সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযান অভিযোগ করে বলেছে, তাদের কিছু অভ্যন্তরীণ তথ্য হ্যাক করা হয়েছে। তাদের দাবি, ইরানের হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তু ছিল তারা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের রানিং মেট এবং ওহাইও সিনেটর জেডি ভ্যান্সের অভ্যন্তরীণ গবেষণাসহ প্রচারাভিযানের বেশকিছু নথি তাদের ইমেল করা হয়েছে। নথিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হতে পেরেছে বলে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হ্যাক করা নথিগুলো ২০২৪ সালের নির্বাচনে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার সঙ্গে ইরানের হ্যাকার বা ইরান সরকারের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রচারণা কর্মকর্তারা দেননি। তবে মাইক্রোসফটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন মাসে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রচারণাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইরানের হ্যাকাররা।
মাইক্রোসফটের থ্রেট অ্যানালাইসিস সেন্টার (এমটিএসি) জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে ইরানের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গেছে। তারা মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চুং বলেন, ইরান জানে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব বন্ধ করবেন, যেমনটা তিনি তার প্রথম চার বছরে করেছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জুলাইয়ের শেষ দিকে থেকেই তারা কিছু ইমেইল পেতে শুরু করে। ইমেইল প্রেরকরা এওএল ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ‘রবার্ট’ নামটি ব্যবহার করেছে। এছাড়া, তারা জেডি ভ্যান্সের ২৭১ পৃষ্ঠার যে নথি পেয়েছে তার প্রায় সবই প্রকাশিত তথ্য। ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওর গবেষণার কিছু নথিও পেয়েছে পলিটিকো। উল্লেখ্য, রুবিও নিজেও ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য লড়েছেন।
এই ঘটনাটি মার্কিন নির্বাচনে ইরানীয় হ্যাকারদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনের সময়েও মাইক্রোসফট একই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে ইরানীয় হ্যাকারদের দ্বারা প্রেসিডেন্ট প্রচারণায় আক্রমণের কথা উল্লেখ ছিল। সূত্র: পলিটিকো, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ