‘সম্প্রতি সামান্য বিষয় নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুধু এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনো সমাধান হয় না। তবে প্রতিটি ঘটনা তদন্ত ও অনুসন্ধান করে প্রকৃত কারণ বের করে সমাধান করতে হবে। তাহলে কিছুদিন পর পর এসব ঘটনা আর ঘটবে না।’
গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম (আরআরএসএফ) আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং উত্তরণের প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য প্রদক্ষেপসমূহ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। লে. জেনারেল আনোয়ার হোসাইন (অব.)-এর সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ব্রি. জেনারেল নাসিমুল গনি। সভায় বক্তব্য দেন মেজর জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ব্রি. জেনারেল তুষার কান্তি চাকমা, লে. কর্নেল আবদুুল আওয়াল বিপি, অধ্যাপক ড. শওকত আরা, অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ, লে. জেনারেল আবু তায়েব মো. জহিরুল আলম ও ব্রি. জেনারেল সাহেদুল আলম খান।
তারা আরও বলেন, সারা দেশে প্রতিটি ঘটনায় মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছে। সবাই একসঙ্গে মিশে প্রতিটি ঘটনার সমাধান বের করছে। কোথাও কোনো বৈষম্য দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ঘটনায় হুজুররা মন্দির পাহারা দিয়েছেন। এটা সম্প্রীতির বাংলাদেশ। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালিরা আলাদা। তাদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। সরকারের কাজ হবে এই দূরত্ব দূর করা। এর জন্য সংলাপের আয়োজন করা। বেশি বেশি তাদের সঙ্গে মেশা। একে অন্যের সঙ্গে মিশুক, সংস্কৃতি মিশুক তাহলে দ্রুতই বিভেদ দূর হবে।
সভায় শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সামরিক ও রাজনৈতিক নয় বহুমাত্রিক সমাধান করা, পার্বত্য অঞ্চল পরিষদের সময়মতো নির্বাচন হওয়া, পার্বত চট্টগ্রাম নিয়ে কৌশলগত পরিকল্পনা করা, সেনাবাহিনীকে আরও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করা, ভূমির মালিকানা নিষ্পত্তি করাসহ পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সমস্যা সমাধানে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দেন বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে লে. জেনারেল আনোয়ার হোসাইন (অব.) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রয়োজনে আমরা একসঙ্গে আবার মাঠে নামব। পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ।