বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় কিশোর হৃদয় আহম্মেদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে ফের ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের এসআই নুরুল ইসলাম খান আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আগরওয়ালাকে রাজধানীর গুলশানের আকাশ টাওয়ার থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ সেপ্টেম্বর আগরওয়ালাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা থানা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলার তিনি এজাহারনামীয় আসামি।
জানা গেছে, সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান শুরু করে। এরপরই ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সিআইডির তথ্য মতে, আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে সোনা ও হীরা চোরাচালানের নামে অর্থ পাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুম দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হীরার পরিবর্তে উন্নতমানের কাচের টুকরা বিক্রি করে আসছেন। এ ছাড়া দুবাই, সিঙ্গাপুরে চোরাচালান সিন্ডিকেট, ভারতের কলকাতায় জুয়েলারির তিনটি শোরুম, ১১টি বাড়িসহ মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।