দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সংযোগকারী রাস্তার উত্তর অংশ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছে, দুই কোরিয়ার মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া সুরক্ষিত সীমান্তের পাশে আন্ত-কোরিয়ান সড়কের উত্তরের কিছু অংশ সোমবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এর জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সামরিক সীমানা রেখার দক্ষিণে সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।
পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে আন্ত-কোরীয় সড়কপথ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেছিল। এছাড়া সীমান্তের পাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দেওয়ার পর বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটল। এর আগে সিউল সোমবার সতর্ক করে বলেছিল, পিয়ংইয়ং রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়া তাদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে দিকে ড্রোন পাঠিয়েছে। এরপরই দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। উত্তর কোরিয়া গত শুক্রবার বলেছে, ড্রোনগুলো উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচুর লিফলেট ছড়িয়ে দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তার শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক ডাকার একদিন পর এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন পাঠানোর ঘটনাকে ‘গুরুতর সামরিক উস্কানি’ হিসেবে অভিহিত করে পাল্টা পদক্ষেপের জন্য করণীয় নির্ধারণ করেন।
গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন প্রবেশের ঘটনার পরপরই উত্তর কোরিয়া সিউলের ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য ফ্রন্টলাইন আর্টিলারি এবং অন্যান্য সেনা ইউনিটকে প্রস্তুত রেখেছিল। সতর্ক করে বলেছিল, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন আবার উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করে তাহলে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তিরা কথিত ড্রোনটি উড়িয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তার নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে উত্তর কোরিয়াকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ