মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আকস্মিক ইরাক সফরে গেছেন। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাজনৈতিক পরিবর্তন পরবর্তী পরিস্থিতিতে সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে আজ ব্লিংকেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এই সফরের মূল লক্ষ্য সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তন পরবর্তী স্থিতিশীলতার জন্য আঞ্চলিক সমর্থন নিশ্চিত করা।
এদিকে ব্লিনকেনের ইরাক সফরের সময় আল-আনবার প্রদেশে এক নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য দেন দেশটির জনপ্রিয় মবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ)-এর প্রধান ফালেহ আল-ফাইয়াধ। তিনি বলেন, এক দশকের চ্যালেঞ্জের পর আমরা আশা করি সিরিয়ার স্থিতিশীলতার জাহাজ বন্দরে পৌঁছাবে।
তিনি আরো বলেন, ইরাক কখনোই সিরিয়া বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি এবং এটি (হস্তক্ষেপ করা) আমাদের নীতির অংশ নয়। তিনি ইসরায়েলের বিষয়েও কথা বলেন। তেল আবিব গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়ায় গোলান মালভূমি দখল করে রেখেছে।
ব্লিংকেনের এই সফর এবং আল-ফাইয়াধের বক্তব্য সিরিয়ার চলমান সংকট ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সফরের মাধ্যমে আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার প্রচেষ্টা চলছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল