কোটা আন্দোলনকে ঘিরে জেলায় সহিংসতা ও পুলিশের কাজে বাধা এবং নাশকতার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের তিনটি থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় সহস্রাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গত আটদিনে প্রায় ১৫৬ জন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাজে বাধাদান, ফাঁড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার অভিযোগে সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৭ জুলাই উপ-পরিদর্শক সোহাগ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। ১৯ জুলাই উপ-পরিদর্শক মুস্তাাকিন বাদী হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার অভিযোগে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ২০ জুলাই পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এসআই দানিউল বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেসহ ৯০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এছাড়া ২৩ জুলাই বহুলী ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান মুক্তা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার ওপর হামলা এবং বেইলি ব্রিজ ভাঙচুর ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ১৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ করে সহিংসতার অভিযোগে এসআই রমেন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৩শ জনকে আসামি করেছেন।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, কড্ডার মোড় অবরোধ করে পুলিশের কাজে বাধাদান ও নাশকতার অভিযোগে এসআই আলমগীর বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখখসহ প্রায় ৪শ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের ছয়টি মামলা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দায়ের হওয়া নাশতকতার মামলায় জেলাব্যাপী অভিযান চালিয়ে গত আট দিনে বিএনপি-জামায়াতের ১৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ