লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহকে বিমান হামলায় হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শোনা যাচ্ছে, নাসরুল্লাহর শূন্যস্থান পূরণ করছেন তারই ঘনিষ্ঠ সহচর হাশেম সাফিউদ্দিন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাশেমকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।
যদিও এখনও ইসরায়েলি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। আবার হিজবুল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এই খবর দিয়েছে। তবে হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত বা আহত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি। হাশেম সাফিউদ্দিন হাসান নাসরুল্লাহর আত্মীয়ও হন।
হিজবুল্লাহর অন্যতম শীর্ষ নেতা সাফিউদ্দিন সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান। হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির উপপ্রধান নাইম কাশেমও।
লেবাননের টায়ার শহরের কাছে দের কানুন এন-নাহর গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন সাফিউদ্দিন। হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কম শহরে শিয়াদের প্রধান দুটি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
২০২০ সালে ইরানের সাথে হাশেমের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। তার ছেলে মার্কিন বিমান হামলায় বাগদাদে নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির মেয়েকে বিয়ে করেন।
হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনটির শুরা বা পরামর্শ পরিষদের প্রধান সদস্য ও জিহাদ কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাফিউদ্দিন।
হাশেম সাফিউদ্দিন ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই হিজবুল্লাহর সঙ্গে আছেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সংগঠনটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠনের পরবর্তী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তাঁর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল