সম্পদ আল্লাহর দান। কাজেই মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পথে সম্পদ ব্যয় করা আবশ্যক। নিম্নে সে সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করা হলো—
(১) সম্পদের ওপর শরিয়ত যেসব দায়িত্ব অর্পণ করেছে, সম্পূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে তা আদায় করবে। যেমন—জাকাত, ফিতরা, কোরবানি ইত্যাদি।
(২) নিজের ও নিজের পরিবারের ভরণ-পোষণ এবং অন্যান্য হক আদায়ের কাজে সম্পদ ব্যয় করবে।
(৩) আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, মেহমান, মুুসাফির, এতিম-মিসকিন, বিধবা প্রভৃতি শ্রেণির লোকদের প্রয়োজন সাধ্যানুযায়ী পূরণ করবে।
(৪) অপব্যয় করবে না। অর্থাৎ যেসব স্থানে ইসলাম ব্যয় করতে নিষেধ করেছে সেখানে ব্যয় করবে না। কেননা অপব্যয় করা হারাম। আর অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই।
(৫) অমিতব্যয় বা অপচয় করবে না। অর্থাৎ বৈধ স্থানেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত না করা। এটাও ইসলামে নিষিদ্ধ।
(৬) কার্পণ্য করবে না। অর্থাৎ বৈধ স্থানে প্রয়োজনমতো ব্যয় না করা অন্যায়। প্রয়োজন অনুপাতে ব্যয় না করার নাম কৃপণতা। ইসলামে এটাও নিন্দনীয়।
(৭) ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমও নয়, বেশিও নয়—মধ্যপন্থা অবলম্বন করা জরুরি।
(৮) দ্বিন ইসলামের হেফাজত এবং দাওয়াত, তাবলিগ ও ধর্ম প্রচারের কাজে আন্তরিকভাবে উদার মনে ব্যয় করা ইবাদত।
(৯) নফল ও সওয়াবের কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যয় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হলো—যিনি এমন মজবুত ঈমান ও প্রশস্ত অন্তরের অধিকারী যে সম্পদ একেবারে না থাকলেও তিনি তা হাহুতাশ করবেন না বা হারাম পথে ধাবিত হবেন না, তার জন্য এভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যয় করে দেওয়ার অনুমতি আছে। আর যার ঈমান ও অন্তর এ রকম মজবুত নয়, তার জন্য সম্পূর্ণ সম্পদ এভাবে ব্যয় করার অনুমতি নেই। কেননা পরে তার ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। উত্তম হলো দানের জন্য সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের অসিয়ত করা।
(১০) সাধারণ অবস্থায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করা অনুচিত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন