লালমনিরহাটে ক্ষমতা হারানো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে প্রাণ ভয়ে আত্মগোপন করেছেন লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক তিন সংসদ সদস্য। তাদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। বিগত দিনে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার দায়িত্বেও ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। তার ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগের একটি পেট্রল পাম্পে অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া গা ঢাকা দিয়েছেন লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ- আদিতমারী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান আহমেদ। দুর্বৃত্তরা তার খামার বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঘটনার পর তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আত্মগোপনে রয়েছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট-৩ অর্থাৎ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। তার বাড়িতেও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে।
এক নারী নেত্রী বলেন, ‘কিসের ভিতরে আছি কীভাবে বোঝাই। ভয়ে আছি কখন বাসায় হামলা হয়। বাসা থেকে কেউ বের হতে পারছি না। বাসায় পর্যাপ্ত খাবারও নেই। আমি তো নিজের ব্যবসার টাকা দিয়ে রাজনীতি করতাম। আর নেতারা আমাদের কিছু না বলেই নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আত্মগোপনে আছেন। এখন আমাদের কোনো অভিভাবক নেই।’