স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কায়েম করেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব, লিপ্ত হয়েছিলেন দুর্নীতি-লুটপাটে। শিল্পকারখানা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সবখানে লুটতরাজ চলতে থাকে দেদার। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের নিরন্ন ও বস্ত্রহীন মানুষের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আসতে থাকে ত্রাণ-সাহায্য। খাদ্যসামগ্রী হিসেবে চাল, গম, আটা, চিনি, ঘর তোলার ঢেউটিন, পরনের শাড়ি-লুঙ্গি, জামাকাপড় তৈরির বস্ত্র, শীত নিবারণের কম্বল, শিশুদের জন্য গুঁড়াদুধ, বিস্কুট ইত্যাদি বিপুল পরিমাণে আসতে থাকে। কিন্তু যাদের জন্য এসব সামগ্রী আসে তাদের কাছে পৌঁছে না। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, হোমরা-চোমরারা ভাগবাঁটোয়ারা করে খেতে থাকেন গো-গ্রাসে। পাশাপাশি চলতে থাকে দখল। অবাঙালিদের পরিত্যক্ত বাড়িঘর, দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা চলে যেতে থাকে আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। লুটপাটকে জায়েজ করতে একের পর এক পাটের গুদামে লাগাতে থাকে আগুন। মজুত পাট সীমান্তের ওপারে পাচার করে গুদাম পুড়িয়ে দিয়ে চুরির চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে আসা সাহায্য সামগ্রীও সীমান্তের ওপারে পাচার করে দেয় একদল দুর্বৃত্ত; গায়ে যাদের ছিল ক্ষমতাসীন দলটির জার্সি।
সীমাহীন এই লুটপাটের রাজত্ব দেখে গর্জে উঠেছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি আওয়ামী লীগের ওই লুটেরাদের আখ্যায়িত করেছিলেন ‘নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি’র সদস্য হিসেবে। সে সময় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। একটি ঘটনা আজও আমার মনে আছে। ১৯৭২ সালের ৩ জুন আমাদের শ্রীনগর থানা (মুন্সীগঞ্জ) বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ মহকুমা ন্যাপের সভাপতি শ্রীনগর কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রশীদ। তিনি সে সময় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পারভেজ। পারভেজ ভাই ছিলেন আমাদের মুন্সীগঞ্জেরই সন্তান। অসাধারণ দক্ষতাসম্পন্ন এই তরুণ নেতা ১৯৭৭ সালে সম্ভবত অক্টোবর মাসে বাংলা একাডেমির সামনের সড়কে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। যা হোক, সম্মেলন শেষে বিকালে শ্রীনগর নাট-মন্দির প্রাঙ্গণে ছিল জনসভা। সেই জনসভায় পারভেজ ভাই আওয়ামী লীগকে ‘নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি’ বলে অভিহিত করলে ছাত্রলীগের এক নেতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তখন আবদুর রশীদ স্যার উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘কারও বক্তৃতা যদি তোমাদের পছন্দ না হয়, তাহলে সভাপতির কাছে স্লিপ পাঠাতে পার। তিনি জবাব দেবেন। তোমরা তো আমারই ছাত্র, পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি গণতন্ত্রচর্চার সবকও তোমাদের দেওয়া দরকার।’ রশীদ স্যার ছিলেন এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তাই কেউ আর কিছু বলল না। তবে কয়েকটি স্লিপ জমা পড়ল তাঁর কাছে। তিনি বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন, ‘তোমরা জানতে চেয়েছ নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি কারা, এই সংগঠনের অফিস কোথায় ইত্যাদি। শোনো বাপুরা, চোখ-কান একটু খোলা রাখলেই এই সমিতির সদস্য আর তাদের ঠিকানা জানতে পারবে। তবে আমি কেন, এখন এ মুহূর্তে কেউই নির্দিষ্ট করে তাদের নাম-ঠিকানা বলবে না। কেননা, সবার ঘাড়ে তো একটাই মাথা। অপেক্ষা কর, সময়ই বলে দেবে নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতির সদস্যদের পরিচয় আর তাদের কুকীর্তির কথা।’
বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ‘বোয়ালের আণ্ডা বোয়ালে ভাঙে’ প্রবাদকে যথার্থ প্রমাণ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং সেই লুটপাট সমিতির পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি আমার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য সারা দুনিয়া থেকে ভিক্ষা করে আনি, আর চাটার দলের চাটাররা সব চাইট্টা খায়া ফালায়।’ আরও বললেন, ‘সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জন্য সাড়ে ৯ কোটি কম্বল আইল, আমারটা পাইলাম না। চোরের দল আমার কম্বলটাও বেইচ্চা খাইছে।’ আক্ষেপ করে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ পায় সোনার খনি, আমি পাইছি চোরের খনি। পাকিস্তানিরা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, রাইখা গেছে কতগুলি চোর। এই চোরগুলারে নিয়া গেলে বাঁচতাম।’ সদ্যস্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বীয় দলের নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে এমন শ্লেষাত্মক উক্তি করেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, চুরি, আত্মসাৎ, লুটপাট কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বঙ্গবন্ধুর ওইসব উক্তির পর মজলুম জননেতা কর্তৃক আখ্যায়িত নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতির পরিচয় কারও কাছে অবিদিত থাকেনি।
দীর্ঘ বায়ান্ন বছর পর আবার এ দেশের মানুষ সেই নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতির সাক্ষাৎ পেয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি, নেতা-পাতিনেতা, সুবিধাভোগী আমলা-কর্মচারী এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বজন-সুহৃদরা মিলে সেই লুটপাট সমিতিকে পুনর্জীবিত করেছিল। যার মাধ্যমে দেদার লুটপাট চলেছে সাড়ে পনেরো বছর। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা চলে গেছে আওয়ামী ডাইনি-রাক্ষসদের উদরে। এদের থাবা থেকে রেহাই পায়নি উন্নয়ন প্রকল্প, ত্রাণ কার্যক্রম, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। সবখানে এরা মুখে পাইপ লাগিয়ে শুষে নিয়েছে রাষ্ট্রের রক্তসদৃশ অর্থ-সম্পদ। রাষ্ট্র হয়ে পড়েছে লিউকেমিয়া রোগীর মতো রক্তশূন্য। হাসিনার পতনের পর সেসব লুটপাটের কাহিনি এখন প্রকাশ পাচ্ছে। এখানে তার দুই-চারটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছি।
১২ আগস্ট সিপিডি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে লুট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘বস্তায় করে ঘুষ নিতেন খান’। খবরে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গুরুত্বপূর্ণ পদে পোস্টিং-বদলির জন্য বস্তায় করে ঘুষ নিতেন। কমিশনার পদে রেট ছিল ৫ কোটি টাকা। একই দিন ভিন্ন একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ৩৮ কোটি টাকায় কয়েকটি সরকারি পাহাড় বিক্রির আয়োজন করেছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ১৮ আগস্ট একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাবেক এমপি নিজাম হাজারী, বেনজীর আহমদ ও মাসুদউদ্দিন চৌধুরীর সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড সালমান’। খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ছিলেন ব্যাংক খাতে লুটপাটের শিরোমণি। তিনি সরকারি-বেসরকারি সাতটি ব্যাংক থেকে লুটে নিয়েছেন ৩৭ হাজার কোটি টাকা। আর রূপালী ব্যাংকের শেয়ার খাতে অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়েছেন ৯০০ কোটি টাকা। ওই দিনই অন্য একটি দৈনিকের খবরে কিশোরগঞ্জের হাওরে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনুর রশীদের শত কোটি টাকার রাজকীয় রিসোর্ট থাকার কথা জানা যায়। ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘চারদিকে লুটপাটের কাহিনি’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে শুধু বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লোপাট হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। একই দিনের আরেকটি খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চার এমপি-মন্ত্রী ও তাদের স্ত্রী-কন্যা মিলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। একই দিন অপর একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে লোপাট করা হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা)। এই দুর্নীতির সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। ২১ আগস্ট আরেকটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, সাবেক দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও হাছান মাহমুদ দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, বিদেশে পাচার করেছেন। ২২ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘হরিলুটের শীর্ষে বিদ্যুৎ খাত’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানায়, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন খাতে ভয়াবহ যেসব দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। একই প্রতিবেদনের অন্য অংশে বলা হয়, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি ৫১ হাজার টাকা জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘তাপসের তুঘলকি কাণ্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে শ’ শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর মালয়েশিয়ায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে সংগৃহীত এ বিপুল অর্থ তিনি সে দেশে পাচার করেছেন। ৪ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকের খবরে একদা সম্পদহীন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অবৈধ পন্থায় ধনবান হয়ে ওঠার কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে শাহরিয়ারের ‘নৌকা মার্কা’ প্রাপ্তিকে আলাদিনের চেরাগ প্রাপ্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে সড়ক পরিবহন জগতে চাঁদাবাজির অপ্রতিদ্বন্দ্বী গডফাদার, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের ব্যাপক চাঁদাবাজির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গত চার বছরে তিনি সড়ক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অটোরিকশা মালিক সমিতির এক নেতা দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। একই দিন অপর এক খবরে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে হঠাৎ মোড়ল হয়ে ওঠা নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে লন্ডন, দুবাই ও কানাডায়। বলা নিষ্প্রয়োজন, এ বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত এবং একই পথে পাচার করা। জনগণ ও রাষ্ট্রের অর্থ লুটের শীর্ষে রয়েছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবার। শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই ঋণের নামে এরা লুট করেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
উপরোল্লিখিত দুর্নীতি-অনিয়মের খবরসমূহ গত সাড়ে পনেরো বছরে দেশে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের কিয়দংশ মাত্র। প্রকৃত অবস্থা আরও ভয়াবহ, যা ধীরে ধীরে প্রকাশিত হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব দুর্নীতির খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলেও সরকারের উদ্ধত খড়গের ভয়ে সে সময় অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাননি। এখন ধীরে ধীরে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার হলো ক্ষমতাসীন সরকার ও দলটির শীর্ষ থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি-লুণ্ঠন ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাসের মতো। শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে আওয়ামী লীগকে মওলানা ভাসানী আখ্যায়িত করেছিলেন ‘নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি’ নামে। সেই আওয়ামী লীগের এবারের শাসনামলের দুর্নীতি-লুটপাটের চিত্র দেখলে তিনি কী বলতেন আল্লাহ মালুম।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক