বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মহানগরের পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে নগরীর সিটি বাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজনই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জানা গেছে, রবিবার দুুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাচারি বাজার এলাকায় যাওয়ার পথে সিটি বাজারের কাছে এলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়, হারাধনের ড্রাইভার শ্যামল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম সবুজ ও মাসুমসহ পাঁচজন নিহত হন। তবে রমেক হাসপাতালে থাকা একটি লাশের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীরা হারাধনের লাশ সিটি বাজার এলাকায় ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফেলে রাখে। ওই লাশ বিকেল পর্যন্ত ওই স্থানে পড়ে ছিল।
সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে রংপুর টাউন হল সংলগ্ন সড়কে জমায়েত হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনে টাউন হল এলাকা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে সেখানে বিক্ষোভ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে শুরু হয় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটতে শুরু করলে আন্দোলনকারী তাদের ওপর হামলা চলায়। এত হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের হিমঘরে থাকা দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতালে থাকা দুই লাশের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, রংপুরে এখন পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন, এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই