যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে মিশিগান ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এসব অঞ্চলে জনমতের লড়াই দিন দিন তীব্র আকার নিচ্ছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিয়েনা কলেজের প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, মিশিগানে কমলার সমর্থন ৪৮ শতাংশ আর ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশ, অন্যদিকে উইসকনসিনে কমলা এগিয়ে আছেন ৪৯ শতাংশ বনাম ট্রাম্পের ৪৭ শতাংশে।
মিশিগানে ৬৮৮ জন এবং উইসকনসিনে ৬৮৯ জন ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে করা এই জরিপে মার্জিন অব এরর ৪ শতাংশ। যদিও এই ছোট ব্যবধানে উভয় প্রার্থীর মধ্যে ফলাফল দোদুল্যমান থাকতে পারে, তারপরও উভয় অঙ্গরাজ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।
নেব্রাস্কায় ট্রাম্পের চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা। যদিও সেখানে মাত্র একটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে, তা সত্ত্বেও এটি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে একক ইলেকটোরাল ভোট অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সিএনএনের এক জরিপে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মার্কিন নাগরিকরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা বেশি শুনেছেন। ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর করা জরিপে এক-তৃতীয়াংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্পের সম্পর্কে বেশি খবর পেয়েছেন, যেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রচারণা তুলনামূলক কম প্রচারিত হয়েছে।
গত মাসে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি রিপাবলিকানদের মধ্যে আলোচনা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট শিবিরে ওহাইওতে হাইতি অভিবাসীদের বিড়াল খাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে বেশি কথা বলা হয়েছে। দুই দলের মধ্যে খবর শোনা, পড়া ও দেখার মধ্যে এ ধরনের বড় পার্থক্য দেখা গেলেও স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে উভয় ধরনের তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা এখনও কমলা হ্যারিসের বিতর্কে করা ফলাফল নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে, রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও, উভয় শিবিরেই নির্বাচন, সমঝোতা, ও নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা তীব্র হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল