মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জনগণ যেন আমাদের ওপর আস্থা রাখে। আমরা সে প্রত্যাশা করি।
সচিবালয়ের অফিসকক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কার্যক্রম ও পদক্ষেপ নিয়েও কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। আমরা চাই দেশের মানুষ যেন আমাদের ওপর আস্থা রাখে। তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কতটুকু করতে পারলাম বা পেরেছি তার বিচার করবে জনগণ। কিন্তু আমাদের ওপর যেন তাদের আস্থাটা থাকে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আমরা (অন্তর্বর্তী সরকার) একটা লক্ষ্য নিয়ে চলছি। আমাদের কিছু কাজ করতে হবে যেন পরবর্তীতে একটা নির্বাচিত সরকার এলে তারা আরও অগ্রগতি করতে পারে। এই মুহূর্তে যে সংস্কারের কাজগুলো করা দরকার সেগুলোই প্রধানত করছি আমরা। কী কী সংস্কার প্রয়োজন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার তো অনেকক্ষেত্রেই প্রয়োজন। আমি অন্যগুলো না বলে আমি নিজে যেগুলো দেখছি সেটা বলি, তা হলো- আমি নারীর অধিকার সংস্কারের দিকেও কাজ করছি। শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করছি। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ তো অনেক। সেটার যথাযোগ্য ব্যবহার নাই। যথাযোগ্য ব্যবহার পেতে হলে, চাহিদা পূরণ করতে হলে অনেক কাজ আছে। সেক্ষেত্রে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কাজগুলো চলমানও আছে, অগ্রগতিও আছে। নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। নিজের মন্ত্রণালয়ে কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা-অসহযোগিতা বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যারা কর্মকর্তা, তাদের কোনো ধরনের অসহযোগিতা নাই। তবে এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার আছে। সব স্টেকহোল্ডারদের ওপর আমাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নাই। উপদেষ্টা বলেন, বাজার একটা বড় জায়গা। সেখানে আমরা উৎপাদন ঠিক করে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বিক্রির জায়গায় এসে আমরা একটু ঠেকে যাচ্ছি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, যেমন ফিড বা এসব জায়গা কিছু আমাদের হাতের বাইরে। তবে সেখানের সমস্যা মেটাতেও আমরা কথা বলছি। স্টেকহোল্ডাররা যারা আছেন তারাও তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্যে আছি। প্রত্যেকেই যার যার স্বার্থ দেখতে গিয়ে হয়তো আমাদের সঙ্গে পুরোটা মিলছে না, তবে কেউ অসহযোগিতা করছে বিষয়টি এমন নয়।