ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধা দিতে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ এনে বের করে দেয় তারা। দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি এই অধ্যাপকের।
গতকাল শনিবার রবীন্দ্র- নজরুল একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাকী বিল্লাহ বিভাগের একটি মিটিংয়ে অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বাইরে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে ও ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় বিভাগের সভাপতি দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানান। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাকী বিল্লাহ বিকুল প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। ওই সময় তিনি আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এসময় তিনি এই আন্দোলনকে প্রতিহত ও প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও মিছিলে 'আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা স্লোগান' দেন। তিনি আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মিছিল করা শিক্ষকদের হামলার প্ররোচনা দেন ও তাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এছাড়াও আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যহারের নাটক মঞ্চস্থ করার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাকী বিল্লাহ বিকুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন বলেন, ‘যেসব শিক্ষক আন্দোলনের সময় বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও অসহযোগিতা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তাদের অপরাধ নির্ণয় করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টা থাকার ফলে চাইলেও সবকিছু করতে পারিনি। তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা অভিযোগ করতেই পারে। আমি একটা আদর্শ লালন করি। সেই জায়গা থেকে আমাকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে। এজন্যই হয়তো তাদের আমার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ