উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীত। বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
নওগাঁ : জেলায় তিন দিন ধরে দেখা মিলেনি সূর্যের। স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন তাদের অনেকেই প্রচ- শীতে পড়েছেন বিপাকে। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঘন কুয়াশার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনাও। গতকাল সকাল নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম : তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। আকাশ মেঘলা থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে গেছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। রাজারহাট উপজেলার ঠাটমারির কৃষক মনজেয়ার আলী জানান, ‘জমিত কাম করতে যাইতেই ভয় নাগে।’ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার রিকশচালক মজনু ও এন্তাজ জানান, রিকশ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যাত্রীও কম। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার কম্বল উপজেলা পর্যায়ে আমরা বিতরণ করেছি। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। হাতে পেলে দ্রুত শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা : দক্ষিণ-পশ্চিমের এ জেলায় এক দিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় (১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগী বেড়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গোপালগঞ্জ : তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলায়। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনভর সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভিড় করছেন হাসপাতালে। কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গতকাল সকালে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।