ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনি প্রচারে ১৭৩টি বক্তৃতা দিয়েছেন, তার মধ্যে ১১০টিই মুসলিমবিদ্বেষী। বুধবার এক রিপোর্টে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৩ শতাংশ ভাষণ ছিল ঘৃণা পোষণকারী ও হিংসাত্মক। গত ১৬ মার্চ নির্বাচনি আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া ১৭৩টি বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, তিনি এ কাজ করেছেন সম্ভবত রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে। তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্যগুলোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি তার বক্তব্যে মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ার মিথ্যা তথ্য ছাড়াও মুসলিমদের বহুবিবাহ, ধর্মান্তরিতকরণ, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দায়ী করেন। যার ফলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মোদির সমালোচনামূলক মন্তব্যের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কথাও নথিভুক্ত করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতারা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রচারাভিযানে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা দাবি করেছেন। মোদি প্রশাসনের অধীনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এক দশকের আক্রমণ ও বৈষম্যের মধ্যে এ ঘৃণামূলক বক্তব্যগুলো মুসলিম, খ্রিস্টান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনকে আরও স্বাভাবিক করেছে।’