খুলনায় ফের শুরু হয়েছে তুচ্ছ কারণে খুনোখুনি, রামদা-হকিস্টিক হাতে মোটরসাইকেলে যুবকদের মহড়া, চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপরাধ তৎপরতা। বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধকর্ম করছে। চলছে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি। জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর খুলনার তেরখাদায় ‘বংশগত কাইজায় (কলহ) খুন হন ইউপি সদস্য সৈয়দ ফারুক আলী মীর (৪০)। নিহতের স্ত্রী শাহানারা বেগম জানান, গ্রামের মীর, শিকদার ও মোল্লা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝগড়া রয়েছে। এর জের ধরে মধুপুর কোলা বাজারে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফারুক মীরকে হত্যা করে। এ ছাড়া ৪ সেপ্টেম্বর শিরোমনি দক্ষিণপাড়া এলাকায় ভ্যান চুরির সন্দেহে সিরাজুল নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি যোগীপোল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল হাওলাদারের ছেলে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই খুলনার সর্বত্র অস্থিরতা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও অপরাধীরা নতুনদের ছত্রছায়ায় একই ধরনের অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। জানা গেছে, কিছুদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর খালিশপুর, আলমনগর, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, চাঁনমারী, রূপসা মাছবাজার, শেখপাড়া বাজার, টুটপাড়া, জিন্নাহপাড়া, লবণচরাসহ বিভিন্ন স্থানে কিশোর গাংয়ের সদস্যরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। প্রায়ই মোটরসাইকেলে করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না মানুষ।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগিরই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। নগরীতে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না।