১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই ৩৭ কোটি নারী তথা বিশ্বের প্রতি আটজন নারীর একজনই ধর্ষণ অথবা যৌন হামলার শিকার। অনলাইনে কিংবা চলতি পথে আকারে-ইঙ্গিতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এমন তরুণী-নারীর সংখ্যাও ৬৫ কোটির মতো। বিশ্বে শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিনিধি নাজাত মাল্লা মজিদ।
১০ অক্টোবর প্রদত্ত নাজাত মাল্লা মজিদের তথ্য অনুযায়ী, ১ বিলিয়নেরও অধিক শিশু অনলাইন এবং অফলাইনে শারীরিক, যৌন ও মানসিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যার অন্যতম হলো শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, নারী শিশুর যৌনাঙ্গচ্ছেদ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, পাচার, গুন্ডামি-মাস্তানি, সাইবার বুলিং ইত্যাদি, যা নজিরবিহীন। যুদ্ধ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিরাজ করা দেশগুলোর আরও অগণিত শিশু খাদ্যাভাবে অসহনীয় জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। ১১ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস’র আলোকে ইউনিসেফ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিশ্বের তথ্য-সমন্বয়ের পর প্রকাশিত ওই গবেষণা-প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে করা মন্তব্যে নাজাত মজিদ আরও উল্লেখ করেছেন, সহিংসতায় শিকার শিশুর অধিকাংশই এখনো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রতি ছয়জনের একজন শিশুই দিনাতিপাত করছে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে। এসব কারণে বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়ংকর এক ক্রান্তিকাল হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। বলা যেতে পারে ‘কোনো দেশই রোগমুক্ত নয়; কোনো শিশুই রোগ প্রতিরোধক নয়।’ জাতিসংঘের এই গবেষণা-তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন কোটি শিশু প্রতিনিয়ত মানসিক, আগ্রাসন এবং দৈহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে নিজের বাড়িতেই।