নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সব জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সিন্ডিকেট দমন এবং বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ত্রৈমাসিক সভায় নেতারা এ আহ্বান জানান।
আমিরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে তা মোকাবিলা করতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা জানি বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারকে পথ চলতে হচ্ছে। সংস্কার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুনের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা এসব খুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার শুরু করতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডসহ সব খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে হবে। বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলসমূহকে বয়কট করতে হবে।
নেতারা বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রীয় সব ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্র সাধন, দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যাংক ঋণ সহজীকরণ এবং রেমিট্যান্স আয়, ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিল্যান্সিং, আইটি ও রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল প্রমুখ।