বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির বকেয়া দ্রুত পরিশোধের জন্য এ খাতে বাজেট সহায়তা বাবদ বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) চেয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২২০ কোটি মার্কিন ডলার (২৬ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা)। এই দেনা পরিশোধের জন্য ক্রমাগত চাপ বাড়ছে।
মঙ্গলবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কাছে এই অনুরোধ জানান।
এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে। প্রয়োজনে এ আইন দুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এখন থেকে সব ধরনের ক্রয়-প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধানবলী ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই