বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনিরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সে বিষয়ে তিনি চুপ থাকবেন না। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া কমলার এই কথাকে অনেকেই মুসলিম ভোটারদের সন্তুষ্ট করার পন্থা হিসেবেই দেখছেন।
যদিও মার্কিন অধিকারকর্মীরা বলছেন, কমলার কাছ থেকে শুধু সহানুভূতিমূলক কথা শুনতে চান না। তারা চান নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি।
কমলা হ্যারিস বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সাাক্ষাৎ করেছেন। এরপর তিনি টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর (নেতানিয়াহু) কাছে গাজায় অনেক নিরপরাধ বেসামরিক লোকের মৃত্যুসহ মানবিক দুর্ভোগের মাত্রা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’ এই যুদ্ধকে তিনি বিপর্যয়কর বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
কমলা আরও বলেন, “মৃত শিশু এবং মরিয়া, ক্ষুধার্ত মানুষদের সুরক্ষার জন্য পালিয়ে যাওয়ার চিত্র আমরা মেনে নিতে পারি না। তাদের অনেকেই বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আমরা এই ট্র্যাজেডিগুলির মুখোমুখি হতে পারি না। আমরা নিজেদেরকে কষ্টের কাছে অসাড় হতে দিতে পারি না এবং আমি চুপ থাকব না।’
তবে একই মুখে ইসরায়েলের জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কমলা।
মার্কিন অধিকারকর্মীরা বলছেন, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে বাইডেন সরকার। এই কারণে অনেক ভোটার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল নীতিতে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন না করে শুধু শুধু মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দেখালে কমলা হ্যারিস ভোটার টানতে পারবেন না।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ইমান আবদেলহাদি বলেছেন, গাজার শিশুদের হত্যা বন্ধ করার প্রকৃত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তাদের প্রতি তার (কমলা) সহানুভূতি নিয়ে আমি খুব একটা উদ্বেলিত না। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, মাথায় গুলি করছেন এমন কারও প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার বিষয়টি ঠিক প্রশংসনীয় নয়। আমাদের এসব মানুষের সহানুভূতির প্রয়োজন নেই। তাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ বন্ধ করতে হবে, যেগুলো সক্রিয়ভাবে মানুষ হত্যা করছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল