মাত্র কয়েকদিন হলো মরণোত্তর দেহদান করার ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দেহদানের সেই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের ছবি তিনি সযত্নে রেখে দিয়েছেন। কিনুত এখন এ বিষয়টি নিয়েই আর দুশ্চিন্তা শেষ নেই।
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে নিয়ে নতুন এক রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালটিতে এক চিকিৎসক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সেখানকার গণমাধ্যম জানিয়েছে, সঞ্জয় রায় নামে পুলিশের এক সোর্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ফোনে পাওয়া গেছে মরদেহের সঙ্গে সঙ্গমের ভিডিও।
তদন্তকারী সূত্রে আরও জানা গেছে, গত সাত বছরে রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে অন্তত ২০০ কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এ সকল তথ্য বেরিয়ে আসার পর থেকেই অনেকের মতো নায়িকা ঋতুপর্নাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আশা করি আমার মৃত্যুর আগে এসব অরাজকতা কমবে।’ ঋতুপর্ণা আরও জানান, মরণোত্তর দেহদান নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কিন্তু তার মনে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। পরিবারকে দেখেই তিনি এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য মরণোত্তর দেহদান করেন অনেকে। একই উদ্দেশ্যে নিজের দেহটাও দান করেছিলেন এ অভিনেত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/শআ