বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি বাড়লেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সাথে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সরকারি হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়েছে। একজন রোগী মারা গেছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বৃষ্টি বাড়লেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়। তখন মশার বৃদ্ধি ঘটে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিচালক বলেন, প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় নেই। বৃষ্টি হলে যেখানে পানি জমে, সেখানে মশার আবাসস্থল হয়ে ওঠে। মশার বিস্তার যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে যত রোগী ভর্তি হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া ছাড়াও অনেক রোগী বাসায়ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেই সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। সেই সংখ্যা থাকলে সবাই বুঝতো ডেঙ্গু কত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
প্রতিরোধের বিকল্প নেই জানিয়ে পরিচালক বলেন, আমাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে। তবুও প্রতিরোধে এগিয়ে আসাই উত্তম।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৬ সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি হলেন- গলাচিপা পৌরসভার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (৫০)।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১১ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৯ জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ভোলা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ জন, বরিশালে ১৩, পটুয়াখালীতে ১৯, পিরোজপুরে ৮ জন, বরগুনায় ২৩ জন এবং ঝালকাঠিতে ৪ জন রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে তিন হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৭৫০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭৬ জন।
এখন পর্যন্ত গোটা বিভাগে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৩ জন, বরগুনায় দুইজন, পটুয়াখালীতে ২ জন, পিরোজপুর ও ভোলাতে একজন করে মারা গেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল