আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় থাকছে- বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া; জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতা এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা; স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া; গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে; সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া; প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ-সংক্রান্ত নির্দেশিকার সংশোধন শেষে প্রণয়ন করা; বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার; গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার সংস্কার করা হবে; সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে; চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে; ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে; অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স নীতিমালা যুগোপযোগী করা হবে; বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের ৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে; চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে; চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে। বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে। বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ/আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সংগঠিত হওয়া এবং সমন্বয়কদের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে দেয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম যুগোপযোগী করা হবে।
তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূলে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। পতিত সরকারের ২০০৯-২৪ সাল পর্যন্ত সব দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সব শহীদের ওপর পরিচিতিভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেয়ালে অঙ্কিত গ্রাফিতির ওপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কারভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকাভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন-২০১৮ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হবে। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।