প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ব্লুমবার্গ বিজনেসউইকের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাইওয়ান ৫০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন চিপ বাজার ছিনিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানকে আমাদের প্রতিরক্ষা খরচ দিতে হবে; আমরা বিমা কোম্পানি নই।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই দাবি সঠিক নয়। তারা উল্লেখ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে সাফল্য অর্জন করেছে।
মরিস চ্যাং ১৯৮৭ সালে টিএসএমসি প্রতিষ্ঠা করে এ খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ উন্নত চিপ তাইওয়ান তৈরি করে।
এক সময় অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল জীবাশ্ম জ্বালানি। তবে এখন সেই স্থান দখল করেছে প্রযুক্তি। ‘চিপ ওয়ার: দ্য ফাইট ফর দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ গ্রন্থের লেখক ক্রিস্টোফার মিলার জানিয়েছেন, টিএসএমসি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে তাদের ফোকাস বাড়িয়ে একাধিক কোম্পানির জন্য কাজ করে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
মিলার আরও বলেন, একসঙ্গে অনেক কোম্পানির জন্য কাজ করার সক্ষমতাই টিএসএমসির সফলতার মূল চাবিকাঠি। এই পন্থায় তারা বিপুল আয় করেছে এবং সেই অর্থ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে, ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে এবং পুরো প্রক্রিয়া আরও দক্ষ হয়েছে।
বর্তমানে, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত চিপ উৎপাদন প্রযুক্তি টিএসএমসির হাতে রয়েছে। তারা প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। গত বছরের জুলাইয়ে, টিএসএমসি তাদের প্রধান কার্যালয়ে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করেছে।
তবে, পরিস্থিতি এখন ভিন্ন দিক নিচ্ছে। তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জাং-তাইকে সিএনএন জিজ্ঞাসা করেছিল, যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের কিছু গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থানান্তরের জন্য চাপ দেয় তাহলে কী করবেন। চো বলেন, তারা আগের মতো কাজ চালিয়ে যাবে এবং কোনো পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই।
চো আরও উল্লেখ করেন, তাইওয়ানে মেধার কোনো সংকট নেই এবং সেখানে গবেষণা ও উন্নয়নের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তাইওয়ানের চিপ শিল্প টিকিয়ে রাখতে তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো নিজের দেশেই রাখতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল