বর্ষায় নীলফামারীর অধিকাংশ কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসব ব্যাপারে নজর নেই কারও। গ্রামে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কমিটি দিয়ে রাস্তাগুলোর মাটির কাজ করা হলেও তা সাধারণ মানুষের কাজে আসছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষায় গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। যা একদমই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলোর এমন বেহাল দশা যে, কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোনো অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, নীলফামারীতে ৪৭০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা। জেলায় গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৩ হাজার ৫৯২ কিলোমিটার। যা বর্ষা মৌসমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জেলা সদরের ১ নম্বর চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার, টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ ব্রিজ থেকে ডাউয়াবাড়ী প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, রামগঞ্জ মাঠ থেকে পাঠোয়ারীপাড়া ও তেলিপাড়া হয়ে বেরুবন বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার, তরণীবাড়ী বাজার থেকে মমতা বাজার হয়ে বোর্ড স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার, লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দোলাপাড়া পাকা রাস্তার মোড় থেকে সবুজপাড়া বুড়িরহাট বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার, হরতকীতলা মোশাররফ মার্কেট থেকে কানাইকাটা রেলঘুমটি, পলাশবাড়ী বাজার থেকে বৌজারীপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার, কুমবাড়ীডাঙ্গা পাকা রাস্তা থেকে ডুগডুগী বাজার বাইপাস, কচুকাটা ইউনিয়নের আবদুল হাইয়ের ভাটার মোড় থেকে দোলাপাড়া পর্যন্ত মাত্র ১.৫০ কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টির দিনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।
নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা বিরল চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের কাছে শুধু সরকারি তালিকাভুক্ত রাস্তার হিসাব রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে পাকা করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব রাস্তা ভেঙে যায় কিংবা সংস্কার করা প্রয়োজন তার পরিমাপ নিয়ে উপরস্থ কার্যালয়ে সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়। বর্ষা শেষ হলে পুনরায় এসব রাস্তা সংস্কার করা হবে।