সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়- এমন কোন কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদেরকে কঠিন শস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, গুজব ছড়িয়ে উস্কানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়। এসব গুজবকে কোনভাবেই আমলে নেয়া যাবে না। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদেরকে চিহ্নিত করে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। দুর্গাপূজা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। কোন ধরনের গুজবে কান দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অপরাধীদের কোন ধর্ম নাই। তাদের কোন দল নেই। আপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। অপরাধী যে হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গনে পূজামন্ডপ কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন র্যাব কক্সবাজার- ১৫ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি আরো বলেন, চকরিয়া সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। চকরিয়ায় ৪৭টি পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন আরো বলেন, বাঙালির এই শারদীয় দুর্গোৎসব সারাদেশের ন্যায় পুরো কক্সবাজার জেলাজুড়ে র্যাব ব্যাপকভাবে তৎপর রয়েছে। অতএব পূজামন্ডপসহ আশপাশ এলাকায় এলিট ফোর্স র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকস্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রদীপ দাশ এর উপস্থাপনায় ও চকরিয়া উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাশের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছোটন কান্তি নাথ, মিজবাউল হক, পৌরসভা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি টিটু বসাক, সহসভাপতি সুধাংসু সুশীল। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাব ১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল হোসেন, চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুঁইয়া।
বিডি প্রতিদিন/এএম