খুলনা নগরে অধিকাংশ মূল সড়ক বৃষ্টিসহ নানা কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার মেগা তিন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়িতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোও। অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল দূরের কথা, হাঁটাও দায় হয়ে গেছে। জানা যায়, ৫ আগস্টের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আত্মগোপনে থাকায় সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পের ৩৩টি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০-৭০ শতাংশ বাস্তবায়নের পর এসব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মজিদ সরণি থেকে সোনাডাঙ্গা আবাসিক প্রথম ফেজ হয়ে পল্লীমঙ্গল স্কুল হাজী ইসমাইল রোডে আসতে ৪/৫ মিনিট সময় লাগত। কিন্তু গোবরচাকা মেইন রোডে দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ চলায় এখন মজিদ সরণি থেকে শিববাড়ি মোড়-কেডিএ এভিনিউ-গোবরচাকা বউ বাজার হয়ে পল্লীমঙ্গলের কাছে আসতে পাড়ি দিতে হয় ২ কিলোমিটারের বেশি পথ। পল্লীমঙ্গল স্কুলের কাছে, গোবরচাকা ন্যাশনাল স্কুলের সামনে ও গাবতলা মোড়ে রাস্তা খুঁড়ে কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
মোল্লাবাড়ির মোড় থেকে জীবন বীমা পর্যন্ত এলাকা ও গাবতলা মোড় থেকে গোবরচাকা প্রধান সড়ক হয়ে হাজী ইসমাইল রোড পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলাচলের উপায় নেই। কেডিএ এভিনিউ খলিল চেম্বারের মোড় থেকে বসুপাড়া কবরস্থান হয়ে নবপল্লী কমিশনার মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ড্রেন কাজে চলাচলে ভোগান্তি রয়েছে।
বসুপাড়ার বাসিন্দা খায়রুল মল্লিক অভিযোগ করেন, শহরের ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নির্মাণকাজের জন্য অধিক জনবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তা না করে কিছুসংখ্যক লোক দিয়ে ধীরগতিতে কাজ করা হচ্ছে। আর এতে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, খুলনা নগরীতে বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ১২২টি সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ছোট-বড় বা মূল-অভ্যন্তরীণ সড়ক বলতে কোনো পার্থক্য নেই। সব সড়ককে একইভাবে মূল্যায়ন করেই উন্নয়ন সংস্কার কাজ করা হয়। নানা কারণে সড়ক মেরামত কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছি।