সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দোকান ভাড়ার টাকা চেয়ে চাঁদাবাজি মামলার আসামি হতে হয়েছে সোনামুখী ইউনিয়ন বিএপির সভাপতি দোলা সরকারসহ ৭ জনকে। তবে এ মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের কেউই জানেনা কি কারণে মামলা করা হয়েছে, আর কেনই বা তাদের সাক্ষী করা হয়েছে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার প্রতিবাদে সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে দোলা সরকারসহ মামলার বাকী আসামিরা জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকারের ফুফাতো ভাই মৃত আলতাব সরকারের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সাবেক যুবলীগ নেতা রানা আহমেদ। কয়েক মাসের দোকান ভাড়া প্রায় ৩০ হাজার টাকা বাকি থাকার কারণে দোলা সরকার রানা আহমেদের মোবাইল-ফোনে কল দিয়ে ঘর ভাড়ার টাকাগুলো দিয়ে দিতে বলে। এসময় ব্যবসায়ী রানা তাদের কথোপকথনটি রেকর্ড করে সেখান থেকে এডিটিং এর মাধ্যমে দোকান ঘরের কথাটা সরিয়ে দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মামলার আসামিরা। পরে "ব্যবসায়ীকে কল দিয়ে বিএনপি নেতা চাঁদা চেয়েছে" বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটির অপপ্রচার চালানো হয়। এ সংক্রান্তে ব্যবসায়ী রানা বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর বুধবার সিরাজগঞ্জ কোর্টে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন যাতে আসামি করা হয় বিএনপি নেতা দোলা সরকারসহ ৭ জনকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সোনামুখী ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুর এলাকার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দোলা সরকারের ছেলে সবুজ সরকার, বুলবুল সরকারের ছেলে আবু বাসির, পোক্কা সরকারের ছেলে মনির সরকার, নজরুলের ছেলে সোহেল রানা, মৃত আলতাব সরকারের ছেলে মাহিম ও সোনামুখী এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে হান্নান সরকার। মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে দোলা সরকারকে বিতাড়িত করার জন্যই ব্যবসায়ী রানা আহমেদ উঠে-পড়ে লেগেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি নেতা দোলা সরকার।
কি কারণে ব্যবসায়ী রানা তাকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরাতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা দোলা সরকার জানান, ব্যবসায়ী রানার বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগের শেষ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করাটাই ছিলো ব্যবসায়ী রানার অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রতারণার অভিযোগে বেশ কয়েকবার কাজিপুর থানায় গ্রেপ্তার ও হয়েছিলেন রানা। সোনামুখী ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষ-জনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেগুলো পরিশোধ করতো না তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশত্যাগের পরপরই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হওয়ার সুবাদে রানার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আমার কাছে একের পর এক আসতেই থাকে। অভিযোগকারীদের সুষ্ঠু বিচার দিবো বলে প্রতিশ্রুতি দেই। একারণেই ব্যবসায়ী রানা আমাকে বিএনপির পদ থেকে সরাতে উঠে-পড়ে লেগেছে। এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে চাচ্ছে। আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রানা আহমেদের বিচারের দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলন শেষে রানা আহমেদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ