নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়া। অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, ড. ইউনূসের সুবিশাল অভিজ্ঞতা জাতিকে প্রজ্ঞা ও সততার সঙ্গে পরিচালিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু একটি নতুন দিনের উদয় হয়েছে, তরুণদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নবশক্তির, তখন আমি মহান বাঙালি চিত্রশিল্পী-কবি-দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর বাণী স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ?‘যেখানে মনকে তোমার দ্বারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, চিন্তা ও কর্মের প্রশস্ততায়, সেই স্বাধীনতার স্বর্গে, আমার পিতা, আমার দেশ জাগ্রত হোক’।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃ?তিতে বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায়। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে, যা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে শান্তি এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে। আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও প্রাণহানি রোধে সবাইকে আহ্বান জানাই। জবাবদিহি ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে শান্তিপূর্ণ যাত্রা বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান সংকটের সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগিয়ে যেতে কানাডা সমর্থন করে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাগত জানাই। এ?টি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের পথ প্রশস্ত করার পাশাপা?শি শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ। মেলানি জোলি বলেন, এই পরিবর্তনের সময়ে এমন একটি প্রক্রিয়ায় কানাডা যুক্ত হতে চায়, যা হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। ব্যাপক অর্থে সমাজের সব খাতের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ। তাতে থাকবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যুবসমাজ, নারী ও অন্য সংখ্যালঘুরা। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, আইনের শাসন মেনে গণতান্ত্রিক রীতি ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের নীতিতে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায় কানাডা। কানাডা সবাইকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানায়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার জন্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোপুরি সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় কানাডা।
বাংলাদেশে ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃ?ত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।