পাকিস্তানকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন টর্নেডো গতিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রেজা হেনড্রিক্স। তার স্ট্রাইকরেট ১৮৫.৭১। ছক্কার সংখ্যাতেও তিনি ছাড়িয়ে যান পাকিস্তানিদের।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৩ বলে ১১ রান করলেও আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ বলে ১১ চার ৫ ছক্কায় ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেইসঙ্গে থেকে যায় সেঞ্চুরি মিসের আফসোস। শেষদিকে ১৬ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন ইরফান খান। এছাড়া আব্বাস আফ্রিদি করেন ৪ বলে ১১*। পাকিস্তানের ইনিংসে মোট ছক্কা ছিল ৯টি।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানেই রায়ান রিকেলটনকে (২) হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২৮ রানে বিদায় নেন ম্যাথু ব্রিটজকে (১২)। এরপরই রেজা হেনড্রিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ভ্যান ডার ডুসেন। ৮৩ বলে ১৫৭ রানের এই জুটিতেই জয়ের কাছে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৪ বলে তিন অংকে পা রাখেন হেনড্রিক্স। ১৮তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদির শিকার হওয়ার আগে খেলেন ৬৩ বলে ৭ চার ১০ ছক্কায় ১১৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১৮৫.৭১।
সাইম আইয়ুবের স্ট্রাইকরেট ছিল ১৭১.৯২। অন্যদিকে ভ্যান ডার ডুসেন অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৩ চার ৫ ছক্কায় ৬৬ রানে। প্রোটিয়াদের ইনিংসে ছক্কা হয়েছে মোট ১৬টি। ৩ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইম আইয়ুবের অপরাজিত ৯৮, বাবর আজমের ৩১, ইরফানের ৩০ রানে ভর ২০৬ রান তোলে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দাইয়ান গালিম ও বার্টমান নেন দুটি করে উইকেট। জর্জ লিন্ডে নেন এক উইকেট।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল। এরপর ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম