বরিশাল নগরীতে দেড় বছর ধরে দেওয়া হচ্ছে না নতুন করে ভবন নির্মাণের অনুমোদন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা। পরিত্রাণ পেতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও প্রধান উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক থেকে ছয় তলা ভবনের নকশার জন্য আবেদন জমা আছে ৬৮০টি। আর সাত তলা থেকে এর বেশি উচ্চতার ভবনের নকশার অনুমোদনের আবেদন জমা পড়েছে ৩৭টি।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী দাখিল করা নকশাগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়। এ ব্যাপারে একটি বোর্ডও রয়েছে। তবে ১৯৯৬-এর স্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়ন ও অনুমোদনে দুটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল বারী বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত করতে টিম কাজ করছে। শিগগিরই নগরবাসী সমাধান পাবে।
অ্যাসোসিয়েশন বিল্ডিং কনসালট্যান্ট অব বরিশালের সভাপতি প্রকৌশলী আক্তার হোসেন জানান, দেড় বছর ধরে বরিশাল নগরীতে নতুন করে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের প্ল্যান শাখায় ১ হাজার ২০০ এর মতো বাড়ির প্ল্যান ও ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র জমা রয়েছে।
স্মারকলিপি দেওয়া বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন নামের সংগঠনের সদস্যসচিব প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, ভবন নির্মাণের অনুমোদন না দেওয়ায় জমির মালিক, ডেভেলপার, প্রকৌশলী, নির্মাণশ্রমিক ও নির্মাণসামগ্রী বিক্রেতারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবাই কষ্টে আছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৮ এর বিধিমালায় এক থেকে তিন তলা ভবন করতে হলে ১০/১২ ফুট রাস্তা থাকতে হবে। ছয় তলা পর্যন্ত ১৫ ফুট, সাত থেকে নয় তলা পর্যন্ত ২৫ ফুট ও ১০ থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত ভবনের জন্য ৩৫ ফুট রাস্তা থাকতে হবে। যা বরিশাল নগরীর জন্য সম্ভব নয়।