দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা দুর্নীতি ধরতে আসিনি। এটা দুর্নীতি ধরার কমিটি না। তবে দুর্নীতি কেন হয়েছে সেটা বলার জন্য এ কমিটি। এ কমিটি আর্থিক খাতের সংস্কারে সরকারের উদ্যোগকে সহযোগিতা করবে।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিইডির সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি জানান, কোন খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তার পরিধি নির্ণয় করার কাজ করবে কমিটি। তবে ব্যাংক বা আর্থিক খাতের মূল্যায়ন করা হবে না, সেটার জন্য সরকার আলাদা ব্যাংকিং কমিশন করবে। কমিটির কার্যক্রমে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এলে তার নানা দিক বিবেচনা করা হবে। মূলত বিদায়ী সরকার যা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন এই কমিটি করবে না।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিদায়ী সরকার অনেক নীতিমালা তৈরি করেছে। সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কেমন হবে, সেটার ইঙ্গিত ও এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা মসৃণ হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে আগামীতে সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পের ব্যয় বা যৌক্তিকতা যাচাই করা হবে না। তবে মেগা প্রকল্পের নানা দিক খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে। ২৮ আগস্ট রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয় দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিটির অপরাপর সদস্যদের মনোনীত করবেন।