শসা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, যার ফলে শসা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শসায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি বিভিন্ন পদার্থ উপস্থিত থাকে। সম্পূর্ণভাবে শসার পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য খোসাশুদ্ধ খাওয়া উচিত। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসাতে ফ্লাবনয়েড ও ট্যানিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ নিষ্ক্রমণে সাহায্য করে। পানি আমাদের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শসাতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যা দেহে পানির জোগানের পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। যার ফলে শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়। শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। যার ফলে অন্য খাবারের পরিবর্তে শসা খেলে ক্ষুধা মেটে ও দেহে ক্যালরিও কমে যায়, যার ফলে ওজন কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শসা একটি উপকারী খাদ্য। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, খোসাশুদ্ধ শসা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। ফলে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। শসাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে তাই শসা পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ পানির অভাব। তাছাড়াও শসাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফাইবার অন্ত্রের সমস্যা সমাধানে উপকারী।-হেলথ জার্নাল।