাখা হয়েছে। বিশাল বাহুবলী সেট ডিজাইন করার কৃতিত্ব শুধু পুরস্কার বিজয়ী প্রডাকশন ডিজাইনার সাবু সিরিলকে নয়, তার দলকেও যায়, যারা মাহিষমাথিকে পর্দায় জীবন্ত আনতে প্রায় দেড় হাজার স্কেচ তৈরি করে। প্রি-প্রডাকশন দল দেড় হাজার স্কেচ তৈরি করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে ছবিটি পরে শুট করা হয়েছিল। এস এস রাজামৌলির উচ্চাকাক্সক্ষী সিরিজের বাহুবলী সিনেমা বিশাল বাজেটে তৈরি করা হয়েছে।

ছবিপ্রেমী ও সমালোচকদের মধ্যে বাহুবলী বেশ সাড়া বা আগ্রহ জাগাতে পেরেছে। বাহুবলী ছবিটিকে অনেকেই ফ্যান্টাসি ওয়ার ফিল্ম থ্রি হান্ড্রেডের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে ছবি রেটিংয়ের ওয়েবসাইট আইএমডিবিতে থ্রি হান্ড্রেড ছবিটির চেয়ে বাহুবলী বেশি রেটিং পেয়েছে। থ্রি হান্ড্রেড ছবির রেটিং যেখানে সাত দশমিক আট সেখানে বাহুবলীর রেটিং সাড়ে নয়। ১০ এর মধ্যে সব রেটিং হিসাব করা হয়। ছবির পরিচালক রাজামৌলি দাবি করেছেন, বাহুবলীর সঙ্গে থ্রি হান্ড্রেড ছবির কোনো মিল থাকলে তা সম্পূর্ণ কাকতালীয়।

বাহুবলী হচ্ছে এক রাজপুত্রের গল্প, যাকে শৈশবেই রাজ্য ছাড়তে হয় মার সঙ্গে পালিয়ে। পরে সেই-ই আবার সিংহাসনের দখল নিতে ফিরে আসে। কিন্তু তার আগে তাকে লড়তে হয় বিশাল এক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ছবিতে ভালো ও মন্দের মধ্যকার যুদ্ধকে প্লট হিসেবে নেওয়া হয়। বাহুবলী ছবিতে অভিনয় করেছেন আনুশকা শেঠী, রানা দাগুবতী, তামান্না ও প্রভাস। বাহুবলী তৈরির আগে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি ছিল শাহরুখ খানের রাওয়ান। রাওয়ান তৈরিতে ২৭ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। যেখানে বাহুবলী তৈরির খরচ ৩৯ মিলিয়ন ডলার।

হায়দরাবাদের রামোজি স্টুডিওতে এটি তেলেগু, হিন্দি, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে। প্রায় ২০০ একর জমির ওপর এ ছবির সেট তৈরি করতে সময় লেগেছে ২০০ দিন।

 

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
সর্বশেষ খবর
কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রাজধানীতে অস্ত্র-হেরোইনসহ গ্রেফতার ৪
রাজধানীতে অস্ত্র-হেরোইনসহ গ্রেফতার ৪

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

দায়িত্ব গ্রহণের পর যা বললেন সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলম
দায়িত্ব গ্রহণের পর যা বললেন সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলম

১৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭২৭
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭২৭

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীছড়িতে কৃতী এসএসসি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা ও সংবর্ধনা
লক্ষ্মীছড়িতে কৃতী এসএসসি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা ও সংবর্ধনা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যেভাবে বাড়ল সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের গড় আয়ু
যেভাবে বাড়ল সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের গড় আয়ু

৩০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

‘অশালীন শব্দ’ ব্যবহারের দায়ে শাস্তি পেলেন জাম্পা
‘অশালীন শব্দ’ ব্যবহারের দায়ে শাস্তি পেলেন জাম্পা

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে শ্রেয়াস
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে শ্রেয়াস

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের লভ্যাংশ গাজায় পাঠাবে নরওয়ে
ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের লভ্যাংশ গাজায় পাঠাবে নরওয়ে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহেশপুরে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ১৫
মহেশপুরে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ১৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে কিংবা অফলাইনে নিরাপদ থাকুন সবসময়
অনলাইনে কিংবা অফলাইনে নিরাপদ থাকুন সবসময়

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জর্জিনাকে রোনালদোর দেওয়া আংটিটি ‘প্রপোজাল রিং’ নয়!
জর্জিনাকে রোনালদোর দেওয়া আংটিটি ‘প্রপোজাল রিং’ নয়!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্যাটেলাইট লাগিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া সেই ৫ কুমির নিখোঁজ
স্যাটেলাইট লাগিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া সেই ৫ কুমির নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, আতঙ্কে শহর ছাড়ছে ফিলিস্তিনিরা
গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, আতঙ্কে শহর ছাড়ছে ফিলিস্তিনিরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এআইইউবি ও বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশনের মধ্যে সমঝোতা
এআইইউবি ও বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশনের মধ্যে সমঝোতা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের অভিযান, জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের অভিযান, জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ
ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের সুযোগ

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

খুবির স্থাপত্য ডিসিপ্লিন ও বার্জার পেইন্টসের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর
খুবির স্থাপত্য ডিসিপ্লিন ও বার্জার পেইন্টসের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বিজ্ঞাপন শিল্প নিয়ে এএএবি’র নেটওয়ার্কিং হাবে ইয়াসির আজমান
বিজ্ঞাপন শিল্প নিয়ে এএএবি’র নেটওয়ার্কিং হাবে ইয়াসির আজমান

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাজা শহর দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে: হামাস
গাজা শহর দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে: হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরে বসেই তৈরি করুন ‘ফার্স্ট এইড বক্স’
ঘরে বসেই তৈরি করুন ‘ফার্স্ট এইড বক্স’

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের আবারও সংঘর্ষ
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের আবারও সংঘর্ষ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পর্যটক টানতে দুই লাখ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা থাইল্যান্ডের
পর্যটক টানতে দুই লাখ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা থাইল্যান্ডের

১ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: রাজসাক্ষী হতে চান এক পুলিশ সদস্য
৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: রাজসাক্ষী হতে চান এক পুলিশ সদস্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোচালক নিহত
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোচালক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৪ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৪ অভিবাসী আটক

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দিল্লি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : রাশেদ প্রধান
দিল্লি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : রাশেদ প্রধান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহে উচ্চপদস্থ ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন কামাল, দাবি রিপোর্টে
দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহে উচ্চপদস্থ ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন কামাল, দাবি রিপোর্টে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত
পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান
ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৩
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৩

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু
তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাষ্ট্রপতির ছবি থাকা না থাকা নিয়ে ব্যস্ত সরকার : রুমিন ফারহানা
রাষ্ট্রপতির ছবি থাকা না থাকা নিয়ে ব্যস্ত সরকার : রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ
৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে ৫০ কোটি ডলারের এয়ার জ্বালানি ট্যাঙ্কার দিচ্ছে আমেরিকা
ইসরায়েলকে ৫০ কোটি ডলারের এয়ার জ্বালানি ট্যাঙ্কার দিচ্ছে আমেরিকা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নগরীতে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু
গাজা নগরীতে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটক টানতে দুই লাখ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা থাইল্যান্ডের
পর্যটক টানতে দুই লাখ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা থাইল্যান্ডের

২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

টানা ৫ দিন অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
টানা ৫ দিন অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের ‘অনুরোধে’ মেক্সিকো সীমান্তপ্রাচীরে কালো রং করা হবে
ট্রাম্পের ‘অনুরোধে’ মেক্সিকো সীমান্তপ্রাচীরে কালো রং করা হবে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না
নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’
ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন
সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : আসিফ মাহমুদ
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : আসিফ মাহমুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাবেক ডিসি নাজমুল ইসলাম বরখাস্ত
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাবেক ডিসি নাজমুল ইসলাম বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় বারের মতো সন্তান বিক্রি করতে চান কুমিল্লার এক মা, আসল ঘটনা কি?
দ্বিতীয় বারের মতো সন্তান বিক্রি করতে চান কুমিল্লার এক মা, আসল ঘটনা কি?

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ আগস্ট)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারি সফরে চীনে গেলেন সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে চীনে গেলেন সেনাপ্রধান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ কর্মী নিয়োগের সংবাদটি সত্য নয়:  রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান
মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ কর্মী নিয়োগের সংবাদটি সত্য নয়:  রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান

১৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আলাস্কায় জ্বালানি ভরতে কেন ৩ কোটি টাকা দিলেন পুতিন?
আলাস্কায় জ্বালানি ভরতে কেন ৩ কোটি টাকা দিলেন পুতিন?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছুটিতেই থাকবেন বিএফআইইউ প্রধান: ডেপুটি গভর্নর
ছুটিতেই থাকবেন বিএফআইইউ প্রধান: ডেপুটি গভর্নর

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গুজরাটে বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানো নিয়ে বিতর্ক
গুজরাটে বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানো নিয়ে বিতর্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি
‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়াল পাকিস্তান
ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়াল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২১ দলের নিবন্ধন আবেদন বাতিলের চিঠি দিচ্ছে ইসি
১২১ দলের নিবন্ধন আবেদন বাতিলের চিঠি দিচ্ছে ইসি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
গভীর খাদে ব্যাংক খাত
গভীর খাদে ব্যাংক খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর
ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর

রকমারি নগর পরিক্রমা

সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে
সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে

সম্পাদকীয়

বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা
বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসুতে হবে কঠিন লড়াই মনোনয়নপত্র জমা শেষ
ডাকসুতে হবে কঠিন লড়াই মনোনয়নপত্র জমা শেষ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির চার, এনসিপি ও জামায়াতের একজন করে
বিএনপির চার, এনসিপি ও জামায়াতের একজন করে

নগর জীবন

চার দশক পর প্রাণ পেল বড়াল নদ
চার দশক পর প্রাণ পেল বড়াল নদ

পেছনের পৃষ্ঠা

আশুগঞ্জ আতঙ্ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
আশুগঞ্জ আতঙ্ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে

পেছনের পৃষ্ঠা

দীর্ঘ হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে ক্রেতার লাইন
দীর্ঘ হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে ক্রেতার লাইন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তোলপাড়
ভারতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

তাক লাগানো জুজুবি বাগান
তাক লাগানো জুজুবি বাগান

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে চারজন
বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে চারজন

নগর জীবন

দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টি হাতির মৃত্যু
দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টি হাতির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাম্পের টার্গেট ত্রিপক্ষীয় বৈঠক
ট্রাম্পের টার্গেট ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

সিইসি যাচ্ছেন কানাডা
সিইসি যাচ্ছেন কানাডা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এক মাসের বেশি জেলে থাকলে বরখাস্ত
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এক মাসের বেশি জেলে থাকলে বরখাস্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির ১৫ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ
এনসিপির ১৫ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

পেছনের পৃষ্ঠা

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু
তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

পেছনের পৃষ্ঠা

শেষ আবদার পূরণ হলো না : ববিতা
শেষ আবদার পূরণ হলো না : ববিতা

শোবিজ

ছাত্র হত্যার আসামি এখন ইউএনও
ছাত্র হত্যার আসামি এখন ইউএনও

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা
ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

পূর্ব-পশ্চিম

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি শোরুমে চালক নিহত
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি শোরুমে চালক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

উখিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১৫ শিক্ষক আহত, আটক ২৮
উখিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১৫ শিক্ষক আহত, আটক ২৮

খবর

যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হলে মিলবে না গ্রিনকার্ড
যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হলে মিলবে না গ্রিনকার্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করতে চাপ দেয় ডিবি
গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করতে চাপ দেয় ডিবি

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসকের চেম্বারে অপেক্ষারত মায়ের কোলেই নবজাতকের মৃত্যু
চিকিৎসকের চেম্বারে অপেক্ষারত মায়ের কোলেই নবজাতকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা