শফিকুল ইসলাম (২৫), গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা। প্রথমে পারভীন খাতুন (২০) নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর আবারও বিয়ের উদ্যোগ নেন শফিকুল। কিন্তু দ্বিতীয় করতে যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করেন প্রাক্তন স্ত্রী পারভীন ও তার স্বজনরা। এসময় বর শফিকুলসহ তার যাত্রীদের পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফকিরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম পাশার মেয়ে পারভীন খাতুনের সঙ্গে রসুলপুর (মধ্যপাড়া) এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। এতে দেনমোহর ধার্য হয় ৪ লাখ টাকা। তাদের দাম্পত্য জীবনের প্রায় আড়াই বছর পর বিগত তিন মাস আগে পারভীনকে তালাক দেন শফিকুল। তবে তালাক দেওয়া হলেও ওই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি।
এর মধ্যেই জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) এলকায় দ্বিতীয় বিয়ে ঠিক হয় শফিকুলের। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে এই দ্বিতীয় বিয়ে করতে মাইক্রোযোগে রওনা হন। পথিমধ্যে ফকিরপাড়া নামকস্থানে পৌঁছালে প্রাক্তন স্ত্রী পারভীন ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বরযাত্রীর ওপর। এসময় শফিকুল ও তার যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারপিট করা হয়। এতে বরপক্ষের অন্তত তিনজন আহত হয়। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শফিকুলকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পারভীন খাতুন বলেন, শফিকুল ইসলাম আমাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দিয়েছে। এই তালাকের প্রায় তিন মাস হলেও আমার দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেয়নি। এই টাকা না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে তার পথরোধ করা হয়।
রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছাপের আলী বলেন, সাবেক স্ত্রী পারভীন তার দেনমোহরের দাবিতে শফিকুলের পথরোধ করেছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বর শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। পরে দু’পক্ষের আলাচনায় ব্যাপারটি আপোস হয়।
বিডি প্রতিদিন/আজাদ